‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ রাজনীতিবিদ

26
404

একসময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই এই পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে।মানুষ পুরোমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়বে এর ওপর।অনেক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির সারবস্তু এটাই।নিউজিল্যান্ডের উদ্যোক্তা নিক গ্যারিটসেনের উদ্ভাবন ইঙ্গিত দিচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে এসব কল্পকাহিনি আর কল্পনায় সীমাবদ্ধ থাকবে না।তিনি ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রাজনীতিবিদ’ উদ্ভাবন করেছেন।আশা করছেন, তাঁর দেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এটি।

৪৯ বছর বয়সী নিক গেরিটসেনের উদ্ভাবিত ভার্চ্যুয়াল রাজনীতিবিদ স্থানীয় নানা বিষয়সহ গৃহায়ণ, শিক্ষা ও অভিবাসনের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।গেরিটসেন এর নাম দিয়েছেন ‘স্যাম (এসএএম)’।তিনি বলেন, বর্তমানে রাজনীতির চর্চায় মতপার্থক্যের মাত্রা অনেক বেশি।তাই জলবায়ু পরিবর্তন ও সমতার মতো জটিল ইস্যুগুলো বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সমাধান করা যাচ্ছে না।এ জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রাজনীতিবিদ উদ্ভাবন করেছেন তিনি।

গেরিটসেন বলেন, ফেসবুক মেসেঞ্জার ও নিজের হোমপেজে চালানো জরিপের মাধ্যমে স্যাম প্রতিনিয়ত শিখছে।মানুষের মধ্যে যে মতপার্থক্য, তা প্রযুক্তির জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্বীকার করেন তিনি।এ ছাড়া কারিগরি ত্রুটি তো রয়েছেই।তবে তিনি বিশ্বাস করেন, বিভিন্ন দেশে যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে সেতুবন্ধ তৈরি করতে সক্ষম হবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।গেরিটসেন আশা করছেন, ২০২০ সাল নাগাদ তাঁর এই উদ্ভাবন স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে।ওই বছর নিউজিল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন।সেই নির্বাচনে স্যাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে বলেও তিনি আশাবাদী।

নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আইনসিদ্ধ নয়।এ ব্যাপারে গেরিটসেন বলেন, ‘স্যাম সবকিছু করতে পারে এবং আমরা আইনের মধ্যে থেকেই কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছি।’

প্রয়োজনীয় হলে পোস্টটি শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ, itdoctor24.com এর সাথেই থাকুন।

26 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here