ফের পরমাণু বিস্ফোরণ? উত্তর কোরিয়ায় প্রচণ্ড ভূকম্পন

9
288

রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। পিয়ংইয়ং দেশের যেখানে পরমাণু বোমার পরীক্ষানিরীক্ষা করে, সেখান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ওই ভূমিকম্প হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।
এর আগে যত বারই পরীক্ষামূলকভাবে পরমাণু বোমা ফাটিয়েছে পিয়ংইয়ং, তত বারই ওই এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

চীনের ভূকম্পন বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, ‘‘ওই ভূকম্পন হয়েছে পরমাণু বোমা ফাটানোর ফলে।’’ অবশ্য, দক্ষিণ কোরিয়া মনে করে, কোনো পরমাণু বোমা ফাটানোর ফলে ওই ভূকম্পন হয়নি। ভূমিকম্প হয়েছে প্রাকৃতিক কারণেই।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ভূগর্ভে খুব শক্তিশালী পরমাণু বোমা ফাটিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সেই বিস্ফোরণের পর যে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল উত্তর কোরিয়ায়, মার্কিন ভূতাত্ত্বিকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৫.৬। পরে জানা যায়, সেই মাত্রা ছিল ৬.৩।
আর হালের ভূকম্পনটি হয়েছে উত্তর হ্যামগিয়ং প্রদেশে। যেখানে পরমাণু বোমা ফাটায় পিয়ংইয়ং, তার ৫০ কিলোমিটার দূরেই ভূকম্পনের এপিসেন্টার।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভূকম্পন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু ওই কম্পনের সঙ্গে কোনো শব্দ অনুভূত হয়নি, তাই এই ভূকম্পন প্রাকৃতিক কারণেই হয়েছে বলেই তাদের ধারণা।

উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমাই কি ডেকে আনবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?
হুমকি মোতাবেক প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর কোরিয়া যদি হাইড্রোজেন বোমা ফেলে, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে দেশটির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর একবার যুদ্ধ বেধে গেলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী, উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট এখন চিতাবাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন, সেখান থেকে নামার সুযোগ কম। আবার ছোট্ট একটি দেশের হুমকি মুখ বুঝে মেনে নিতেও পারবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অবস্থায় দুই দেশই গোপনে ও প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সামরিক প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।

যদিও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পারমাণবিক হামলার হুমকির সত্যতা নিয়ে এখনো খানিকটা দ্বিধায় আন্তর্জাতিক মহল। কারণ, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে হামলা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পারমাণবিক অস্ত্র নেই, এমনটাই মনে করেন কয়েকজন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তা বলে উত্তর কোরিয়াকে সহজভাবে নেয়ার ভুল করতে রাজি নন কেউই। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার যাবতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যেই পড়ছে দুই পড়শিই। ফলে তাদের নিরাপত্তা নিয়েই এখন বেশি চিন্তিত আমেরিকা। কারণ, আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর অর্থই হলো আমেরিকাকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেয়া।

এরকম টানটান পরিস্থিতিতে আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ব্যঙ্গ করে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন কিম। সম্প্রতি কোরীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম বলেছেন, ‘পাগলাটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের জবাব আমি গোলাগুলির বিনিময়ে দেব।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা এখন চরমে উঠেছে। যার ফলস্বরূপ অদূর ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ বেধে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই নেই। জাতিসঙ্ঘে তার ভাষণে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমেরিকা ও তার বন্ধু রাষ্ট্রকে কোনো রকম হুমকি দিলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবেন তিনি। সবমিলিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ও উত্তর কোরিয়ার পালটা হুঁশিয়ারিকে ঘিরে এই মুহূর্তে মারাত্মক দোটানায় বিশ্ববাসী।

9 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here