বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলায় চলতি বছরের প্রথমার্ধেই ৪০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে হারে সাইবার হামলার পরিমাণ বাড়ছে তাতে বছরের শেষ দিকে এই ক্ষতির পরিমাণ অন্যান্য যেকোনো বারের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের এই অর্ধ-বার্ষিক এই রিপোর্ট দিচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ট্রেন্ড মাইক্রো। প্রতিষ্ঠানটির মিডওয়াইয়ার সিকিউরিটি রাউন্ড-আপের মতে, এই সময়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান র্যানসমওয়্যার, ব্যবসায়িক ই-মেইল কম্প্রোমাইজ (বিইসি) স্ক্যাম এবং ইন্টারনেটের থিংস (আইওএটি) আক্রমণের সম্মুখীন হয়।
ট্রেন্ড মাইক্রো বছরের প্রথমার্ধেই ৮ কোটি ২০ লাখ র্যানসমওয়্যার হুমকি পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে প্রায় তিন হাজারবার আক্রমণ চালানো হয়েছে।
ট্রেন্ড মাইক্রোর প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ম্যাক্স চ্যান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার বিষয়টি চলতি বছর অনেকটাই ‘হট-বাটন’ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পুরো সময়টাতেই এই অবস্থা চলতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চ্যান বলেন, নিরাপত্তার জন্য এন্টারপ্রাইজগুলোকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের নিরাপত্তার জন্য কোম্পানির মূল বিনিয়োগের চেয়েও বেশি অর্থ খরচ করতে হতে পারে।
এপ্রিল এবং জুনে, ‘ওয়ানাক্রিপট’ এবং ‘পেতায়া’ র্যানসমওয়্যার বিশ্বব্যাপী হামলা চালিয়ে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি করে।
ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই এর মতে, বিইসি স্ক্যামগুলি বিশ্বব্যাপী ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে।
এই অর্ধ-বার্ষিকীতেই হামলা চালানো হয়েছে আইওটি প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানেও। সেখানেও ক্ষতির পরিমাণ দিনকে দিন বাড়ছেই। একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমেও সাইবার হামলা নিয়ে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে হ্যাকাররা।
তবে বছর শেষ ক্ষতির পরিমাণ এবং হ্যাকাররা ঠিক কী পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান করতে পারছে না ট্রেন্ড মাইক্রো।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষতির পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। যার অধিকাংশের শিকার হবে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
ধন্যবাদ, itdoctor24.com এর সাথে থাকুন
Si vous envisagez d’utiliser une application d’espionnage de téléphone portable, vous avez fait le bon choix.