আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির বয়স মাত্র ২৯ বছর। অনায়াসে আরও কয়েক বছর খেলে যেতে পারতেন তিনি। আজ চিলির কাছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর অপ্রত্যাশিতভাবেই অবসর ঘোষণা দেন মেসি। মেসির এই অবসরের ঘোষণায় হতবাক সকলেই। তাই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো মেসির এই অবসরের কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছে। বিসিসি, এনডিটিভি, ফক্সস্পোর্টস মেসির অবসরের বেশ কিছু কারণ ব্যাখ্যা করেছে। সেখান থেকে সম্ভাব্য পাঁচটি কারণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
পরপর তিনটি বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে পরাজয়: মেসি নিজেই বলেছেন, আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি সর্বোচ্চ চারটি আসরের ফাইনাল খেলেছেন; অথচ একটিও জিততে পারেনি। বিশেষ করে অধিনায়ক হয়ে তিন বছরে তিনটি ফাইনাল হেরেছেন। এর দায় পুরোটাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন। তা ছাড়া এই চিলির বিপক্ষেই
কোপার গ্রুপ পর্বে মেসিকে ছাড়াই জিতেছিল আর্জেন্টিনা; অথচ ফাইনালে তিনি নিজে থেকেও দলকে জেতাতে পারেন নি।
পেনাল্টি মিস: আর্জেন্টিনার হয়ে ১১৩টি ম্যাচ খেললেও কখনও কোনো পেনাল্টি মিস করেন নি। অথচ এবারে কোপার ফাইনালে সেই তিনিই কি-না প্রথমেই পেনাল্কিল্ট মিস করলেন! হারের জন্য নিজেকে দোষী ভাবছেন মেসি।
আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে দূরত্ব: ফাইনালের তিনদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিভ্রাট নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটটি দেরি হওয়ায় সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। তার পরই টুইটারে সমালোচনা করেন মেসি, যা কানে আসার পর ফিফাও আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নেয়। যে কারণে এএফএর সঙ্গে একটা শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় তার।
ম্যারাডোনার তির্যক মন্তব্য: কোপা চলার মধ্যেই ম্যারাডোনার এক মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অধিনায়ক মেসিকে তিনি ‘ব্যক্তিত্বহীন’ বলেন। এমনকি আর্জেন্টিনায় বসে তিনি ক’দিন আগে এমনও বলেন যে, কোপা জিততে না পারলে দেশে ফেরার দরকার নেই। এক সময়কার কোচের এমন কথায় ভীষণ আহত হয়েছিলেন মেসি।
স্বদেশি মিডিয়ার সমালোচনা: আর্জেন্টিনার মিডিয়াগুলো বরাবরই মেসির সমালোচনায় মুখর। তাদের অভিযোগ, মেসি যতটা না আর্জেন্টিনার, তার চেয়ে বেশি বার্সেলোনার। মেসি ১৩ বছর বয়সেই বার্সেলোনা একাডেমিতে যোগ দেন। তাকে স্পেন জাতীয় দলেও খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা গ্রহণ করেননি। আর্জেন্টাইন মিডিয়ার অভিযোগ, মেসি আবেগ দিয়ে দেশের জন্য খেলেন না। এ জন্যই দেশের হয়ে কোনো ট্রফি জিততে পারেননি তিনি।