সাড়ে ১০ বস্তা সিভি কী করবে যশোর সফটওয়্যার পার্ক…?

25
429

সেদিন জনসমুদ্র আছড়ে পড়ছিল যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে। খাকি খামের ভেতরে স্বপ্ন নিয়ে হাজার হাজার যুবা যখন পার্কে ঢুকতে চাইছিল তখন ঘাবড়ে যায় চাকরি মেলার আয়োজকরাও।

৫ অক্টোবর ওই পার্কে বসেছিল চাকরি মেলা। ঢাকা হতে ৩০টি মতো দেশি-বিদেশী কোম্পানি এতে অংশ নেয় কর্মী নিয়োগ দেবে বলে।

কথা ছিল প্রার্থীরা মেলায় এসে কোম্পানিগুলোর স্টল ঘুরে কোথায় কি চাকরি-যোগ্যতা ইত্যাদি জেনে উপযুক্ত জায়গায় সিভি জমা দেবে। এরপর তা বাছাই করে স্পট ইন্টারভিউয়ে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

কিন্তু প্রার্থীদের জনসমুদ্রের স্রোতে ভেস্তে গেছে এই পরিকল্পনা। পরিস্থিতি সামলাতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। মেলার ভেতরে ঢুকতে না পেরে পুলিশের কাছে দিয়ে, গেটের দিকে ছুড়ে সিভি ফেলে যায় প্রার্থীরা।

দিন শেষে হাজার হাজার সিভির স্তুপ জমে পাহাড় হয়ে যায়। আর সিভির পাহাড় ও জনসমুদ্রের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রশ্ন ওঠে এসব সিভি আদৌ কি মূল্যায়ন করা হবে?

যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম-সচিব জাহাঙ্গীর আলম টেকশহরডটকমকে জানান, ‘যারা আবেদন করেছেন, যাদের সিভি পাওয়া গেছে সবাই মূল্যায়িত হবেন।’

তিনি জানান, ‘চাকরি প্রার্থীদের অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত ভিড় হওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টলগুলো হতে স্পট নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো যায়নি। সবার পরামর্শে ও সিদ্ধান্তে তখন আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়া হয়।’

‘কারণ ভেতরে এত ভিড় সামলানোর মত কোনো অবস্থা ছিল না। এর মধ্যেও সেমিনার হতে কাজী আইটি, অন এয়ারসহ কয়েকটি কোম্পানি কিছু নিয়োগ দিয়েছে’

সাড়ে ১০ বস্তা সিভি পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘সিভিগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এগুলো ডেটাবেইজে আনা হবে। এরপর যোগ্যতা ও চাহিদা অনুয়ায়ী এখান হতে কোম্পানিগুলো তাদের কর্মী নিয়োগ দেবে। কারও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেকটি সিভি দেখা হবে।’

জাহাঙ্গীর আলম জানান, যশোরের এই সফটওয়্যার পার্কে শুরুতে প্রায় ৩ হাজার লোকের চাকরি হবে। যোগ্যতা পূরণ করলে এসব নিয়োগ এই মেলার আবেদকারীদের হতে পূরণ করা হবে।

যশোরে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম চাকরি মেলা ছিল এটি। মেলায় কর্মী নিয়োগে অংশ নেয়, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, অগমেডিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, এমসিসি, অন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কাজী আইটি সেন্টার, ফিফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ডিজিকন টেকনোলজিস, ওয়ালটন কম্পিউটার্স, ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়াস লিমিটেড, যশোর আইটি, প্রিনিয়র ল্যাব, এনআরবি জবস, ওয়াটার স্পীড, উৎসব টেকনোলজিস লিমিটেড, সাজ টেলিকম, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, স্টেলার ডিজিটাল লিমিটেড, অ্যাম্বার আইটি লিমিটেডসহ আরও কিছু কোম্পানি।

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here