বিশ্বে সাইবার হামলার শিকার হওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ
১৯তম। আজ বৃহস্পতিবার সফটওয়্যার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি
ল্যাবের ‘সাইবারথ্রেট রিয়েল টাইম ম্যাপে’ এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, রিয়েল টাইম ম্যাপে প্রতি সেকেন্ডে তথ্য হালনাগাদ
হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গ নিউজের এক
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে সাইবার হামলার শিকার হওয়া দেশের
মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ
ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা নিয়ে ব্লুমবার্গে প্রকাশিত
ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সাইবার হামলার বিষয়টি উল্লেখ করা
হয়।
‘সাইবারথ্রেট রিয়েল টাইম ম্যাপে’ বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী
সাইবার হামলার শিকার হওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রাশিয়া। এর
পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, ভারত ও
ব্রাজিল।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ
সাবির বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ছে। কিন্তু
এখানকার মানুষ পাইরেটেড সফটওয়্যারের ওপর বেশি
নির্ভরশীল। ওয়েব সার্ভারগুলোর অধিকাংশই এমন কোড দিয়ে
চলছে যাতে সহজে আক্রমণ করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন গেমিংসহ
প্রলোভনমূলক নানা ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহারের দিকে
ঝুঁকছে মানুষ। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে তথ্য হাতিয়ে
নেওয়ার জন্য নানা অ্যাডওয়্যার, ম্যালওয়্যারে ভর্তি থাকে।
পাইরেটেড সফটওয়্যারের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে
থাকলেও সাম্প্রতিক সাইবার হামলার ঘটনায় বিষয়টি বেশি নজরে
এসেছে। তিনি বলেন, ‘নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার শেখার পাশাপাশি
আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য
সাইটে যাওয়া ঠিক হবে না। সাইবার দুর্বৃত্তদের পাতা ফাঁদ থেকে
সতর্ক থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থ
চুরি করে ফিলিপাইনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ফিলিপাইনে অর্থ পাচার
করে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় একটি উদাহরণ হতে যাচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি বা বেসরকারি কোনো
প্রতিষ্ঠান এখন নিরাপদ নয়। সাইবার দুর্বৃত্তদের হামলার হুমকি এখন
সবার জন্য সমান।
ভারতের মুম্বাইয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সামির পাতিল
বলেন, ‘এ ধরনের মারাত্মক ক্ষতি এড়াতে ব্যাংকগুলো
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কঠোর করলেও সাইবার দুর্বৃত্তরাও সার্ভারে
আক্রমণ চালাতে কারিগরি জ্ঞান ও সফটওয়্যার দক্ষতা বাড়িয়েছে।’