সিইএস প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত

8
295

লাস ভেগাসে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ইলেক্ট্রনিক প্রদর্শনী কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক শো (সিইএস)। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এতে অংশ নেবে প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বেশিরভাগই স্টার্ট আপ কোম্পানি। সামনের দিনগুলোতে তারা এই প্রদর্শনীতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হবে।

এককালে শুধু গ্যাজেটের প্রদর্শনীই ছিলো সিইএসের প্রধান আকর্ষণ। কিন্তু বর্তমানে এতে যোগ হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমোবাইল, ওষুধ, বিপণন, ও কৃষি প্রযুক্তি।

ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস উন্মোচনের জন্যও বড় বড় কোম্পানিগুলো এই ইভেন্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকে।

স্বল্প পরিচিত ছোট খাটো কোম্পানিগুলোও ইভেন্টটিতে অত্যাধুনিক সব পণ্য এনে বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে শুরু হতে যাওয়া সিইএসে কি কি প্রযুক্তিপণ্য চমক জাগাবে তা নিয়েই এই প্রতিবেদন।

স্মার্ট ফোন ও পিসি

মাইক্রোসফট সম্প্রতি এআরএম স্থাপনের সুযোগ দেওয়ায় উইন্ডোজ ১০ এ স্মার্টফোনের চিপ ব্যবহার করেই এবার ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি করতে পারবে কোয়ালকম।

সিইএস ইভেন্টে ইন্টেল ও এএমডি একসঙ্গে নতুন একটি প্রসেসর আনবে। ইন্টেল প্রসেসরের গ্রাফিক্স চিপ হিসেবে এএমডি ভেগা জিপিউ ব্যবহার করা হবে। যা গেইমারদের কাছে জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স মডেলের ফোল্ডেবল ডিসপ্লের ফোন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, চীনের ভিভো কোম্পানি এমন একটি ফোন আনছে যাতে ডিসপ্লেতে ট্যাপ করেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করা যাবে।

এর পাশাপাশি অল স্ক্রিন ডিভাইসও এই প্রদর্শনীতে আনা হতে পারে। এই ধরণের ফোনগুলোতে কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করার প্রযুক্তি থাকবে না।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার এখন সর্বত্র। এখন ফ্রিজ, টিভি, কার, রোবট, সবকিছুতেই যুক্ত করা হচ্ছে এআই।

আগের বাবের মতো এবারও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে অ্যামাজন। তাদের তৈরি  স্মার্ট স্পিকার অ্যালেক্সা এবার রান্নার কাজেও সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে এখন মাইক্রোওয়েভও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

সম্প্রতি, এলজি একটি টপ অ্যান্ড টিভি উন্মোচন করেছে যাতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যুক্ত করা হয়েছে।

এবছর সিইএসে শুধু এআই প্রদর্শনীর জন্যই আলাদা একটি বুথ ভাড়া নিয়েছে গুগল।

ড্রোন

এবারের সিইএস ইভেন্টে নতুন প্রযুক্তির ছোট আকারে ড্রোন থাকারই সম্ভাবনা বেশি। এর বাইরে নুঅ্যাভিয়েশনের হাইপারলিফট ২০০ই নামে একটি ড্রোন নির্মাণ করা হয়েছে। দ্রুত গতিতে ড্রোনটি ৯১ কেজি মাল বহন করতে সক্ষম।

সিরিয়াস সিএক্স-১৮০ মডেলের একটি ড্রোনে দুটি শক্তিশালী এলইডি ল্যাম্প যুক্ত করা হয়েছে। রাতে বেলা উদ্ধার তৎপরতা চালাতে এটি কাজ করবে।

তবে ড্রোনের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিআই এবার কোনো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে না।

সূত্রঃ বিবিসি

প্রয়োজনীয় হলে পোস্টটি শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ, itdoctor24.com এর সাথেই থাকুন।

8 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here