প্রেম আমার ওপরে পড়েছে: নাদিয়া মিম

9
710

প্রথম প্রেম
আমি তখন মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউটে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। ওই সময় একটি ছেলে আমাকে পছন্দ করত। একদিন আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। পাশেই খেলার মাঠ। এক বান্ধবী এসে একটি প্রেমের চিঠি আমাকে দিয়ে বলল, ওই যে মাঠে দাঁড়ানো লাল টি-শার্ট পরা ছেলেটি তোকে দিয়েছে। ওই সময়টাতে আমি কিছুটা টমবয় ধরনের ছিলাম। আমি চিঠির বিষয়টির কোনো গুরুত্বই দিলাম না। চিঠি খুলেও দেখলাম না। ভয় ছিল, মা শুনলে কী হবে আমার! এর কিছুদিন পর আমি স্কুল থেকে ফিরছিলাম, পেছন থেকে ছেলেটি কথা বলার চেষ্টার করছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই। আমার মনে হয় এসব কারণে ছেলেটি হতাশ হয়ে আমাকে আর প্রেমপত্র লেখেনি। এর অনেক দিন পর ২০১১ সালের দিকে ছেলেটির সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল। তাই বলা যায়, প্রেমে আমি পড়িনি, প্রেম আমার ওপরে পড়েছে হা হা হা…

প্রথম শুটিং
২০১৪ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে প্রথম নাটকে অভিনয় করি। নাটকটির নাম ছিল আমার গল্প ৭১। পরিচালক ছিলেন ইফতেখার ফাহমি। শুটিংয়ের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ছিল মজার। শুটিং হচ্ছিল রূপগঞ্জে। আগের দিন রাতে ফাহমি ভাই আমাকে চরিত্রটি বুঝিয়ে দিলেন। বেলা ১১টায় আমাকে নিতে গাড়ি আসার কথা। আর গাড়ি আসে না। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। উঠে দেখি বেলা চারটা। তখনো গাড়ি আসে নাই। আমি ফাহমি ভাইকে ফোন দিলাম। এরপর গাড়ি এল। আমি লোকেশনে গেলাম। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের নাটক। একটি বোমা ফাটানোর দৃশ্য ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই সঠিকভাবে দৃশ্যটি হচ্ছিল না। ওদিকে আমার কাজের কোনো খবর নেই। বসে থাকতে থাকতে রাত হয়ে গেল। রাত ১১টার দিকে ফাহমি ভাই এসে বললেন, ‘মিম আজ তোমার শুটিং হবে না। কাল রাত-দিন তোমার কাজ করব। বাড়ি চলে যাও।’ মা সঙ্গে ছিলেন। ফাহমি ভাইয়ের এ কথা শুনে আমরা দুজনই অবাক হলাম।

প্রথম পারিশ্রমিক
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে উঠেছি। চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন অনুষ্ঠানে আমরা পাঁচজন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আমাদের হাতে একটি করে খাম ধরিয়ে দেওয়া হয়। খুলে দেখি পাঁচ হাজার টাকা। আমি তো অবাক! এ ধরনের অনুষ্ঠানে টাকা দেওয়া হয়, জানতাম না। যাহোক, সেই টাকা দিয়ে বাসার সবাই মিলে তেহারি খেয়েছিলাম।

প্রথম অটোগ্রাফ!
সবে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার হয়েছি। সেই সময় সারা দেশে লাক্সের প্রচারণা চলছিল। প্রচারণার অংশ হিসেবে কয়েকজন লাক্স সুপারস্টার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে উপহারসামগ্রী নিয়ে হঠাৎ হাজির হবেন। সেই দলে আমি, মম আপু, মেহজাবীন আপুসহ বেশ কয়েকজন ছিলাম। সিলেটের একটি বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলা শেষে ছবি তোলা হয়। হঠাৎ করেই একটি ছেলে এসে আমাকে বলল, ‘ছবি তুললে তো ছবি সারা জীবন থাকবে না। আমাকে অটোগ্রাফ দেন।’ শুনেই আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। আমি নতুন, অটোগ্রাফ দেওয়ার অভ্যাস নেই। লজ্জা লাগছিল। ঘাবড়ে যাওয়ার বিষয়টি মা বুঝতে পেরে সাহস দিলেন। পরে চোখ-কান বন্ধ করে ‘উইশ ইউ অল দ্য বেস্ট’ লিখে নিচে নিজের নাম ও তারিখ লিখে দিলাম।

প্রথম বই পড়ার অভিজ্ঞতা
ছোটবেলায় প্রচুর রূপকথার গল্প পড়তাম। একটু বড় হয়ে প্রথম হুমায়ূন আহমেদের মৃণ্ময়ীপড়েছি। এরপর হিমু ও মিসির আলি সমগ্র পড়া হয়েছে। জাফর ইকবালের বই নিয়মিত পড়ি। সব বই এখনো আমার বাসায় আছে। নতুন বই কেনা হয়। সত্যি কথা হলো, টেলিভিশন দেখার চেয়ে, বই পড়তেই বেশি ভালোবাসি।

9 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here