আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সে বাঁধবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

12
352

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির বিকাশে ‘খুবই তাৎপর্যপূর্ণ’। মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স হিসেবে পরিচিত মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনুকৃত ও প্রতিস্থাপিত করার এই চেষ্টা ও গবেষণাকে সভ্যতার জন্য হুমকি বলছেন প্রযুক্তি বিজ্ঞানীরা। স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানী আর এলন মাস্কের মতো ধনকুবের উদ্যোক্তা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে আঙুল তুলে সরাসরি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরই শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

আসলে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটা কী, আর কীভাবেই বা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ধ্বংসের মুখে ফেলবে মানবজাতিকে? এ নিয়ে একটি খোলামেলা আলোচনায় কথা বলছিলেন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ও ভবিষ্যবাদের গুরু রে কার্জওয়েল। তার মতে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সকে নিয়ে যেভাবে কাজ চলছে, আর মাত্র ২০ বছরের মধ্যেই মানুষ ও যন্ত্রের আচরণ এক হয়ে যাবে।

নানা বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে এর আগে প্রসিদ্ধি লাভ করা কার্জওয়েল প্রথমে কিছু ছোট ছোট তথ্য দেন। যেমন— এই মুহূর্তে বিশ্বে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার্ত মানুষের হার অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কম; এখন বিশ্বে প্রায় তিনশ’ কোটি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে, কিছু বছরের মধ্যে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ছয়শ’ কোটিতে।

৭২ বছর আগে শেষ হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে মনুষ্য-সভ্যতা এখন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ সময় কাটাছে। এই শান্তিপূর্ণ সময়ে কেন তাহলে মনুষ্যজাতির অস্তিত্ব নিয়ে ভয়?

কার্জওয়েল মনে করেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সকে ডেভেলপ করতে থাকার ফল দাঁড়াতে পারে মনুষ্য-সভ্যতার এই শান্তি-প্রগতিতে ব্যাঘাত এবং আমাদের পরবর্তী বিলুপ্তির পর্যায়ে ঠেলে দেওয়া।

ব্যাপারটা খানিকটা ভিন্ন মনে হলেও কার্জওয়েল প্রাসঙ্গিক করতে চান এভাবে যে, শত বছর আগের প্রযুক্তিতে নির্মিত পারমাণবিক বোমায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যদি এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালানো যায়, তাহলে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ গড়ালে সেটা কি আরও ভয়াবহ হবে না?

12 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here