প্রথমে আমার সালাম নেবেন। আশা করি ভালো আছেন। কারন আমাদের সাথে থাকলে সবাই ভালোই থাকে।
তাই আজ আপনাদের জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসলাম।
আর কথা বাড়াবো না কাজের কথায় আসি।
পৃথিবীর মত ছোট একটি গ্রহকে গ্রাস করে নিতে পারে সূর্যের মত নক্ষত্র।
বিজ্ঞানীদের এই রকম তত্ত্বের কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এই ধরনের কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ এর আগে বিজ্ঞানীদের হাতে ছিল না। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ কে২ মিশন ব্যবহার করে সম্প্রতি এই ধরনের একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা জানিয়েছে, একটি বড় সাদা বামন নক্ষত্রের প্রভাবে ক্ষুদ্র পাথুরে একটি গ্রহ যেভাবে বাষ্প হয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায় তার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। তাদের তত্ত্ব অনুযায়ী, সাদা বামন নক্ষত্র তার সৌরমণ্ডলে থাকা গ্রহ গুলোকে গ্রাস করে নিতে পারে। এই আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ দিনের এই তত্ত্বটির বৈধতা পেল।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানোর এক বিবৃতিতে হার্ভার্ড- স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক অ্যান্ড্রু ভ্যান্ডারবার্গ বলেন- প্রথমবারের মত
আমরা দেখেছি প্রচণ্ড মধ্যকর্ষণের চাপে ক্ষুদ্র একটি গ্রহ চূর্ণ হওয়ার ফলে এর রশ্মিতে গ্রহের সবকিছু বাষ্প হয়ে উড়ে যায় এবং ওই নক্ষত্রের দিকে পাথুরে উপাদান ধেয়ে যেতে থাকে।
গবেষকরা বলেন, আমাদের সূর্যের মত
বয়সী কোন নক্ষত্র, জ্বালানি পুড়িয়ে শেষ করে লাল দানবে পরিণত হবে। এরপর ধীরে ধীরে এর ভর অর্ধেক কমে যাবে এবং আকারে প্রায় পৃথিবীর সমান হয়ে যাবে। মৃত এই অধিক ঘনত্বের অবশিষ্টাংশকে সাদা বামন নক্ষত্র বলে।
গবেষকরা আরও বলেন, তারা সাদা যে বামন নক্ষত্রটির কথা জানিয়েছেন তার নাম- ডব্লিউডি ১১৪৫+০১৭. এর প্রভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রহটির ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি পাথর, ধূলিকণা ও গ্রহাণুর আকারের অন্য উপাদান গুলো প্রতি সাড়ে চার ঘণ্টা অন্তর ওই নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করছে।