আরসাকে ”বিপদজনক সংস্থা” আখ্যা দিয়ে রোহিঙ্গাদের তথ্য মুছে দিচ্ছে ফেসবুক

24
424

মিয়ানমারের রখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গোপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন নিয়ে পোস্ট, ভিডিও এবং লেখাগুলো সম্প্রতি সেন্সরের কবলে পড়ছে। এছাড়া রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপ দ্যা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্ম-আরসাকে ‘বিপদজনক সংস্থা’ অ্যাখ্যা দিয়েছে ফেসবুক।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গ্রুপ দ্যা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্ম-আরসাকে ‘বিপদজনক সংস্থা’ অ্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুক এই গ্রুপের বা এর প্রশংসাসূচক কনটেন্টগুলোও মুছে দিতে মডারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে তারা। তবে সমালোচকরা বলছেন, এরকম একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেসবুক আসলে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপরই সেন্সর আরোপ করেছে। ফেসবুক মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমনের চেষ্টা করছে বলেও মত তাদের।

গত ২৩ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এরপর রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিধন চলছে বলে জাতিসংঘ ঘোষণা করে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ফেসবুক আরসা’র বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মিয়ানমার সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

অ্যাক্টিভিস্টদের অভিযোগ, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বর্বর ও নিষ্ঠুর অভিযান সংক্রান্ত পোস্ট সেন্সর করছে ফেসবুক। আরসাকে বিপজ্জনক সংস্থা বললেও অন্য যে পক্ষটির কারণে এই চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে নিজ বাড়িঘর ফেলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে হয়েছে তাদের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফেসবুক। দেশটির সেনাবাহিনীকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা বা তাদের কোনও পোস্ট মুছে দিতে রাজি নয় ফেসবুক।

ফেসবুকের এমন সিদ্ধান্তে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি’র মুখপাত্র জো তে স্বাগত জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।এর আগেও ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার একটি ছবি সেন্সর করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলো ফেসবুক। কিছু নীতিমালা পরিবর্তনের পাশাপাশি তারা সিদ্ধান্ত নেয়, জনস্বার্থের ক্ষেত্রে সংবাদ মূল্য, তাৎপর্য বা গুরুত্ব বিবেচনায় ছবি অনুমোদন করবে তারা।

24 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here