23 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল 19, 2024
Home Science & Research শরীরের নিজস্ব ঘড়িকে চিনিয়ে তিন বিজ্ঞানীর নোবেল

শরীরের নিজস্ব ঘড়িকে চিনিয়ে তিন বিজ্ঞানীর নোবেল

23
299

হল শারীরবিদ্যার নোবেল পুরস্কার। জেফ্রি হল, মাইকেল রসব্যাশ, মাইকেল ইয়ং— এই তিন মার্কিন বিজ্ঞানীকে দেওয়া হল ২০১৭ সালের শারীরবিদ্যার নোবেল। সার্কাডিয়ান রিদম বা বডি ক্লক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা এবং মৌলিক অনুসন্ধানের স্বীকৃতি হিসেবেই নোবেল পেলেন এই তিন জন। দিন বা রাত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রাণীর দেহ যে ধরনের আচরণ করে বা যে রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা আসলে শরীরের একটি অভ্যন্তরীণ আণবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই প্রক্রিয়াটিকেই খুঁজে বার করেছেন রসব্যাশ, হল এবং ইয়ং।

নোবেল কমিটির সদস্যরা ঘোষণা করছেন তিন নোবেল প্রাপকের নাম। পিছনের স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে তাঁদের মুখ। সোমবার স্টকহোমে। ছবি: এএফপি।

বডি ক্লক সংক্রান্ত এই গবেষণাকে শারীরবিদ্যার ভাষায় ক্রোনোবায়োলজি বলা হয়। যে তিন বিজ্ঞানী এ বার শারীরবিদ্যার নোবেল পাচ্ছেন, পৃথিবীতে ক্রোনোবায়োলজি গবেষণার পথপ্রদর্শক তাঁরাই। দিন ফুরিয়ে রাত নামলে বা রাত কেটে গিয়ে সকাল হলে প্রাণীর দেহ যে প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়, সেই প্রক্রিয়ায় একটি বিশেষ জিনের ভূমিকা রয়েছে। হল, রসব্যাশ এবং ইয়ং-এর গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই সত্য।

আকাশপথে দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর এক অংশ থেকে অনেক দূরের কোনও অংশে পৌঁছে গেলে কেন জেট ল্যাগ অনুভূত হয়, তা অনেক স্পষ্ট ভাবে জানা গিয়েছে এই তিন মার্কিন বিজ্ঞানীর গবেষণা থেকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানকেও নতুন দিশা দেখাচ্ছেন এই তিন জন। বডি ক্লকের গতিবিধি, সেই গতিবিধির প্রক্রিয়া এবং কারণ এতটাই স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন এই তিন বিজ্ঞানী যে, চিকিৎসকরা এখন বডি ক্লক বিশ্লেষণ করে রোগীকে ওষুধ খাওয়ানোর উপযুক্ত সময় খুঁজে বার করার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। এই সব যুগান্তকারী গবেষণা সম্ভব হয়েছে জেফ্রি হল, মাইকেল রসব্যাশ এবং মাইকেল ইয়ং-এর মৌলিক গবেষণার কারণেই। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিশাল অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই নোবেল দেওয়া হল তিন বিজ্ঞানীকে।

23 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here