মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হচ্ছে। আর তা সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।
প্রতিদিন গড়ে ১৩ কোটি মিনিট টাকা আদান-প্রদানের তথ্য ছাড়াও আরও ১০ কোটি এসএমএস লেনদেন করতে হচ্ছে তাদেরকে। আর এর বেশীরভাগ হয়ে থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। এতে এই সময়ে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়ে নেটওয়ার্ক।
শনিবার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের কার্যালয়ে অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এ বিষয়গুলো অালোচনায় আসে।
অপারেটরগুলো বলছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের ওপর বাড়তি এই চাপের ফলে গ্রাহকদের ভয়েস কল যেমন মাঝে মধ্যেই ড্রপ হচ্ছে তেমনি অনেক দূর্বল কলও হচ্ছে।
অনেক সময় গ্রাহক নিজের প্রান্তে কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু অন্য প্রান্তে কিছু শুনতে পাওয়া যায় না। তখন আবার কল ড্রপও হচ্ছে না।’
আর এই পরিস্থিতির জন্য এমএফএসের অপ্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান এবং এসএমএসকে কারণ হিসেবে বলছেন তারা।
মোবাইল অপারেটগুলোর কথা, এমএফএস অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তি অনুয়ায়ী যেসব এসএমএস আয় হবে তার ৭ শতাংশ মোবাইল অপারেটরা পাবে। আর যেগুলোতে আয় হবে না সেখানে কিছুই পাওয়ার নেই।
‘এর ফলে অপারেটররা অনেক কিছুই ফ্রি করে দিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট তথ্য জানার বিষয়টি একেবারেই ফ্রি।’
অন্যদিকে কেবল ক্যাশআউটের জন্যই এমএফএস অপারেটররা এক হাজার টাকায় সাড়ে ১৮ টাকা আয় করছেন, যেটি আবার অনেক দেশের তুলনায় বেশি।
এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছেন, ফি না দিয়ে সেশনভিত্তিক চার্জ আরোপ করলে তাতে গ্রাহকের খরচ বাড়বে না। এতে তাদের নেটওয়ার্কের ওপর চাপটাও কমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে গত আগস্ট মাসে দেশে এমএফএসের মাধ্যমে ৩২ হাজার ১৮২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর ওই মাসে সব মিলে কার্যকর অ্যাকাউন্ট ছিল ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার।