এবার যুদ্ধের ময়দানে ট্রান্সফরমার্স রোবট ‘ফ্যান্টম’!

8
332

প্রযুক্তির কল্যাণে এবার যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের বদলে রোবটের অাবির্ভাব ঘটেছে। এখন সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করবে রোবট

সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ওয়ান।

যেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা অ্যাডাপ্টেবল যুদ্ধ রোবট উন্মোচন করেছেন, যেটি ট্রাভেল যান এবং এমনকি অস্ত্রযান হিসেবে রূপান্তরিত হতে পারে। ‘ফ্যান্টম’ নামের এই রোবটটি যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত মনুষ্যবিহীন বহুমুখী যান এবং দেখতে ট্যাংকের মতো, ছয়টি চাকা রয়েছে এবং এটি অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র, গ্রেনেড লঞ্চার বা মেশিন গান বহন করতে পারে।

সোমবার রোবটটি মার্কিন আর্মির অ্যাসোসিয়েশনে প্রদর্শিতও হয়েছে এবং আগামী বছর এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।

জানা গেছে, ফ্যান্টম টানা ২০ কিলোমিটার (১২.৪ মাইল) পর্যন্ত চলতে পারে এবং সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৮ কিলোমিটার। বহুমুখী এই যুদ্ধযান দূর থেকে পরিচালনা করা যায়, এটি দিনে ও রাতেও কাজ করতে পারে এবং ১ কিলোমিটারের (০.৬ মাইল) বেশি দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে ফায়ার করতে পারে। নিরাপদ রেডিও চ্যানেল ব্যবহার করে এটিকে দূর থেকে পরিচালনা করা যায় অথবা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করেও পরিচালনা করা যায়।

নির্মাতাদের মতে, এটি যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাবারুদের পরিবহন, যুদ্ধের মিশন সম্পন্ন করা, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আহত সৈন্যদের উদ্ধার করতে পারে।

রোমান রোমানভ, হেড অব এসসি জানান, ‘বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার সুবিধার মনুষ্যবিহীন এই যুদ্ধ যান, প্রযুক্তি যুগের চ্যালেঞ্জগুলোর একটি ছিল

বর্তমানে সৈন্যরা তাদের জীবন বিপন্ন করে যে ঝুঁকিগুলো নিয়ে থাকে, সেগুলো নানা ভাবে সম্পাদনে এটি খুবই কার্যকরী। ’

ডিফেন্স ওয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রের নতুন এই রোবট যান, রাশিয়া সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। রাশিয়ারও রোবট যুদ্ধ যান রয়েছে তবে তারা এখনো পরিষ্কার করে কিছু বলেনি যে, সেগুলো যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত কিনা।

সেন্টার ফর নেভাল অ্যানালাইসিস এর গবেষক স্যামুয়াল বেনডেট বলেন, ‘ইউক্রেন মনুষ্যবিহীন যুদ্ধ সরঞ্চাম তৈরি করছে, যা তাদেরকে লড়তে সাহায্য করবে। ’

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরেই রোবটিক যুদ্ধ যান ও সরঞ্চাম নিয়ে তাদের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। গত বসন্তে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি নেভি ক্যাম্পে গবেষকরা ৫০টি রোবটিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর মতে, সম্মুখ যুদ্ধে উচ্চতর প্রযুক্তি ড্রোন এবং অস্ত্রচালিত রোবট ব্যবহারে সৈন্যদের জীবন রক্ষা করতে সহায়ক হবে। লড়াইয়ের প্রথম দিকে অবস্থান করা রোবটিক অস্ত্রগুলো প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিতে পারবে। এছাড়াও মার্কিন নৌবাহিনী এমন ধরনের স্পিডবোড পরীক্ষা করছে, যা গোপন সাবমেরিনে রূপান্তরিত হতে পারে।

8 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here