ফোরজি নীতিমালা অনুমোদন

9
508
চলতি বছরেই দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য ফোরজি নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। নীতিমালায় ফোরজির লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এছাড়া নীতিমালায় নতুন মোবাইল ফোন অপারেটরের আসার সুযোগ রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ফোরজি লাইসেন্সিং গাইডলাইনের অনুমোদন দেয়।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের আপত্তি এবং দাবির মুখে ফোরজি’র রেভিনিউ শেয়ারিংয়েও পরিবর্তন এনেছে সরকার। এর আগে খসড়া নীতিমালায় নির্ধারিত ১৫ শতাংশ পরিবর্তন করে চূড়ান্ত নীতিমালায় টুজি এবং থ্রিজি’র মতো ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং (অর্জিত আয়ের সরকারি ভাগ) নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্পেকট্রাম (বেতার তরঙ্গ) নিলামের জন্য ফি-ও নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। ২১০০ মেগাহার্টজে ২৭ মিলিয়ন এবং ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজে ৩০ মিলিয়ন করে নিলামের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, চলতি বছরই ফোরজি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোও ফোরজি চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নীতিমালায় ফোরজির লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৫ কোটি, লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী মোবাইল ফোন অপারেটরকে ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে দিতে হবে ১৫০ কোটি টাকা, আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদিত নীতিমালায় রেভিনিউ শেয়ারিং নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এর সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ১ শতাংশ।
এছাড়া তরঙ্গ নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিটি ব্যান্ডের জন্য বিড আর্নেস্ট মানি হিসেবে পৃথকভাবে ১৫০০ মিলিয়ন টাকা জমা দিতে হবে এবং নিলামে অংশগ্রহণের আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা। এছাড়া নিলামের মাধ্যমে তরঙ্গ বরাদ্দ পেলে তরঙ্গ ফি’র ৬০ শতাংশ ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। বাকি ৪০ শতাংশ চারটি সমান কিস্তিতে পরবর্তী চার বছরের মধ্যে পরিশোধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর বার্ষিক লাইসেন্স ফি টুজি ও থ্রিজির মতো একইভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

9 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here