কাঁদছেন সহকর্মীরা , চাকরি গেল রোবটের

10
291

তথ্য-প্রযুক্তি কল্যাণে মানুষের কাজে বেড়েছে গতিশীলতা। এমন অনেক প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলো মানুষের নিত্যদিনের কাজের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাদের একটি রোবট।  আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রযুক্তি সংমিশ্রণে সেই রোবট ধীরে ধীরে মানুষের গড়ন পাচ্ছে। রেস্টুরেন্টে, ঘরে বা হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মানুষের সেবা দিচ্ছে এ রোবট।

অনেক জায়গায় রোবট মানুষের মতো দক্ষ কর্মী হয়ে উঠছে। তাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তেমনই এক রোবট কর্মী রয়েছে ব্রিটেনের একটি দোকানে। সেখানে ক্রেতাদের সহায়তায় অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরি করতো রোবটটি।

রোবটের নাম ফাবিও। কাজ পাওয়ার সময় তাকে আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগতম জানান অন্যান্য কর্মীরা। এডিনবার্গের মার্গিওতা স্টোরে চাকরি হয় তার। এটাকে বানিয়েছিল হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।

বিবিসি’র ‘রোবটস অ্যান্ড আস’ তাকে নিয়ে কাজও করেছে। ফাবিও’র ভেতরে ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। যেন সে ক্রেতাদের লাখো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে ইন্টারনেট ঘেঁটে। কিন্তু উল্টো-পাল্টা কাজের জন্যে যেমন মানুষের চাকরি যায়, তেমনি ঘটলো তার কপালে।

পারিবারিক মালিকানাধীন ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার লুইজা মার্গিওতা জানান, ফাবিওকে নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। তার কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। সে দোকানের সব জায়গায় ঘোরাফেরা করতে পারতো না। আর ক্রেতারা কি খুঁজছেন সে বিষয়ে সহায়তা করতে ব্যর্থ হচ্ছিল। আমরা আসলে যা আশা করেছিলাম, সেভাবে কাজ করতে পারছিল না ফাবিও।

হেরিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটির গবেষণাগারের পরিচালক ড. অলিভার লেমোন জানান, ওই কোম্পানির কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফাবিওকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে একটা জিনিস আমাদের আপ্লুত করেছে, বললেন ড. লেমোন। দোকানের সবাই ফাবিওকে দারুণ পছন্দ করেছিল। আমরা যখন ওকে প্যাক করে নিয়ে আসছিলাম, এক কর্মী কেঁদে ফেললেন। ফাবিও প্রোটোটাইপ এক রোবট। আগামী দুই বছরের মধ্যে তাদের দল রোবট নিয়ে আরো বেশি কাজ করবে। তাদের রোবটগুলো আরো বেশি কাজের হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

কিন্তু মানুষের কাজ রোবট পুরোপুরি দখল কোনদিনও করতে পারবে না বলেই বিশ্বাস তার। কারণ এমন কিছু সিদ্ধান্তগত বিষয় রয়েছে যা রোবট কোনদিনও করতে পারবে না।

10 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here