পেইপাল না, বাংলাদেশে ঘোড়ার ডিম আসলো ১৯ই অক্টোবর

7
832

পোস্ট টি পড়লে ব্যাপক বিনোদন পাবেন। ১৯ ই অক্টোবর পেইপাল আসার কথা থাকলেও আসছে না পেইপাল এর মূল সার্ভিস। এটা আমার মূখের কথা না। এটা বলেছনে আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। উনি যা বললেন উনার গত পরশু দিনের ফেসবুক পেইজের পোস্টে।

#১৯ অক্টোবর কি পেপ্যাল নাকি জুম চালু হচ্ছে?

PayPal Holdings, Inc বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক পেমেন্ট কোম্পানি । পেপ্যালের জুমের এর মাধ্যমে দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক লেনদেন, মোবাইল লোড এবং বিল প্রদান করা যায়। আমরা যেমন গুগলের ই-মেইল সার্ভিস জিমেইল ব্যবহার করি, তেমনি পেপ্যালের লেনদেন সুবিধাগুলোও জুমের মাধ্যমে করা য়ায়।
১৯ অক্টোবর আমরা পেপ্যালের জুম সার্ভিস উদ্বোধন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল ট্রানজেকশনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এতে করে দেশের বাইরের পেপ্যাল একাউন্টধারী সহজেই তার একাউন্ট থেকে সরাসরি বাংলাদেশী জুম গ্রাহকের একাউন্টে অর্থ পাঠাতে পারবেন(ইনবাউন্ড)।

#যে কোন পেপ্যাল একাউন্টধারী কি বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন?

– ইউএসএ-তে পেপ্যালের যে কোন একাউন্টধারী বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
– এক্ষেত্রে প্রেরকের অবশ্যই ইউএসএ-তে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। ভূয়া একাউন্ট প্রতিরোধ করার জন্য প্রেরকের ডেভিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য পেপ্যাল একাউন্টের সাথে সংযুক্ত থাকতে হয়।

#গ্রাহকের একাউন্টে টাকা আসতে কত সময় লাগবে?

– কিছু কিছু ব্যাংক যেমন সোনালী ব্যাংকে ২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা জমা হবে (ব্যাংকিং সময়ে), কিছু কিছু ব্যাংকে তা ৪০ মিনিটের মধ্যেই হবে। আর যে সকল ব্যাংকের সাথে পেপ্যাল জুমের সরাসরি চুক্তি নেই, সে সকল ব্যাংকে টাকা জমা হতে ১-২ দিন সময় লাগতে পারে। কিছু কিছু ব্যাংক এই জমাদান প্রক্রিয়া দ্রুততার সাথে সম্পাদন করার জন্য কাজ করছে।

#প্রতি লেনদেনে কি পরিমাণ ফি লাগবে?
প্রতিবার লেনদেনে $ ১,০০০ পর্যন্ত মাত্র $ ৪.৯৯ ফি লাগবে। $ ১,০০০ এর ওপর লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ফি নেই।

# লেনদেন কি শুধু পেপ্যালের ইউএসএ’র গ্রাহকরা করতে পারবেন?
হ্যাঁ, প্রাথমিকভাবে শুধু ইউএসএ’’র গ্রাহকরাই অর্থ পাঠাতে পারবেন। আগামী বছর থেকে এ তালিকায় আরও নতুন নতুন দেশ সংযুক্ত হবে।

#প্রতিবারের লেনদেনে টাকা পাঠানোর সর্বোচ্চ সীমা কতো?
প্রতি লেনেদেনে সর্বোচ্চ $ ১০,০০০ পাঠাতে পারবেন।

#দেশে কি পেপ্যাল ওয়ালেট সেবা চালু হচ্ছে?

না। একজন বাংলাদেশী বাংলাদেশে বসে এখনো পেপ্যাল ওয়ালেট একাউন্ট খুলতে পারবে না [এ প্রক্রিয়ায় জড়িত সকল অংশীজন(স্টেকহোল্ডার) এর সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশ থেকে টাকা পাঠানোর আইনগত বাধাগুলো দূর না করা পর্যন্ত ওয়ালেট সেবা দেয়া যাবে না]।তবে গ্রহীতার একাউন্ট না থাকলেও তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের “বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক(বিইএফটিএন)” ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

মোট কথা হচ্ছে, ঘোড়ার ডিম পেলাম আমরা। আসলে সবার ধারণা আমাদের মন্ত্রী কি পেইপাল কি জিনিস সেটা জানেন না? তিনি তো চাইলেই বলতে পারতেন আমাদেরকে যে, দেখেন পেইপাল দেয়ার কথা থাকলেও পেইপাল দেয়া হচ্ছে না। তাই আমি দঃখিত। আসলে জুম আসতেছে। কিন্তু এটা না করে উনি শাক দিয়ে ভাত ঢাকতে চাইলেন। যার কারণে আমাদের দেশের ফ্রী ল্যান্সারগণ ইচ্ছামত বকা দিয়েছে আর পেইজের রেটিং এর অবস্থা কাহিল করে দিয়েছে… . এরপর এই পোস্ট টি ডিলিট করে দেয়া হয় তার পেইজ থেকে। উপরের যেই লিখাটুকু ছিল ঐটা উনার পোস্ট থেকেই কপি করা। কিন্তু এত গালি খাওয়ার পর কি আর সেই পোস্ট রাখা যায়? বাজে কমেন্টের সংখ্যা আমি দেখেছিলেন ৮০০+ । এছাড়াও বাজে রিপ্লাই এর সংখ্যা হাজার হাজার।

যাইহোক, ডিলিট করার পর একটা নতুন পোস্ট করা হয়েছিল, চলুন দেখি সেটার কি অবস্থা… পেইজ রেটীং ৫ থেকে এখন ১.৯

 

বাকিগুলো আপনারা নিচের লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন।

https://www.facebook.com/zapalak/posts/1613212878717263

আমি সকল মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলবো, তারা যেন অন্তত কোনো কিছু ঘোষনা দেয়ার আগে ভাল করে বুঝে নেন যে, আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। আর যেটা বলতে চাচ্ছেন সেটা কি সত্যিই সম্ভব কি না। ?

 

 

7 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here