অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত মাসে দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। এদিকে তাদের খোঁচা দিয়ে মাইক্রোসফট আজ বুধবার বলেছে, তারা কখনো অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার হুমকি দেবে না।
মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার: অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেখানে অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে, মাইক্রোসফট কখনো এমন হুমকি দেবে না। আমরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রতি বদ্ধপরিকর।’
সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রস্তাবিত আইনের প্রতিবাদে গত মাসে এমন হুমকি দিয়েছিল গুগল। সে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে সংবাদ প্রকাশকদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া এবং গুগলের মধ্যে বিবাদে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে মাইক্রোসফট। ডেটা অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর প্রায় ৯৫ শতাংশ গুগল ব্যবহার করেন। সেখানে মাইক্রোসফটের বিং ব্যবহার করেন কেবল ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। গুগল বন্ধ হলে তাদের ব্যবহারকারীরা হয়তো মাইক্রোসফটের সেবা ব্যবহার শুরু করবে।
ব্র্যাড স্মিথ বলেছেন, তিনি এবং মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে গত সপ্তাহে কথা বলেছেন। আরও জানিয়েছেন, সংবাদ প্রকাশকদের অর্থ প্রদানের প্রস্তাবিত আইন সমর্থন করেন তিনি। কারণ, এটা দেশটির ‘গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য’।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সার্চ রেজাল্ট ও নিউজফিডে সংবাদের অংশবিশেষ দেখানোর জন্য সংবাদ প্রকাশকদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। অর্থের পরিমাণ ঠিক হবে দুই পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী। আর কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে সরকার নির্ধারিত মধ্যস্থতাকারী পরিমাণ ঠিক করে দেবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত আইনটির প্রভাব বেশি পড়বে গুগল ও ফেসবুকের ওপর। তাই আইনটির বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে গুগল।
গুগল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেল সিলভা অস্ট্রেলিয়ার সিনেট কমিটিকে গত মাসে বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক এবং পরিচালনাগত ঝুঁকি থাকায় এটি আইনে পরিণত হলে অস্ট্রেলিয়ায় গুগল সার্চ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’
এদিকে ব্র্যাড স্মিথ বলেছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং অস্ট্রেলিয়ায় গণমাধ্যমের মধ্যে দর-কষাকষির সুযোগের যে ভারসাম্যহীনতা আছে, তা প্রস্তাবিত আইনটিতে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো
ধন্যবাদ, itdoctor24.com এর সাথেই থাকুন।
পোস্টটি প্রয়োজনীয় হলে শেয়ার করুন।
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন।