আবার উত্তপ্ত নারায়ণগঞ্জ শহর (ভিডিওসহ)

10
386

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা নিয়াজুল ইসলাম খান যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তিনি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এলজিইডির ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।

মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তাঁর সমর্থকদের জমায়েতে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে আবার আলোচনায় আসেন তিনি নিয়াজুল ইসলাম খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ১৯৮৬ সালে এরশাদের সময় নাসিম ওসমান সাংসদ হলে নিয়াজুলের উত্থান হয়। ১৯৮৮ সালে সংঘটিত জোড়া খুনের (কামাল ও কালাম) মামলার আসামি ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে শামীম ওসমান সাংসদ নির্বাচিত হলে নিয়াজুল অস্ত্রের লাইসেন্স পান। নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চলতেন।

নগরের চাঁদমারীতে সেনাবাহিনীর জায়গার বস্তি নিয়ন্ত্রণ করতেন নিয়াজুল ইসলাম। এক-এগারোর সময় সেনাবাহিনী ওই বস্তি উচ্ছেদ করে। এ ছাড়া পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছে নিয়াজুলের নাম।

নিয়াজুল ইসলামের ভাই যুবলীগের ক্যাডার নজরুল ইসলাম ওরফে সুইট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। ওই সরকারের আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত যুবদলের নেতা মমিন উল্লা ওরফে ডেভিড নিয়াজুল ইসলামের আত্মীয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শামীম ওসমানের উত্থানের সময়কার চার প্রধান ক্যাডার ছিলেন লাল, সারোয়ার, মাকসুদ ও নিয়াজুল। এর মধ্য প্রথম দুজন অসুস্থ হয় মারা গেছেন। মাকসুদের লাশ পাওয়া গেছে ঢাকায়। জীবিত আছেন কেবল এই অস্ত্রধারী নিয়াজুল।

10 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here