লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস

9
259
index71 লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস

লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস

গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটি দিন যোগ করে আমরা তাকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলি। এর কারণ হিসেবে রয়েছে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘোরার সময়কাল। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

আমরা হিসাব করি ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে একবার ঘুরে আসে ৩৬৫ দিনে। কিন্তু বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড, অর্থাৎ পৃথিবীর এই সময়টুকু লাগে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমরা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে যাচ্ছি হিসেবে না ধরার দরুন। ফলে চার বছর পরে এই বাদ যাওয়া সময়টুকু প্রায় ২৪ ঘণ্টায় পরিণত হয় আর সেই ২৪ ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্যই লিপইয়ারের আবিষ্কার।

index71 লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস

বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। কিন্তু অতীতে এটি জানা ছিল না। এতে অতীতে ফসল তোলার সময়সহ নানা কার্যক্রম নির্ধারণে বছরের কোনো ধারাবাহিকতা থাকত না। এ সমস্যাটি প্রাচীন মিশরীয়রা ধরতে পারে। এ কারণে তারা বছরের শেষে কয়েক দিন উৎসব করা শুরু করে। যদিও এতে সমস্যা দূর হয়নি।

রোমানরা এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রতিবছরই অনিয়মিতভাবে দিন যোগ-বিয়োগ করতে থাকে। ফলে মূল বিষয়টি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং তার সহকারী জ্যোতির্বিদ সোসিজেনিস ৩৬৫ দিনে এক বছর হবে বলে নতুন গণনা পদ্ধতি শুরু করেন। ৩৬৫ দিনে বছর গণনা করার ফলে বাদ যাওয়া ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময়কে হিসেবে ধরার জন্য ৪ বছর পর পর ৩৬৬ দিনে একটি বছর গণনা করা হবে বলে ঠিক করলেন, সেটাই আজকের এই লিপ ইয়ার।

প্রতি চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি বাড়তি দিন যোগ করায় বছরের পর বছর প্রকৃতির একই ঋতুচক্র প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হয় এবং অন্যান্য হিসাবেও সামঞ্জস্য চলে আসে।

9 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here