বিল গেটসের যেসব ভবিষ্যদ্বাণী ১৮ বছর পর সত্যি হলো

4
397

আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে ‘বিজনেস অ্যাট দ্য স্পিড অব থট’ শিরোনামে একটি বই লিখেছিলেন ধনকুবের বিল গেটস। আর এতে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশ কিছু অনুমান করেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সাতটি পূর্বাভাসই সত্যি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনভিত্তিক পত্রিকা দ্য ইনডিপেনডেন্ট এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক ধনকুবের এই ব্যক্তির সেই সত্যি হওয়া কথাগুলো কী কী।

১. বিল গেটস বলেছিলেন, একসময় মানুষ ছোট যন্ত্র বহন করতে শুরু করবে, যে যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে। সেইসঙ্গে সংবাদ পড়তে পারবে, বিমানের শিডিউল জানতে পারবে এবং অন্য অনেক কিছু করতে পারবে। আর এসব বর্ণনাই মিলে যাচ্ছে বর্তমানে ব্যবহৃত স্মার্টফোনের সঙ্গে।

২. নিজের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা বা যোগাযোগের জন্য ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হবে বলেও লিখেছিলেন বিল। অন্যভাবে বলতে গেলে ফেসবুক বা মাইস্পেসের জন্মের আগেই এই ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।

৩. বিল গেটস লিখেছিলেন, ভবিষ্যতে এমন এক ধরনের সেবা পাওয়া যাবে যার মাধ্যমে একজন ক্রেতা একটি মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্যের দামের তুলনা করতে পারবেন। একটি যন্ত্রই জানাবে আপনাকে কী কিনতে হবে এবং আপনার রুচি ও অভ্যাস অনুযায়ী পণ্যই আপনার সামনে বিজ্ঞাপন আকারে আসবে।

৪. একসময় অনলাইন ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সম্প্রদায় গঠন করবেন। আর এজন্য স্থান বা দূরত্ব কোনো বিষয় হবে না। এই অনুমানের সঙ্গে রেডিট দারুণভাবে মিলে যায়।

৫. বিল গেটস অনুমান করেছিলেন, একসময় মানুষের ব্যবহার করা বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে একধরনের যোগাযোগ তৈরি সম্ভব হবে। ফলে যেকোনো সময় যেকোনো যন্ত্রের তথ্যের সাহায্য নেওয়া যাবে। অ্যামাজনের ইকো এ ভবিষ্যদ্বাণীর একটি দারুণ উদাহরণ হতে পারে।

৬. নিয়োগকর্তারা অনলাইনেই পছন্দমতো কর্মী খুঁজে পাবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিল গেটস। তিনি বইতে লেখেন, ‘প্রকল্প পরিচালকরা অনলাইনেই দল গঠনের জন্য কর্মী খুঁজে পাবেন। অনলাইনেই কাজ নিয়ে আলোচনা করা যাবে এবং কর্মীর সহজলভ্যতা অনুযায়ী পছন্দীয় কর্মী বাছাই করতে পারবেন।’ আর এই ব্যবস্থাই এখন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফরওয়্যারের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

৭.  নিজের লেখা বইয়ে বিল গেটস আশা প্রকাশ করেছিলেন, ভবিষ্যতে মানুষ অনলাইনেই চাকরি খুঁজবে। আর ১৮ বছর পরে এসে দেখা যাচ্ছে সত্যিই অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে মানুষ চাকরি খুঁজছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চাকরির জন্য দরখাস্তও জমা দেওয়া যায়।

4 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here