আপনাকে কি অফিসের ডেস্কে বা চেয়ারে প্রতিদিন ৬ ঘন্টারও বেশি সময় বসে থাকতে হয়? এর ফলে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে জানেন?
আপনার হার্টের অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে ৬৪ শতাংশ। আপনার আনন্দময় জীবনের আয়ু কমপক্ষে ৭ বছর কমে যাবে এর ফলে। কিছু বিশেষ ধরণের ক্যান্সারের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে আপনার শরীরে। সোজা কথায়, বসে থাকার অভ্যাস আপনার মৃত্যুর দুয়ারে যাবার পথটা ত্বরান্বিত করবে।
অনেকেই কি বসে থাকার খারাপ ফলাফলের কথা শুনে ভয় পাচ্ছেন? ভাবছেন, অফিস-আদালত তো আর আপনার এসব সমস্যার কথা শুনবে না। চাকরি তো আপনাকে করতেই হবে আর অফিসেও আপনাকে বসে বসেই কাজ করতে হবে। তাহলে উপায়! ভয় পাবেন না উপায় নিশ্চয়ই কিছু আছে। ওই যে কথায় আছে না, “যত মুশকিল, তত আসান”।
চলুন জেনে আসি দীর্ঘসময় বসে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ থেকে মুক্তির সহজ উপায়-
দীর্ঘসময় বসে থাকার নেতিবাচক প্রভাব
ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি, সারাদিন বসে থাকা ভালো না। কখনো কি জানতে চেয়েছি, কেন ভাল না? সহজভাবে বলা যায়, আমাদের শরীর সারাদিন বসে থাকার জন্য তৈরি নয়। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে শরীরের উপর বিভিন্ন ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পরে। আমরা অনেকেই প্রতিদিন ১৫ ঘন্টারও বেশি সময় বসে বসে কাটাই। কেউ অফিসে, কেউবা আবার বাড়িতে। বসে বসে মানে অকাজে নয় অবশ্য, অফিসে, গাড়িতে, টিভি বা কম্পিউটারের সামনে বসে দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় আমাদের। দীর্ঘসময় বসে থাকলে তা স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
সারাদিন বসে থাকার ফলে আমাদের শরীরে কি কি সমস্যার সৃষ্টি হয় তা নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা খুবই কঠিন। কেননা, শুধু বসে থাকা নয় প্রতিদিনের খ্যাদ্যাভ্যাস এবং অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুও শরীর ভালো থাকার বড় নিয়ামক। তাই বসে থাকার নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে আমরা একজন সুস্থ মানুষকে মডেল হিসেবে বিবেচনা করতে পারি, যে কিনা ধুমপান বা কোন নেশাদ্রব্য গ্রহণ করে না এবং যার ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাহলে আমরা অনেকটা সঠিকভাবে বুঝতে পারব, কেন বসে থাকার অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বসার সাথে সাথে মানুষের শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে– যখন একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসে পরে, সাথে সাথে তার পেশি সঞ্চালনের গতি ধীর হয়ে পরে, ক্যালরি ক্ষয় প্রতি মিনিটে গড়ে ১ ক্যালরি কমে যায়। হাঁটাহাঁটি করলে যে পরিমাণ ক্যালরি ক্ষয় হয় তার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ হয় বসে থাকলে। যদি কেউ ২৪ ঘন্টাই বসে কাটায় তবে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ ৪০শতাংশ কমে যায় যেটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে দুই সপ্তাহ বসে থাকার ফল– পাঁচদিন যদি এমন রেগুলার ৬ ঘন্টার বেশি বসে কাটানো হয় তবে শরীরের পেশীগুলো ফ্যাট গ্রহণ করতে পারে না, ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যায়, শরীরের ওজন বাড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে পেশী ক্ষয় হতে শুরু করে, শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা এবং দীর্ঘ পথ হাঁটা কঠিন হয়ে পরে।
নিয়মিত ৬ ঘন্টার বেশি একবছর বসে থাকার ফলে– একবছর নিয়মিত এভাবে দিনে ছয় ঘন্টা বসে থাকার ফলে আপনার শারীরিক সব সমস্যাই সুস্পষ্টভাবে দেখা দেবে। আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে এবং কোলেস্টেরোল বেড়ে যাবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরও মারাত্মক। বছরে ১ শতাংশেরও বেশি হারে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা বাড়তে পারে।
প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে ১০-২০ বছর বসে থাকার ফল- নিয়মিত ১০-২০বছর যদি আপনি এভাবে দিনে ছয় ঘন্টা বসে কাজ করতে থাকেন তবে আপনার জীবনের আয়ু কমপক্ষে ৭ বছর কমে যাবে। এটা আপনার হার্টের অসুখের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে ৬৪ শতাংশ। শরীরে প্রোস্টেট বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাবে ৩০ শতাংশ।
এসব সমস্যা থেকে বাঁচার সহজ উপায়
প্রতিদিন মাত্র দু’টি কাজ করে বা দু’টি অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি আপনার এই দীর্ঘ সময় বসে থাকার নেতিবাচক প্রভাবগুলো থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন।
১. প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে একবার উঠে দাঁড়ানোর অভ্যাস করুন
যদি সারাদিন আপনি কম্পিউটারে একইভাবে বসে কাজ করেন, বা টিভি দেখেন বা ডেস্কে বসে কোন কাজ করেন ঘন্টার পর ঘন্টা তবে প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে একবার উঠে দাঁড়িয়ে রেস্ট নিলে সেটা আপনার, বসে থাকার ফলে সৃষ্টি হওয়া সব অসুখের সম্ভাবনা কমিয়ে দিবে অনেকটাই। অনেকে হয়ত বলবেন, কাজে ব্যস্ত থাকলে প্রতি ঘন্টায় উঠে দাঁড়ানো বা একটু হাঁটার কথা মনে থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনি ঘড়িতে বা মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখতে পারেন, মনে রাখার জন্য। বা অন্য ডেস্কে কোন কলিগের সাথে যোগাযোগ করার দরকার হলে মোবাইলে কল না দিয়ে বা ইমেইল না করে, সরাসরি তার কাছে গিয়ে কথা বলতে পারেন। বাথরুমে যাবার দরকার হলে সেই ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। এভাবে আপনার কাজটাও হবে, সাথে আপনার শরীরটাও ঠিক থাকবে।
২. শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করুন প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট
সবসময় যে ভারী কাজ বা ব্যায়াম করতে হবে শরীর ফীট রাখার জন্য এমন কোন কথা নেই। সময় না পেলে অল্প বিরতিতে মাঝে মাঝে খুঁটিনাটি ঘরের কাজ করলে বা একটু হাঁটাহাঁটি করলেও শরীর অনেকটা চালু থাকে। যখন বাসায় থাকবেন তখন নিজের প্রয়োজনীয় গৃহস্থালীর কাজটা অন্য কারো জন্য ফেলে না রেখে নিজেই করে ফেললেন। বা অফিস বাড়ি থেকে বেশি দূরে না হলে হেঁটেই অফিসে যাতায়াত করার অভ্যেস গড়ে তুললেন। এতে আপনার শরীরটা ফিট থাকবে।
মাত্র এই দুই কাজ- ঘন্টায় একবার উঠে দাঁড়ানো এবং দিনে ৩০ মিনিট হলেও কিছু কাজ করা বা হাঁটা। খুব কি কঠিন! সামান্য একটু সচেতন হলেই ভাল থাকা যায়, সুস্থ জীবন কাটানো যায়। সচেতন হোন, ভাল থাকুন!
buy lipitor 20mg order atorvastatin 80mg pills atorvastatin 80mg canada
lipitor medication order atorvastatin 80mg online atorvastatin 40mg ca
order cipro 1000mg generic – order augmentin 1000mg online cheap buy augmentin paypal
buy generic ciprofloxacin 500mg – bactrim sale clavulanate generic
ciprofloxacin ca – buy cephalexin 125mg generic purchase augmentin online
order retrovir 300 mg generic – generic epivir allopurinol pill
order zidovudine 300mg – buy allopurinol pill
buy clozapine 100mg for sale – purchase quinapril famotidine drug
order clozaril without prescription – order famotidine 20mg pills cheap famotidine