পেশা যখন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং

24
347

নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা। ক্যারিয়ার বিল্ডার ও ইকোনোমিক মডেলিং স্পেশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল (ইএমএসআই)-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালে বিশ্বে যে সকল চাকরির চাহিদা থাকবে সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে অন্যতম হলো নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং। নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনও বলা হয়ে থাকে।

 

একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দেখভালের কাজটি করে থাকেন। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে কাজের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। তবে একেবারেই মূল যে কাজটি একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারের করতে হয়, তা হলো নেটওয়ার্কের রক্ষণাবেক্ষণ করা। অর্থাত্ তার প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারি, নেটওয়ার্কে কোনো দুর্বলতা রয়েছে কিনা, নিয়মিত সেটি পরীক্ষা করে দেখা এবং নিরাপত্তা দুর্বলতা পাওয়া গেলে তার সমাধান করা। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আপডেট, সফটওয়্যার ইনস্টল করা কিংবা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানও থাকতে পারে তার কাজের তালিকায়।

 

নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে

 

এই পেশায় আসতে চাইলে প্রয়োজন হবে ভালো কারিগরি জ্ঞান। এর পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং খাতে নতুন নতুন আপডেট, পণ্য, সফটওয়্যার সম্পর্কেও থাকতে হবে ওয়াকিবহাল। বর্তমানে দেশে নেটওয়ার্কিংয়ের উপর বেশ কিছু কোর্স চালু রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো সিসিএনএ (সিসকো সার্টিফায়েড নেটওয়ার্ক অ্যাসোসিয়েট)। এই কোর্সটি চার থেকে ছয় মাস মেয়াদী কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে আরও কম বা বেশি হয়ে থাকে। এসব কোর্স করতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। বিভিন্ন ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের পাশাপাশি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্সটি করার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত এক বছর মেয়াদী একাডেমিক কোর্স চালু রয়েছে যা তিন মাস করে চার সেমিস্টারে বিভক্ত। প্রত্যেক সেমিস্টার শেষে পরীক্ষা দিয়ে একটি সার্টিফিকেট পাওয়া যায় তবে এসব সার্টিফিকেট ভেন্ডর সার্টিফিকেট নয়। দেশে সিসকোর লোকাল এডুকেশন অ্যাকাডেমি হলো—বুয়েট, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রভৃতি। উচ্চ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেও এই কোর্সগুলোতে ভর্তি হওয়া যায়।

 

সম্পূর্ণ কোর্স শেষে ভেন্ডর সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য ভেন্ডর পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। সিসিএনএ’র ক্ষেত্রে সিসকো নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ভেন্ডর সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

 

কাজের ক্ষেত্র

 

দেশে বর্তমানে এই বিষয়ে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। আর বিদেশে তো চাহিদা আছেই। একজন নেটওয়ার্ক অ্যাডমিন কাজ করতে পারেন বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগেও। দেশে বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন হচ্ছে বিপুল সংখ্যক নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার। এ ছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, আইএসপি কোম্পানি এবং ডেটা সেন্টারেও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের বিপুল সুযোগ রয়েছে।

 

আয়-রোজগার

 

বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় সিসিএনএ সম্পন্ন করেছেন, এমন ব্যক্তিদের। তারা সাধারণত শুরুর দিকে ১৫-২০ হাজার টাকা বেতন পেলেও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বেতন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

24 COMMENTS

  1. Здравствуйте!
    Купить диплом МИЭП – или любого ВУЗа России!
    Поскольку диплом это основной документ, который является якобы гарантом ваших квалификационных умений и навыков. При трудоустройстве на работу необходимо предоставлять диплом о полученной специальности, поскольку этого требует бюрократическая система.https://saksx-diploms-srednee24.com/ Не секрет, что среди массы исполнителей всегда можно встретить мошенников. Подробности вы можете уточнить у консультанта на сайте, отправьте заявку и вам ответят. Чтобы получить деньги и обеспечить себе достойную жизнь, нужно устроиться на хорошую, высокооплачиваемую работу.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here