সিটিসেলও আছে ফোরজিতে!

24
538

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবা বন্ধ হয়ে থাকা সিটিসেল ফোরজিতে আসছে! অন্তত তাদের সেই আগ্রহ দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার ফোরজির জন্যে স্পেকট্রাম নিলামের প্রি-বিড বৈঠকে তারা অংশ নিয়েছে। তবে বৈঠকে নতুন কোনো অপারেটরের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিটিসেল ছাড়াও বর্তমানে সেবায় থাকা অপর চার অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক এবং টেলিটক অংশ নিয়েছে।

যদিও বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া মানেই তো আর ফোরজির লাইসেন্স নিয়ে নেওয়া নয়। কেউ বৈঠকে না এসেও লাইসেন্সের জন্যে আবেদন জমা দিতে পারে বা স্পেকট্রামের নিলামে অংশ নিতে পারে।

‘সুতরাং আজকের বৈঠকের উপস্থিতি দেখে এটা অন্তত বলা যাচ্ছে না যে সিটিসেল ফোরজিতে আছে বা নতুন কেউ কেউ নেই।’- বলছিলেন বিটিআরসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা, যিনি ফোরজির লাইসেন্স সংক্রান্ত  কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

বিটিআরসির সূত্র বলছে, এর আগে থ্রিজির সময়েও সিটিসেল লাইসেন্স নেওয়া এবং স্পেকট্রাম নিলামের বসার জন্যে আবেদন জমা দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আর এগোয়নি।

অন্যদিকে আবার থ্রিজির সময় যেমন অনেক চেষ্টা করেও বিটিআরসি নতুন কোনো অপারেটরকে আগ্রহী করতে পারেনি।

তবে এবারও ফোরজির জন্যে নতুন একটি অপারেটরের আসার সুযোগ রেখে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদও কয়েক দিন আগে দুটি আগ্রহী অপারেটরের কথা বলেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকট্রাম নিলামের নীতিমালার বিভিন্ন ধারা-উপধারা নিয়ে আলোচনা হয়। অপারেটররা তাদের বক্তব্যের বিষয়ে লিখিত দিলে তার ভিত্তিততে বিটিআরসি এর উত্তর দেবে বলেও জানিছে বৈঠক সূত্র।

সেক্ষেত্রে কয়েক দিনের মধ্যে বিটিআরসি এগুলো পরিস্কার করবে।

আগামী ১৪ জানুয়ারি ফোরজি লাইসেন্স নিতে আবেদন করা যাবে। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি স্পেকট্রাম নিলামের সময় নির্ধারণ করেছে বিটিআরসি।

আবেদন নেওয়ার পর বিটিআরসি যোগ্য আবেদনকারীর তালিকা প্রকাশ করবে ২৫ জানুয়ারি। ২৯ জানুয়ারি নিলামের নিয়মকানুন নিয়ে আলোচনা হবে। ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিড আর্নেস্ট মানি জামা দিতে হবে যোগ্য প্রার্থীদেরকে।

এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি নিলামের চিঠি প্রদানেএবং ১২ ফেব্রুয়ারি হবে নিলামের মহড়া। ১৩ ফেব্রুয়ারি নিলাম এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি নিলামে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে বিটিআরসি।

অনকে দিনে ধরে নিলামের নীতিমালা নিয়ে নানা দেন-দরবার চলছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী একবার নীতিমালায় অনুমোদন করে দেওয়ার পরেও তার নানা জায়গায় নানা পরিবর্তন হয়েছে অপারেটরদের আপত্তির প্রেক্ষিতে।

এর মধ্যে আবার অপারেটরগুুুলো নতুন কয়েকটি অপত্তি দিয়েছে। তবে এগুলোর এবার কোনো সুরাহ আর হয়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে তারা সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠক করেছেন।

দ্বিতীয় দফায় অনুমোদিত নীতিমালায় ফোরজির ন্যূনতম গতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ২০ এমবিপিএস।

যে তিনটি ব্যান্ডের নিলাম হবে তার মধ্যে ২১০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জের নিলামের ফ্লোর মূল্য হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর ১৮০০ ও ৯০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্ডজ স্পেকট্রামের নিলামের ভিত্তি মূল্য ধারা হয়েছে তিন কোটি ডলার।

প্রয়োজনীয় হলে পোস্টটি শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ, itdoctor24.com এর সাথেই থাকুন।

24 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here