ব্যান্ডউইথের মূল্য অন্তত ২০ শতাংশ দাম কমছে। যোগাযোগ করুন ব্রডব্যান্ড প্রভাইডারের সাথে!!!!!

25
396

ব্যান্ডউইথের মূল্য পুন:নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে। এ দফায় অন্তত ২০ শতাংশ দাম কমছে।

নতুন এ দর দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইথ পাওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।

এদিকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলটির ল্যান্ডিং স্টেশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হওয়ায় সেখানে ব্যান্ডউইথের দাম আরও একটু কম করা হবে। এ জন্য খুলনায় একটি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) তৈরির কাজ শুরু করেছেন।

 

তখন বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, খুলনা, যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইন্টারনেট সেবা আরও স্বল্পমূল্যে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাম কমানোর একটি খসড়া প্রস্তাব তারা ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন। আগামী বোর্ড সভায় তা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কতোটা কমানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

বর্তমানে বিএসসিসিএলের একটি অফারের হিসেবে ১০ জিবিপিএস ভলিউমের একটি ব্যন্ডউইথের পাইকারি মূল্য প্রতি এমবিপিএস ৫৬২ টাকা।

নতুন প্যাকেজগুলো অন্তত ১০ জিবিপিএস হবে বলে জানান মনোয়ার।

এমডি জানান, এরই মধ্যে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশ। তবে রাজধানী পর্যন্ত সংযোগ লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় নতুন ব্যান্ডউইথ পেতে আরও একটু সময় লাগবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এ জন্য তার সময়সূচী পেতে এরই মধ্যে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মনোয়ার।

চলতি মাসেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা চলছে। এর মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য ও দ্রুততর হবে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। তবে তখন ঢাকা থেকে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের ট্রান্সমিশন লিংক সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য চালু করা যায়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নতুন কেবলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এখন রপ্তানির চেয়ে দেশের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে আগ্রহ বেশি বিএসসিসিএলের।

এমডি বলেন, ইতোমধ্যে ভুটান, নেপাল, ভারতের সাত রাজ্যসহ মালয়েশিয়া, মিয়ানমারে রপ্তানির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য দেশ অনুযায়ী ভিন্ন হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বর্তমানে ভারতে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে। এর মূল্য ৮০০ টাকা প্রতি এমবিপিএস।

এর বিপরীতে ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রায় আড়াইশ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। মূলত বেসরকারি ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান আমদানি করে, যার গড় মূল্য প্রতি এমবিপিএস তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল চালু হলে আমদানির পরিমান নিশ্চিতভাবে কমবে।

২০১৬ সালের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা চলতি বছরে গড়িয়ে যায়।

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের (জিবি) বেশিব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে। নতুন এ সাবমেরিন কেবলের মেয়াদকাল ২০ থেকে ২৫ বছর।এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-ইউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here