সেরা ১০ টি আবিষ্কার যা পাল্টে দিয়েছে পৃথিবীকে !!

4
527

বর্তমান বিজ্ঞান এক দিনে এত সমৃদ্ধ হয়নি।বড় বড় সব আবিষ্কার এর পেছনে কেবল একজনের হাত নেই; যুগে যুগে বহু জাতি, গোত্র এসব এর পেছনে কাজ করেছে; পরিশেষে পুরনতা দিয়েছে হয়ত একজন মানুষ। যাকে আমরা আবিষ্কারক বলে থাকি।প্রাচীন পাঁথরের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বর্তমান ডিজিটাল যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন এর মধ্য দিয়ে মানবজাতির বিকাশ ঘটেছে। সর্বশেষ আমরা পেয়েছি আমাদের এই আধুনিক বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের বহু আবিষ্কারের মধ্যে এখানে ১০ টি সংক্ষেপে তুলে ধরা হল – 

১.চাকা

প্রাচীনতম এই আবিস্কারটি বর্তমানে আমাদের ভ্রমন ক্ষেত্রে এক ব্যাপক বিল্পব ঘটিয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এর হিসেবে সবচাইতে প্রাচীন চাকা তৈরি হয়েছিল ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন মেসোপটেমিয়াতে।তারপর থেকে লক্ষাধিক বার চাকার নতুন নতুন এবং উদ্ভাবনী নকশার ফলে বর্তমানে এটি প্রতিটি আধুনিক যানের এক অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

২.বাষ্প ইঞ্জিন

টমাস সাভেরী সর্বপ্রথম ১৬৯৮ সালে বাষ্প ইঞ্জিন চালু করেন। তারপর ১৭৮১ সালে জেমস ওয়াট এর একটি উন্নত সংস্করন আনেন। আর যেটি বাষ্প ইঞ্জিন হিসেবে ধীরে ধীরে শিল্প বিপ্লব বয়ে আনে। ১৮ দশকে এই বাষ্প ইঞ্জিন পরিবহন, কৃষি এবং উৎপাদন কারখানাগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং এদিকগুলোতে এক বিরাট বিপ্লব ঘটে।

৩.কম্পাস

এই কম্পাস মূলত আবিষ্কার হয়েছিল আধ্যাত্মিক এবং নৌসংক্রান্ত উদ্দেশ্যে।খুব সম্ভবত ১০৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনের লোকেরা এটি আবিষ্কার করে। এটি মূলত তৈরি হয়েছিল আকর্ষক পদার্থ দিয়ে; এর ভেতর চৌম্বক এর সকল বৈশিষ্ঠই বিদ্যমান ছিল।১৮২৫ স সালে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটের আবিষ্কর্তা আধুনিক কম্পাসগুলির উন্নয়নে নেতৃত্ব দেন।জিপিএস প্রযুক্তি থাকার পরও অ্যানালগ নেভিগেশন এবং এই নেভিগেশন বিজ্ঞানকে এক নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই কম্পাস বিপ্লবী ভূমিকা রাখে।

৪.অটোমোবাইলস

যদিও ১৮৮৬ সালে আধুনিক গাড়ী তৈরির পথীকৃৎ হিসেবে কাজ করে জার্মান আবিস্কারক, তবুও তখন বানিজ্যিকভাবে ব্যাপক পরিসরে এই গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে হেনরী ফোর্ড তার ফোর্ড কোম্পানির মাধ্যমে বানিজ্যিক গাড়ি উৎপাদন এর মানসম্মত কৌশল বের করে এবং উৎপাদন শুরু করে। বর্তমান সময়ে এই আধুনিক যানবাহন অর্থনৈতিক ব্যবস্হার সূচকে পরিণত হয়েছে।

৫.কনক্রীট

কনক্রীট বা সিমেন্ট হল কৃত্রিমভাবে তৈরি সবচাইতে প্রথম মানব-আবিষ্কৃত কোন উপাদান। সিমেন্ট একটি যৌগিক উপাদান বা যৌগিক যৌগমূলক।এটি পানির বা অন্য তরল পদার্থ সাথে মিশে কঠিনে পরিবর্তিত হয়।এই আবিস্কারটি বর্তমান পথিবীর গৃহ নির্মান শৈলীর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

৬.বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ হল আমাদের জীবনের সবচাইতে মৌলিক একটি প্রয়োজন, এটি ছাড়া আমাদের জীবন-যাত্রা যেন থেমে যায়। বিদ্যুত এর আবিষ্কার এর পর থেকে পৃথিবী এক নতুন আলোকিত পথে হাটতে শুরু করেছিল; আজ সে দৌড়াচ্ছে এবং এই গতি বেড়েই চলেছে।পৃথিবীর শুরু থেকেই এই বিদ্যুত এর অস্তিত্ব ছিল।

স্হির বিদ্যুত হিসেবে এটি নানাবার পরিলক্ষিত হয়েছেও বটে। তবে অপেক্ষা ছিল কিছুতাত্ত্বিক ব্যাখার যার মাধ্যমে এই বিদ্যুতকে ব্যবহার্য করে যেন, অনেক অসাদ্য করা যায়। এই বিদ্যুত এর জন্য সাফল্যের বছর ছিলো ১৮৩১ সাল।ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে এই বছর বিদ্যুত উৎপাদন এর মৌলক কৌশল সম্পর্কে ধারনা আবিস্কার করেছিলেন। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক আবেশন তত্ত্বের মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু করেন তিনি।

৭.বৈদ্যুতিক বাতি

আজ আমরা বাসা বাড়ি,অফিস সহ সর্বত্র যে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করি এটি এসেছে ১৫০ বছর আগের এক উজ্জ্বল ধারনা থেকে।১৮ শতকে হমফ্রি ডেভি এর দ্বারা বৈদ্যুতিক আলো বা বাতি বিকশিত হয়।১৯৮০ এর দিকে সিএফএল বা আমরা যাকে এনার্জি লাইট বলি সেটি বাজারে ব্যাপক চাহিদা ফেলে।যাইহোক,এই বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারে মানবজাতি ব্যাপক উপকৃত হয়েছে এবং এটি থেকে নতুন নতুন অনেক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এর আইডিয়াও এসেছে।

৮.প্রিন্টিং প্রেস

ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য ছড়িয়ে আগে; প্রিন্টিংপ্রেস তথ্য ও জ্ঞান সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সহযোগিতা করেছিল। ১৪৪০ সালে জার্মানীর জোহানস গুটেনবার্গ এই মেশিনেরর কার্যপদ্ধতি আরও উন্নত করেন।তারপর এইসংস্করন থেকে তখন কেবল ইউরোপেই ২০ মিলিয়ন কপি ছাপানো হয়। ১৬০০ তে এখান থেকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন বই ছাপা হয়।

৯.ক্যামেরা

ক্যামেরা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মনুষ্য সৃষ্টির সেরা একটি আবিষ্কার। ক্যামেরা প্রথম প্রথম আবিষ্কার এর মিডিয়া জগত বা বিনোদন জগতের মোড় ঘুরে যায়; আবিষ্কার হয় টেলিভিশন।মাত্র কয়েকদশক এর মধ্যে রেডিও কেন্দ্রীক মানুষ ঘুরে আসে টেলিভিশন এর দিকে।

১০.ইন্টারনেট

বাল্ব বা টেলিফোন এর মতন ইন্টারনেট আবিষ্কার এর পেছনে কোনো এক ব্যক্তির হাত নেই।বহু সময় ধরে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় ১৯৫০ সালে আমেরিকার মধ্যে এটি চালু করা হয়। 1990 দশকের মাঝামাঝি থেকে, ইন্টারনেট বর্তমান প্রযুক্তিতে বিপ্লবী প্রভাব ফেলে।এসময় প্রাথমিকভাবে ইলেক্ট্রনিক মেইল বা ইমেইল ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়।২০০০ সালে গুগল এর ফলে ইন্টারনেট এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা উভয়ই বেড়ে যায়। গুগল ইন্টারনেটে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করে।

4 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here