কোন অপারেটিং সিস্টেমটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি – উইন্ডোজ , ম্যাক নাকি লিনাক্স

11
463

কে ভাইরাস দ্বারা বেশি আক্রান্ত হয়, উইন্ডোজ, ম্যাক, নাকি লিনাক্স? —সহজেই উত্তর দিয়ে দেবেন, “উইন্ডোজ”! কিন্তু কেন? কেন উইন্ডোজ বেশি আক্রান্ত হয়।

“উইন্ডোজ সবচাইতে জনপ্রিয় এবং সবচাইতে বেশি ব্যবহার হওয়া অপারেটিং সিস্টেম, তাই ভাইরাস মেকার’রা উইন্ডোজকে টার্গেট করেই বেশিরভাগ ভাইরাস তৈরি করে”।

উইন্ডোজে কীভাবে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হয় ? 

হ্যাঁ, উইন্ডোজ কম্পিউটার এতোবেশি ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পেছনের মূল কারণই বলতে পারেন জনপ্রিয়তা। যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ ডেক্সটপ আর ল্যাপটপই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল, সেখানে হ্যাকারের
কাছে এটি সহজেই ভালো টার্গেট হয়ে যায়। যদি কোন হ্যাকার কোন ভাইরাস তৈরি করতে চায়, যেটা কম্পিউটারকে অকেজো করে দেবে কিংবা কোন কী-লগার তৈরি করে যেটা ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন অ্যাকাউন্ট তথ্য চুরি করবে; উইন্ডোজ অবশ্যই তাদের প্রথম পছন্দ হবে।

আর এই জন্যই দুর্ভাগ্যবসত ভাবে প্রায় যেকোনো বড় ছোট সাইবার অ্যাটাক বা হ্যাকিং অ্যাটাক উইন্ডোজের ভাগ্যেই পরে যায়।

উইন্ডোজের দুঃখজনক সিকিউরিটি

সত্যি কথা বলতে এবং উইন্ডোজের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে, উইন্ডোজ আগে দিনে সিকিউরিটির তোয়াক্কায় করেনি। সবসময় এরা ইউজার ইন্টারফেসের উপর এতোবেশি ধ্যান দিয়েছে যে, বড় বড় নিরাপত্তা ধ্বংসকারী সুড়ঙ্গ নিজেরায় খুঁড়ে
রেখেছে। কিন্তু অপর দিকে লিনাক্স এবং অ্যাপেলের ম্যাক ওএস বিশেষ করে সিকিউরিটির দিকে বিশেষ খেয়াল রেখে তৈরি করা হয়েছে। উইন্ডোজের সর্বপ্রথম যে ভার্সন ডস (DOS) ছিল, সেটা একটি সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম ছিল।যেখানে আগে থেকেই লিনাক্সে এবং ম্যাকে মাল্টি ইউজার অ্যাকাউন্ট সিস্টেম, সাথে গ্রুপ ইউজার, এবং বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন সিস্টেম লিমিট করার অপশন ছিল।

সবচাইতে ভয়াবহ ব্যাপার কি জানেন? 

— উইন্ডোজ এক্সপিকে বিনা ফায়ারওয়ালেই রিলিজ করে দেওয়া হয়েছিলো! 

চিন্তা করতে পারেন, কতো সহজেই ওয়র্মস আপনার কম্পিউটারকে আক্রান্ত করে ফেলতে পারে? ওয়র্মস কোন সিস্টেমকে আক্রমণ করার জন্য ইন্সটল হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না, এটি নেটওয়ার্কের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে দুর্বল ফায়ারওয়াল আর ত্রুটিপূর্ণ  কম্পিউটার গুলো স্ক্যান করতে থাকে, একবার খুঁজে পেয়ে গেলে, আরামে সিস্টেমে ঢুঁকে পড়ে আর কাজ কাম
স্টার্ট করে দেয়।

উইন্ডোজে অটোরান ফিচার থাকার একটি সুবিধাও ছিল। যেকোনো ড্রাইভার ইন্সটলেশন ডিস্ক ডুকানো মাত্রই ইন্সটল প্রসেস শুরু হয়ে যেতো। কিন্তু হ্যাকার যদি ভুয়া সফটওয়্যার অটোরানে লাগিয়ে দেয়, তখন? তবে অনেক ঠেকে ঠেকে শেখার পরে বর্তমানে উইন্ডোজ সিকিউরিটি নিয়ে সিরিয়াস হয়ে গেছে। পরে উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ বেড় করা হয়,যেখানে অনেক শক্তিশালী ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা হয়েছিলো। তাছাড়া উইন্ডোজ ৭, ৮, ৮.১, ১০ এ ডিফল্ট এন্টিভাইরাস
প্রোগ্রাম উইন্ডোজ ডিফেন্ডার যোগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এখনো
ইন্টারনেটে অনেক উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করা কম্পিউটার রয়েছে, যেগুলোকে খুব সহজেই আক্রান্ত করানো সম্ভব।

পাইরেসি  সফটওয়্যার ব্যবহার করা ?

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজে কোন সফটওয়্যার লোড করতে হলে কি করবেন, অবশ্যই গুগল প্লে স্টোরে চলে যাবেন। আবার লিনাক্সের ক্ষেত্রেও প্যাকেজ ডাউনলোড কোন ট্র্যাস্টেড সোর্স থেকেই করা হয়ে থাকে। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার কথা। জাস্ট ব্রাউজার ওপেন করবেন, আর সফটওয়্যারের জন্য সার্চ করতে গুগল করবেন। আমরা এটা ভেবেই দেখি না, কোন ওয়েবসাইট থেকে  সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করছি। ব্যাস লিঙ্ক
পেয়ে গেলেই ডাউনলোড লাগিয়ে দেই। আবার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট গুলোতে থাকে ম্যালিসিয়াস অ্যাড,এবং ফেইক ডাউনলোড বাটন, যেগুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমে অঝথা সফটওয়্যার ডাউনলোড হয়ে আপনার সিস্টেমে
ইন্সটল হয়ে যাবে, আর এতে মাইক্রোসফটের কোনই নিয়ন্ত্রন নেই। অ্যান্ড্রয়েডকে নিয়মিত আপডেটেড রাখলে এবং প্লে স্টোর থেকে  সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে, কখনোই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা পড়বে না।

কম্পিউটার এর হার্ড ডিস্কে A এবং B ড্রাইভ নাই কেন?

11 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here