চীনা ব্র্যান্ডের দাপট বাড়ছে, দখলে হ্যান্ডসেট বাজারের ২৯%

10
320

দেশের হ্যান্ডসেট বাজারের ২৯ শতাংশ শুধু চীনা বিভিন্ন নামী-বেনামি ব্র্যান্ডের দখলে চলে গেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।

চীনের বিভিন্ন ব্র্যান্ড বছর-বছর ১২৫ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি করে চলেছে। আর এর ফলে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের একটি বড় অংশ তারা ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে।

একই সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে এই বাজার দখলের দৌঁড়ে তারা আরও বেশি এগোবে বলে জানিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট।

শনিবার প্রতিষ্ঠানটি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, সেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের এই চিত্র ধরা পড়েছে।

কাউন্টার পয়েন্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগী পরিচালক তরুণ পাঠক বলছেন, দেশটিতে স্মার্টফোনের গ্রাহক অত্যধিক হারে বাড়ছে। এর ফলে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো চীনের ব্র্যান্ডের কাছে বাজার ধীরে ধীরে হারাচ্ছে।

চীনের ব্র্যান্ডগুলোও এখন ব্যবহারকারীর চাহিদা বিবেচনা করে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে একধরনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

তবে এখনো স্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে দেশে সিম্ফনি এক নম্বরে রয়েছে। যারা দেশের স্মার্টফোন বাজারের ২৬ শতাংশ দখল করে আছে। কিন্তু আইটেল মোবাইল এবং নকিয়ার মতো ব্র্যান্ডের কাছে প্রতিযোগিতায় এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে সিম্ফনিকে। এর ফলে সিম্ফনির বাৎসরিক হিসাবে ২৪ শতাংশ বিক্রি হ্রাস পেয়েছে বলে জানাচ্ছে কাউন্টার পয়েন্ট।

তবে এখনো দেশে ১৪ শতাংশ বাজার শেয়ার ধরে রেখে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

তবে এরই মধ্যে দেশে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে চীনা ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। ব্র্যান্ডটি দেশের স্মার্টফোন বাজারে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাজার শেয়ার দখল করেছে।

শীর্ষ পাঁচে থাকা বাংলাদেশি আরেকটি ব্র্যান্ড হলো ওয়ালটন। যারা সম্প্রতি দেশেই স্মার্টফোন তৈরি শুরু করেছে। আর তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাবে স্মার্টফোন বাজারের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বাজার শেয়ার ধরে রেখেছে ওয়ালটন।

চীনের আরেকটি ব্র্যান্ড আইটেল দেশে অল্প সময়ে বড় একটি বাজার দখল করে ফেলেছে। ব্র্যান্ডটি দেশের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বাজার শেয়ার দখল করেছে স্মার্টেফোনের।

বাংলাদেশের হ্যান্ডসেট বাজার বছর-বছর বেড়ে চলছে প্রায় ১৯ শতাংশ এবং ধারাবাহিকভাবে এটি বৃদ্ধির হার এক শতাংশ।

দেশে মোট হ্যান্ডসেটের মধ্যে স্মার্টফোন সরবরাহের পরিমাণ ২৪ শতাংশ মাত্র। তবে কম হলেও এই বাজার খুবই স্থায়ী। যা একটি ইতিবাচক অবস্থান বোঝায় বলে জানাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

তরুণ পাঠক বলছেন, স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধির হারের দিতে খেয়াল করলে দেখা যাবে এই গ্রাহক বাড়ার পরিমাণ কিছুটা কম। তবে ২০১৮ সালে দেশে এলটিই বা ফোরজি নেটওয়ার্ক কাজ শুরু করবে। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে এলটিই হ্যান্ডসেট কেনার একটা আগ্রহ খেয়াল করা গেছে।

অন্যদিকে ভারতের হ্যান্ডসেট বাজারে ৪৯ শতাংশ দখল করতে রেখেছে চীনা বিভিন্ন ব্র্যান্ড। এটা ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব। যেখানে ভারতের বাজারে চীনের বিভিন্ন হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান বছর-বছর ১৮০ শতাংশ করে রাজস্ব করছে। আর ফলেই ভারতের স্থানীয় হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডগুলোকে হুমকীর সম্মুখীন করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো।

অবশ্য অনেকেই ধারণা করছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে চীনের হ্যান্ডসেট ব্যান্ডগুলো ভারতের বাজারে অল্পদিনেই একক আধিপত্য বিস্তার করবে। ভারতে এখন চীনা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে শাওমি সবচেয়ে দ্রুত বাজার দখল করছে।

প্রয়োজনীয় হলে পোস্টটি শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ, itdoctor24.com এর সাথেই থাকুন।

10 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here