জীবনের খোঁজে এক্সোমার্স মিশন

9
326

আমাদের গ্রহের বাইরে যেসব গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীরা বেশি উত্তেজিত, তার নাম হচ্ছে মঙ্গল। নানা ধরণের মিশন, গবেষণা, সভা সেমিনার ইত্যাদি কেন্দ্রীভূত হচ্ছে এই ‘লালরঙ্গা’ গ্রহটিকে নিয়ে। তারই একটি হচ্ছেদ্য এক্সোমার্স ২০১৬। কি এই এক্সোমার্স?
দ্য এক্সোমার্স ২০১৬ এর মিশন অনুযায়ী এটি তার গন্তব্যে, অর্থাৎ মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে ১৯ অক্টোবর। প্রথম দফায় ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কাজ হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের বহিঃপৃষ্ঠে ঘুরপাক খাওয়া যাতে করে গ্রহের আবহাওয়া সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারনা আরো স্পষ্ট হয় এবং দ্য এক্সোমার্স এর একটি খোলক মঙ্গলের পৃষ্ঠে ফেলবে।
এক্সোমার্স মিশন আসলে কি?
এক্সোমার্স নামকরণ করা হয়েছে এক্সোবায়োলজী বা “বহিঃজীববিজ্ঞান” এর নামানুসারে। এর কাজ হচ্ছে এই লাল রঙা গ্রহটির মাঝে কোন সুপ্ত প্রাণের অস্তিত্বের দেখা মেলে কি না, তা নিয়ে অনুসন্ধান করা। প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গলের মাঝে বিপুল পানির অস্তিত্ব ছিল বলে বিজ্ঞানীরা জেনেছেন। এই ধরণের পরিবেশ জীবন ধারণের জন্য অনুকূল বলে তারা মনে করেন। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে জীবন ধারণ করবার কিছু প্রমাণ অবশ্যই থেকে থাকবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। এটি ফসিল আকারেই হোক কিংবা জীবাণু, এটি সন্ধান করাই এক্সোমার্স মিশনের কাজ।
বিজ্ঞানীদের আরেকটি ধারণা হচ্ছে, মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব এখনো থেকে থাকতে পারে। এখানে পাথুরে কিছু পৃষ্ঠ রয়েছে যেসব পৃষ্ঠে জীবন ধারণ করার আলামত পাওয়া কোন কল্পনাতীত ব্যপার হতে পারে না।
মঙ্গলে দুই ধাপে এই অনুসন্ধানটি চালানো হবে। এর মাঝে এক্সোমার্স ২০১৬ হচ্ছে প্রথম মিশন। পরবর্তী মিশন হচ্ছে এক্সোমার্স ২০২০।
এক্সোমার্স ২০২০ মিশনটির কাজ হবে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা সম্পর্কে ভালোভাবে অনুসন্ধান করা এবং সেখানে ধাতব কোন পদার্থ পাওয়া যায় কি না তা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো। স্কিয়াপারেল্লি স্পেসক্রাফট এবং তার ছোট যান ব্যবহার করা হবে এই প্রাথমিক অনুসন্ধান কাজের জন্য।
এখানে যানটি মঙ্গল পৃষ্ঠে অবতরণ করানো হবে প্যারাশুটের সাহায্যে।

মঙ্গল গ্রহের রহস্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের এতো সাধনা আসলেই ফলপ্রসূ হয় নাকি, এটাই এখন দেখবার বিষয়।

9 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here