ব্রণ কী? ব্রণ কেন হয়, ব্রণ হলে কী করবেন, ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়, কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতিঃ

27
333

ব্রণ বিভিন্ন করনে হতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় হরমোনের ক্ষরণ মাত্রার ভারসাম্যের অভাবে ত্বকের তেলগ্রন্থি ও সেবাম ক্ষরণ বেড়ে যায়। এতে লোমকুপ গুলো বন্ধ হয়ে যায় ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। এভাবে জীবাণুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ব্রণের জীবাণুর নাম ‘প্রোপাইনো ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনে’।

ব্রণ কী? ব্রণ কেন হয়, ব্রণ হলে কী করবেন, ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়, কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি

ব্রণ
কখন ও কোথায় ব্রণ হয় বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম ব্রণ দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে।
তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখেই দেখা যায়, তবে পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।গরমকালে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।

নিয়ম
ব্রণ হলে কী করবেন:
দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।
ব্রণে হাত লাগাবেন না।
তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।
মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।
রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ পরিহার করুন।
প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।
ব্রণ হলে কী করবেন না:
রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।
তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।
চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।
অতিরিক্ত তেল, ঘি, মশলা খাবেন না।
কেন ব্রণের চিকিৎসা করাবেন:
ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাÍক ক্ষতি করতে পারে। ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে যায়।
রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে শুধু ব্রণগুলোর ওপর চিকিৎসকের পরামর্শমতো জেল লাগানো যেতে পারে। দু’একদিন জেল ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। চুলকানি বা লাল ভাব বেশি হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে। ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সুষম সহজপাচ্য হালকা খাবার, শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দূর করতে হবে। ব্রণের তীব্রতা বেশি হলে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্রণের জন্য অন্যের কথা শুনে বা নিজের পছন্দসই কোনও ওষুধ লাগাবেন না। কতটা বেশি ব্রণ হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে খাবার ও লাগানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়। তবে ব্রণের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ। তাই ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। হঠাৎ চিকিৎসা পদ্ধতি বা ডাক্তার বদলাবেন না।
ব্রণের চিকিৎসা :
সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা-আপনি সেরে যায়।
দিনে দুই থেকে তিনবার ফেসওয়াশ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময়ে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দূর করে এবং লোককূপ পরিষ্কার রাখে।

আমাদের ত্বকের তৈল গ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে বর্ন পরিবর্তন করেব্রণের আকার ধারণ করে। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। ব্রণকে অনেকেই pimple, zit বা spot বলে থাকে। সাধারণত টিনেজার মেয়েরাইব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে।বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য নানারকম কসমেটিক্স/ঔষধ পাওয়া যায়।সেগুলো ব্যবহার করারআগে নিচের ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরন করতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতি্তে ব্রণ এবং ব্রণেরদাগ দুর করার কিছু সহজ উপায়ঃ ১। কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। ২।আপেল এবং মুধ এর মিশ্রণহচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরিকরে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করেএরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখেএবং কমপ্লেকশন হালকা করে।সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনিকয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন। ৩।ব্রণের জন্য তুলসি পাতাররস খুব উপকারী।কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ।শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ৪।প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁরসাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না।তারা সেইক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মুধব্যবহার করতে পারেন।এই পেষ্ট আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। ৫।এছাড়া রাতে শোয়ার আগেডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনারত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনিএটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন। ৬।প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানিখান। ৭।প্রতিদিন রাতের খাবারের পরযেকোন ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।যতটা সম্ভব তেলযুক্ত বাফাষ্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুন। ৮।সবসময় বাহির থেকে আসামাত্র মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন।এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যারা বহুদিন যাবত ব্রণসমস্যায় ভুগছেন,কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না,তারা আর দেরি না করে কোন অভিজ্ঞডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

ব্রণের সমস্যা এত বিচ্ছিরি একটা ব্যাপার যে তা যেন আপনার সমস্ত সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। নারী হন বা পুরুষ, মুখে ব্রণ কারো ক্ষেত্রেই ভালো লাগে না দেখতে। নানান রকম চিকিৎসা করিয়ে যারা হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রইলো ব্রণের আরেকটি ঘরোয়া চিকিৎসা। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ ওঠা শূন্যের কোটায় চলে যাবে, আবার চট জলদি ব্রণ কমাতেও এর জুড়ি নেই। ত্বকের জন্য সর্বদা প্রাকৃতিক চিকিৎসাই সবচাইতে উপকারী!
বিশুদ্ধ মধু সংগ্রহ করুন প্রথমেই। মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ব্রণের প্রকোপ কমাতে ও দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।

মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন খুব হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে। তারপর ভালো করে মুখ ধুয়ে আলতো করে মুছে নিন। এবার আঙ্গুলের ডগায় মধু নিয়ে ভেজা ত্বকেই লাগান। অল্প একটু ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। অন্তত ২ ঘণ্টা মুখে কোন প্রসাধনলাগাবেন না।

ত্বকের গঠন অত্যন্ত জটিল। এ জটিলতম ত্বকে একাধিক কারণেও বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্রণের সমস্যা। ব্রণ মূলত টিনএজারদের সমস্যা। এ বয়সে যখন মুখের সৌন্দর্যের প্রতি সবাই আকর্ষণবোধ ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ঠিক সে বয়সেই মুখে এই বিশ্রী গোটাগুলো দেখা দেয়, যা তাদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ একটু সচেতন থাকলেই এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।

ব্রণ হওয়ার কারণ : সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে অথবা হরমোনের প্রভাবে ব্রণ হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রভাবেও ব্রণ কমবেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে এটি হয়। এ বয়সেই কমবেশি ব্রণ হয়ে থাকে। তবে ২০ বছর বয়সের পর থেকে এগুলো স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যাদের মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাদের ব্রণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।

ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় : কিছু নিয়ম অবলম্বন করলেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে। আসলে এটি ঠিক নয়। কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর ফলমূল ও পানি খেতে হবে। মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বেশির ভাগ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব।

ব্রণ প্রতিরোধে কিছু উপায় : মূলত ব্রণের জন্য সবচেয়ে বড় ওষুধ হলো অপেক্ষা করা। ব্রণ নিয়ে কখনোই বেশি চিন্তা করবেন না। ব্রণ দু-একটা হবে আবার একাই চলে যাবে। অতিরিক্ত ব্রণ হলে এটি চিন্তার বিষয়। তবে নিচের পরামর্শগুলো অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন।

ত্বক পরিষ্কার রাখুন। মুখে ভালো সাবান মেখে দু-এক মিনিট রাখুন। পরে আস্তে আস্তে পরিষ্কার করুন। ক্স অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন বা ফেস স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। ক্স প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস। ক্স ত্বকে কোনোরকম অত্যাচার করবেন না এবং হাত লাগাবেন না, ত্বক কুচকাবেন না, খামচাবেন না, গোটা খোঁটাখুঁটি করবেন না। গোটা খুঁটলে হাতের জীবাণু থেকে ইনফেকশন হয়, ফলে দাগ পড়ে যা সহজে সারে না। এ ছাড়া ত্বকে আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শরীরের ঘাম দ্রুত মুছে ফেলুন। ক্স ওয়াটার বেজড মেকআপ ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ক্রিম, লোশন বা মেকআপ ব্যবহার করবেন না ।

কালো দাগ থেকে মুক্তির উপায়

অনেকেরই মুখে দেখা যায় ব্রণ ও কালো ছোপ ছোপ দাগ। এ জাতীয় ব্রণ ও কালো দাগ হলে প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্নক হতে পারে। আর নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সুন্দর চেহারার সৌন্দর্য মুখের এসব কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য বাড়তি একটু পরিচর্যা দরকার।প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আর মওসুমী ফল খেতে হবে রোজ পর্যাপ্ত পরিমানে। আরও কিছু টিপস নীচে দেওয়া হলঃ

*২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার এটা মুখে ঘাড়ে মাখিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
*আপেল এবং কমলার খোসা একসাথে বেটে এর সাথে ১ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং কমলার রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
*পাকা পেঁপের শাঁস মুখে মেখে নিন। ১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শশার রস মুখে মেখে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
*ব্রণ থাকাকালীন মুখমন্ডলের ত্বকে কোন তৈলাক্ত পদার্থ ও ক্রিম লাগাবেন না।
*একটি ডিম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড়ের কালো ছোপে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ, হাত, ঘাড়ের কালো ছোপ ইত্যাদি সেরে যাবে।
*আধাপাকা চিনির সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারাগায়ে মেখে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এটিকে ঘষে তুলে ফেলুন। এবার সামান্য গরম পানিতে ভালো করে গোসল করে নিন। সপ্তাহে একবার করবেন। এতে শরীরের ত্বক মসৃণ থাকবে।
*নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় এ ভিটামিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখবেন। ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস প্রাণীজ প্রোটিন যেমন যকৃত, ডিমের কুসুম, দুধ, মলা-ঢেলা, পুঁটি মাছ, কচুশাক, লাউশাক, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠাল ইত্যাদি।
*২ চা চামচ চিনা বাদাম বাটা, ২ চা চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।
*১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবন। মুখে লাবন্য আসবে।

ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। মুখে এসব ব্রণের দাগের জন্য চিন্তায় কাটাচ্ছেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন। দেখুন আপনি অনেক ভালো থাকবেন।
— ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
— বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
— ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।
— কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।
— খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
— আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
ব্রণের দাগ দূর করতে ভেষজ পদ্ধতি:
— কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। মসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ওই পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
ব্রণ দূর করবে নিম:
— চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।

27 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here