‘মস্তিষ্কে ফেসবুক ও কোকেন একই প্রভাব সৃষ্টি করে’

12
256
fb

fb
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সীমাহীন ফেসবুক ফিড নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে মস্তিষ্কে যে অনুভূতি হয়, কোকেন ঠিক একই ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক প্রফেসর অফটির টুরেল বলেন, যারা ফেসবুকে না প্রবেশ করে থাকতে পারেন না তাদের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার অংশে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলতে থাকে। কোকেন নিলে মস্তিষ্কের ঠিক একই অংশে প্রায় একই ধরনের কর্মকাণ্ড চলে। এই নেশা গাড়ির এক্সেলেরাটোরের মতো কাজ করে। অর্থাৎ গতি বাড়তেই থাকে। আর এ থেকে মুক্তির চেষ্টা অনেকটা ব্রেকের মতো। নেশার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের আবেগের অংশে মাঝে মাঝে যোগ দেয় অসংগঠিত দমনমূলক নীতি। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের তালিকা দেওয়া হয়। সেখানে তারা লিখেছেন ফেসবুকের প্রতি আসক্তির কথা। ‘সাইকোলজিক্যাল রিপোর্টস : ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ট্রমা’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়, তাদের বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়। বলা হয়, তাদের পছন্দের ছবি প্রদর্শনমাত্র একটি বাটনে চাপ দিতে বলা হয়। দেখা গেছে ফেসবুকের ছবি দেখামাত্র কয়েকজন ওই বাটনে চাপ দিয়েছেন। এরা আগে থেকেই ফেসবুকে আসক্ত। গবেষকরা দেখেছেন, মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অংশকে উত্তেজিত করে ফেসবুক। এই অংশ ঘটনা, আবেগ ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরে। কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ফেসবুকে ছবি দেখে এত দ্রুত ক্রিয়াশীল হয়েছেন যা রাস্তায় চলাচলের সময় নির্দেশক চিহ্ন দেখেও হন না। কাজেই বিষয়টি এক অর্থে ভয়ঙ্কর। কারণ রাস্তায় চলাচলের সময় নির্দেশক চিহ্ন না দেখে মোবাইলে ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখতে থাকলে তা দুর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে। লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে আসক্তরা যেন মাদকাসক্ত। ফেসবুকে অবস্থানের সময় এমনভাবেই কাজ করেন তারা। তবে ভালো সংবাদটি হলো, এ ধরনের আচরণ চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টির মাধ্যমে ফেসবুকে আসক্তি তাড়ানো সম্ভব। ফেসবুকের মতো টুইটার ব্যবহারকারীরাও একই ধরনের আসক্তিতে ভোগেন। অনেকের মতে, এটা তামাক বা অ্যালকোহলের নেশার মতো কাজ করে।
সূত্র : টেলিগ্রাফ

12 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here