‘সোফিয়া’কে নাগরিকত্ব দেয়ায় সৌদিতে তীব্র বিতর্ক

10
328
Sophia, a robot integrating the latest technologies and artificial intelligence developed by Hanson Robotics is pictured during a presentation at the "AI for Good" Global Summit at the International Telecommunication Union (ITU) in Geneva, Switzerland June 7, 2017. REUTERS/Denis Balibouse - RC1C8B5F2B80

রোবট নারী ‘সোফিয়া’কে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়ার পর থেকে সেখানে এখন তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ভেবে যে,  এই রোবট একজন সৌদি নারীর চেয়েও বেশি অধিকার ভোগ করছে কিনা।হংকং এর একটি কোম্পানি ‘হ্যান্সন রোবোটিক্স’ সোফিয়া নামের রোবটটি তৈরি করেছে। ‘সোফিয়া’ ইংরেজিতে কথা বলে। কিন্তু তার মাথায় হিজাব বা পরনে আবায়া (বোরকা সদৃশ আচ্ছাদন) নেই। অথচ যে কোন সৌদি নারীকে বাইরে বেরুতে হলে এসব পরেই বেরুতে হয়।

‘সোফিয়া’কে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়ার খবরটি দেখে প্রথমত সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিরভাগ প্রতিক্রিয়া ছিলো বেশ ইতিবাচক। এই খবরটি টুইটারে তিরিশ হাজার বার শেয়ার হয়। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় এটি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।

সোফিয়া কলস ফর ড্রপিং গার্ডিয়ানশীপ’ অর্থাৎ সোফিয়া তার ওপর অভিভাবকের খবরদারি তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে বলে আরেকটি বিদ্রূপাত্মক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে। সৌদি রীতি অনুযায়ী কোন মেয়েকে বাইরে যেতে হলে সাথে অবশ্যই একজন পুরুষ অভিভাবক থাকতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, সোফিয়ার কোন পুরুষ অভিভাবক নেই, সে আবায়া (বোরকা) পড়ে না, মাথায় কাপড় দেয় না। এটা কিভাবে সম্ভব? একটি নারী রোবটের অধিকার কি একজন সৌদি নারীর চেয়ে বেশি?
উল্লেখ্য, ​সৌদি আরবের রিয়াদ নগরীতে গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে এই রোবটটি প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীতে উপস্থিত শত শত প্রতিনিধি রোবটটি দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে সেখানেই এটিকে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
রোবট নারী ‘সোফিয়া’র ছবি এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। বিবিসি

10 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here