টাকা গননা ও জাল নোট ধরা মেশিন: ফুল রিভিউ

25
427

আজকে আমি আপনাদের জানাবো Money Counting Machine with Fake Note Detector বা টাকা গোনার মেশিন এবং জাল টাকা কিভাবে ধরে এবং ঠিক কি কি সুবিধার কারনে আপনি এই মেশিন ব্যবহার করতে পারেন।

ধরুন আপনার একটি দোকান রয়েছে যেখানে দৈনিক অনেক প্রকার লুজ নোট জমা হয়। ২ টাঁকা থেকে শুরু করে ৫ টাকা,১০টাকা,২০টাকা,৫০টাকা,১০০টাকা,৫০০টাকা,১০০০টাকার নোট জমা হয়।

দিন শেষে এই টাকা গোনার জন্য অনেকটা সময় বরাদ্দ রাখতে হয় আপনাকে।

আবার অনেকেই বান্ডিল এর সুবিধার জন্য প্রত্যেক নোট গুলুকে আলাদা আলাদা ভাবে সাজিয়ে রাখতে চান হিসেব সহজ করার জন্য।

কিন্তু এই মেশিন এর মাদ্ধমে আপনি আলাদাভাবে সকল প্রকার নোট কয়টা রয়েছে সেটা গুণতে পারবেন। এবং যদি এমন হয় টোটাল কত টাঁকা হল সেটা কাস্টমারকে দেখাতে হয় সেক্ষেত্রে এর রয়েছে একটি এক্সটারনাল বা বাড়তি ডিসপ্লে। যার ফলে সহজেই সেই ডিসপ্লেতে যে কেউ কত টাকা হল সেটাঅ দেখতে পারবেন।

ধরুন আজকে আপনার দোকানে সবমিলিয়ে ২ টাকার নোট জমা পড়েছে ৩৫২০ টি। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনি শুধু ২ টাকার নোটগুলুকে আলাদা করে রাখবেন এবং শেষে মেশিন এর মাদ্ধমে গুনে নিতে পারবেন টোটাল কতগুলু নোট জমা পড়েছে এবং সব মিলিয়ে কত টাকা হয়েছে।

আপনি চাইলে এই নোট থেকে ১০০ টা করে বান্ডিল করতে পারবেন। ঠিক ১০০ নোট গোনার পরেই মেশিন অটোমেটিক গোনা বন্ধ করে দেবে এবং সেই টাকা সরিয়ে নেবার পরেই আবার ১০০ টি নোট গুনবে।আর আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই ১০০ পরিমান নোট গুণতে এই মেশিন এর সময় লাগে মাত্র ৬ থেকে ৭ সেকেন্ড!!!!

রয়েছে ব্যাচ কাউন্টিংঃ

এই ধরনের মানি কাউন্টার মেশিনে রয়েছে ব্যাচ কাউন্টিং সুবিধা। ধরুন আপনি চাচ্ছেন অনেক টাকা থেকে আপনি ৫০ বা ২০ টা করে আলাদা আলাদা ভাবে সাজিয়ে রাখতে। সেক্ষেত্রে আপনি ৫০ বা ২০ টা সিলেক্ট করে দিলেই হয়ে যাবে।

কাস্টম কাউন্টিংঃ

আপনি যদি মনে করেন শুধু ব্যাচ কাউন্টিং এর মাদ্ধমে আপনার হচ্ছে না তবে আপনি কাস্টম ভাবে কাউন্টিং সেট করে নিতে পারেন। যেমন ১৭,২৩,৩৯, ৮৯ যে কোন সংখ্যার পরিমান নোট এই মেশিন আপনাকে গুনে দিতে সহায়তা করবে।

এমজি ডিটেকশনঃ

এমজি ডিটেকশন বলতে সাধারনত আমরা বুঝে থাকি ম্যাগনেটিক ডিটেকশন। অর্থাৎ দুনিয়ার যে সকল নোটে ম্যাগনেটিক পদার্থ দিয়ে তৈরি ঠিক সেই সকল নোট জাল কিনা সেটা খুব সহজেই ধরতে পারবে এই মেশিন। যদিও বাংলাদেশি টাকা গুলুতে ম্যাগনেটিক পদার্থ দেওয়া হয়না, ঠিক এই জন্যই জাল টাকার ছড়াছড়ি একটু বেশিই আমাদের দেশে। উন্নত দেশগুলুতে ম্যাগনেটিক পদার্থ ব্যবহার করে তারা তাদের দেশি টাকা বানিয়ে থাকে।

ইউভি  ডিটেকশনঃ 

ইউভি  ডিটেকশন মানে হল আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতির মাদ্ধমে জাল টাকা সনাক্ত করতে পারে এই ধরনের মেশিন।

এই ধরনের মানি কাউন্টার এর সবচাইতে বড় সুবিধা হল একসাথে ইউভি  ডিটেকশন এবং ম্যাগনেটিক ডিটেকশন করতে পারে। যার ফলে বাংলাদেশি টাকা ছাড়াও দুনিয়ার যে কোন টাকা জাল কিনা সেটা ধরে ফেলতে পারে।

ফেক নোট ডিটেকশন বা জাল টাকা ধরাঃ 

আমার মতে ফেক নোট বা জাল টাকা ধরার জন্য এই মেশিন যে অধিক কার্যকর তা প্রমান করতে বান্ডিল এর ভেতর যদি কোন জাল টাকা থাকে তবে সেটাও ধরে ফেলতে পারে। এবং জখনি কোন জাল টাকা ধরা পড়বে ঠিক তখনি অটোমেটিক টাকা গোনা বন্ধ করে দেবে। তার মানে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন মেশিনে জাল টাকা ধরা পড়েছে।

তাই এতগুলু প্রয়োজন যদি মেশিন মেটাতে পারে তবে আশা করি সেটা একটা ভালো প্রোডাক্ট। আর সেই সাথে রয়েছে ২ বছরের ওয়ারেন্টি।

মেশিনের সাথে যা যা থাকছেঃ

১. মেশিন।

২. পাওয়ার ক্যাবল।

৩. আলাদা একটি ডিসপ্লে।

৪. হেড পরিস্কার করার জন্য একটি তুলি।

 

আর কেমন লাগলো এই টিউন সেটা টিউমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আপনাদের উৎসাহ না পেলে আরেকটা লিখার প্রেরনা কোথায় পাবো ???

আর ভালো লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু

সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন- এই দোয়া করি আল্লাহ্‌র কাছে।

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here