- শুরু হোক প্রোগ্রামিং এ পদযাত্রা চলুন শিখি প্রোগ্রামিং ইন সি অধ্যায় এক – বেসিক ধারণা
- শুরু হোক প্রোগ্রামিং এ পদযাত্রা চলুন শিখি প্রোগ্রামিং ইন সি অধ্যায় দুই – Constant, Variables and Data Types
- শুরু হোক প্রোগ্রামিং এ পদযাত্রা চলুন শিখি প্রোগ্রামিং ইন সি অধ্যায় তিন- Operators and Expressions
শুরু হোক প্রোগ্রামিং এ পদযাত্রা চলুন শিখি প্রোগ্রামিং ইন সি অধ্যায় দুইয়ের আজকের পার্টে আমরা আলোচনা করবো Constant, Variables and Data types নিয়ে। Constant, Variables and Data types প্রোগ্রামিং ইন সি এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা প্রোগ্রামিং নিয়ে আগাতে গেলে এদের নিয়ে সকলেরই স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
কনস্ট্যান্টস হলো সি প্রোগ্রামিং ভাষার সবচেয়ে মৌলিক এবং প্রয়োজনীয় অংশ সি-এ থাকা কনস্ট্যান্টগুলির নির্দিষ্ট মান থাকে যা যেকোনো প্রোগ্রামে ব্যবহৃত হয় এবং প্রোগ্রামটি পুরো প্রয়োগের সময় পর্যন্ত এর মান একই থাকে।
ভেরিয়েবল হচ্ছে মেমোরিতে ডাটা সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি । নিদিষ্ট নাম ঘোষণার মাধ্যমে মেমরির জায়গা সংরক্ষণ রাখা হয়। যা কিনা একটি কন্টেইনার এর মত আচরণ করে। ভেরিয়েবলের মান প্রোগ্রাম প্রসেস করার মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় যা কিনা কনস্ট্যান্টস এর বিপরীত।
ডাটা টাইপ নিয়ে নিচের ধাপে বিস্তারিত আলোচনা হবে, এখন আমরা সি প্রোগ্রামিং এর সি টোকেন গুলো নিয়ে কথা বলব । তাহলে একটি প্রশ্ন আস্তেই পারে সি টোকেনটি আসলে কি?
সি টোকেনঃ এটি সি প্রোগ্রামিং এর ক্ষুদ্রতম সতন্ত্র ইউনিট হিসেবে পরিচিত। (The Smallest individual units of a C programming are known as C Tokens).
সি প্রোগ্রামিং এ সি টোকেন গুলো নিম্নরূপঃ
১. Keywords ( Example: include, int, char, float, return etc)
২. Identifiers. ( Example: A,x, any amount, stdio.h etc)
৩. Constants (Example: 10, 20.5 etc)
৪. Strings (Example: ”abc”, ”xyz”, etc)
৫. Operators (Example: +, -, %, /,*, etc)
৬. Special Symbols. ( Example: #, &, {}, etc)
# আইডেন্টিফায়ার ডিক্লায়ার বা ঘোষণা করার নিয়মঃ (Rules of Declaring Identifier:)
১. প্রথম অক্ষরটি অবশ্যই একটি অ্যালফাবেট অথবা আন্ডারস্কোর (_) হতে হবে। (First character must be an alphabet or underscore)
২. অবশ্যই অ্যালফাবেট, ডিজিট আথবা আন্ডারস্কোর দিয়ে আইডেন্টিফায়ারটি গঠন করতে হবে।
৩. কীওয়ার্ড গুলো আইডেন্টিফায়ার এ ব্যবহার করা যাবে না।
৪. আইডেন্টিফায়ার এর মাঝখানে হোয়াইট স্পেস রাখা যাবে না।
ডাটা টাইপ্স হচ্ছে ডাটার ধরণ । সি প্রোগ্রামিং এ অবশ্যই ভেরিয়েবল ডিক্লায়ার করার সময় ডাটা টাইপ উল্লেখ করতে হয়। ডাটাটি কোন ধরণের পূর্ণ সংখ্যা(integer), দশমিক(float) সংখ্যা নাকি অক্ষর(character) ধরণের বলতে হয়। উদাহরণঃ int x=10; এখানে ইন্টেজার ডাটা টাইপের এক্স ভেরিয়াবলের ভিতরে ১০ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ডাটা টাইপ্স মূলত তিন প্রকারঃ
১. প্রাইমারি ডাটা টাইপ- Primary Data Types (উদাহরণঃ int, float, double, long double, char, etc)
২. ডিরাইভ ডাটা টাইপ-Derived Data Types: (উদাহরণঃ array, pointer, structure, union etc)
৩. ইউজার ডিফাইন ডাটা টাইপ- User Defined Data Type: (উদাহরণঃ typedef, enum, etc)
Data Types | Specifier | Size(bits) | Range |
char | %c | 8 | -128 to 127 |
int | %d or %i | 16 | -32768 to 32768 |
Unsigned int | %ud or %ui | 16 | 0 to 65535 |
Long int | %ld or %li | 32 | 0 to 18,446,744,073,709,551,615 |
float | %f | 32 | |
double | %lf | 64 |
আরো কিছু Specifier রয়েছে যেমনঃ %o, %x, %X.
%o দ্বারা ডেসিমাল নাম্বার এর অক্টাল নাম্বার প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
%x দ্বারা ডেসিমাল নাম্বার এর ছোট হাতের অক্ষর হেক্সা ডেসিমাল নাম্বার প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
%X দ্বারা ডেসিমাল নাম্বার এর বড় হাতের অক্ষর হেক্সা ডেসিমাল নাম্বার নাম্বার প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
চলুন ডেসিমাল, অক্টাল, হেক্সা ডেসিমাল সংখ্যা প্রিন্ট করার একটি প্রোগ্রাম দেখে নেইঃ
#include<stdio.h>
int main()
{
int a=6666;
printf(“%d\n”, a); //Decimal Number
printf(“%o\n”, a); //Octal Number
printf(“%x\n”, a); //Hexadecimal Lower Case
printf(“%X\n”, a); //Hexadecimal Upper Case
return 0;
}
এই প্রোগ্রামটি আপনারও কপি না করে লিখে কোডব্লক্স এ রান করে দেখতে পারন।
আউটপুট আসবে এই রকমঃ
6666
15012 [ এটি ৬৬৬৬ এর অক্টাল নাম্বার]
1a0a [ এটি ৬৬৬৬ এর Lower Case Hexadecimal নাম্বার ]
1A0A [ এটি ৬৬৬৬ এর Upper Case Hexadecimal নাম্বার ]
সবাইকে শুভ কামনা জানিয়ে আজকের আলোচনাটি এই পর্যন্তই । পরবর্তী পোষ্ট পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । হ্যাপি প্রোগ্রামিং ।