হ্যাকারদের কবল থেকে রক্ষা পাবেন যে কাজ গুলো করলে!

8
308

গত মে মাসে বিশ্বের অন্তত ৭৪টি দেশের কম্পিউটার ব্যবস্থায় হানা দিয়েছিল হ্যাকাররা। এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা তখন শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় থাকতে পারে বাংলাদেশও। গত এপ্রিলে বিটিআরসির দেওয়া তথ্যমতে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেকসংখ্যক জনগোষ্ঠীই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ২০ লাখের কাছাকাছি। কিন্তু আমাদের এ বিশালসংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে কজন, হ্যাকিং ঝুঁকি থেকে নিজেদের অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা করতে জানেন? আসুন জেনে নিই তার কয়েকটি উপায়।

পাসওয়ার্ড
মেইল কিংবা অনলাইন অ্যাকাউন্টে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে পাসওয়ার্ডই আপনার প্রথম সুরক্ষাকবচ। দুর্বল পাসওয়ার্ড কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ, তা বোঝানো যায় ইউএসএ টুডে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে-ছয় বর্ণের একটি পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে একজন হ্যাকারের প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে। কিন্তু এই ছয় বর্ণের সঙ্গে আরও চারটি বর্ণ যোগ করুন, একজন হ্যাকারের তা ভাঙতে সময় লাগবে ৪৫ হাজার বছর!

দুই স্তরের নিরাপত্তা
ইদানীং অবশ্য জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেও হ্যাকারদের সঙ্গে কুলিয়ে ওঠা যায় না। পাসওয়ার্ড হ্যাক করা এখন আর তেমন কঠিন কিছু নয়। এ কারণে ‘টু-স্টেপ অথেনটিকেশন’ বা দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করুন। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ব্যবহারকারীকে তাঁর অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি লগইন করার সময় আরও একটি কোড ব্যবহার করতে হয়। এতে একটি বাড়তি স্তরের নিরাপত্তা মেলে। যেমন ধরুন, অনলাইন অ্যাকাউন্টে আপনি পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার দু-একটি তথ্য জানতে চাওয়া হবে। সেটা হতে পারে আপনার পছন্দের গাড়ি কিংবা যেকোনো কিছু।

পরিত্যক্ত অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলুন
আমাদের অনেকেরই একের অধিক অনলাইন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে হয়তো একটি নিয়মিত ব্যবহার করছি, কিন্তু বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। পরিত্যক্ত এ অ্যাকাউন্টগুলো থেকে খুব সহজেই আপনার গুরুত্বপুর্ণ তথ্য চুরি করে নিতে পারে হ্যাকাররা। এ কারণে পরিত্যক্ত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করুন।

ফোনের ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন
ফোনে যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না, তখন ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন। হ্যাকাররা সব সময় এ ধরনের সুযোগ খুঁজে থাকে। ফোনে সব সময় ওয়াইফাই চালু রাখলে আগে আপনি কোন কোন নেটওয়ার্কে সক্রিয় ছিলেন, তা হ্যাকাররা জানতে পারে। হ্যাকাররা এ নেটওয়ার্কের ছদ্মবেশে নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি করে সেখানে আপনার ফোনের ওয়াইফাই কিংবা ব্লুটুথ সংযুক্ত করার প্রলোভন দেখায়। আপনি এ প্রলোভনে পা দিলেই সর্বনাশ। আপনার ফোনে নানা রকম ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে তারা আপনার তথ্য চুরি করবে। এ কারণে ফোনে সব সময় ওয়াইফাই চালু রাখবেন না।

এইচটিটিপিএস ব্যবহার করুন
এইচটিটিপিএসের অর্থ হলো হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল সিকিউর। এটি অনলাইনে নিরাপদ যোগাযোগব্যবস্থা, যা দিয়ে এক ওয়েবসাইট থেকে আরেক ওয়েবসাইটে স্পর্শকাতর কোনো তথ্য সরবরাহ করা যায়। এ টুলটি আপনার ব্রাউজারের সব তথ্য ‘এনক্রিপ্ট’ করে।

8 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here