“antivirus””antivirus” ২০১৮ সালের বেস্ট কয়েকটি ফ্রি antivirus!!!!

26
764

antivirus এর ফ্রি কয়েকটি  vertion নিয়ে আলচনা করার জন্য আমি monjur morshed  আছি আপনাদের সাথে ।

বিশ্বের মতোই বিশেষ করে বাংলাদেশের পিসি ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার কেনার সময় নগদ টাকা খরচ করে থাকেন কিন্তু সফটওয়্যারের পিছনে আসলেই আপনারা টাকা পয়সা খরচ করতে চান না। মানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই এখনো জেনুইন সফটওয়্যারের ব্যবহারের মজা উপভোগ করতে পারেন নি। কারণ কি? কারণ হচ্ছে মাত্র ৪০/৫০ টাকার ডিভিডিতে হাজারো সফটওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে যে দেশে সেখানে সিঙ্গেল সফটওয়্যারে ২০০ টাকা খরচ করতেও আপনার বিবেকে বাঁধা দিবেই! আর এন্টিভাইরাসও এক্ষেত্রে বাদ যায় না। প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাসের একটি সাবক্রিপ্টশন কিনতে হলেও আপনাকে কমপক্ষে পিসি প্রতি ৭০০ টাকা করে গুণতে হবে! তাহলে এর বিকল্প কি?

বিকল্প হলো নেট থেকে প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাসগুলো ডাউনলোড করে নিয়ে কী কোড হ্যাক করে নিতে পারেন কিংবা পিসির এডভান্স ইউজার না হলে আপনি সরাসরি নেট থেকে ফ্রি এন্টিভাইরাসগুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। আর আমাদের দেশে যেহেতু এন্টিভাইরাসের ক্ষেত্রে ফ্রি জিনিসটাই বেশি চলে তাই আজ আমি আপনাদের জন্য টেকটিউনসে নিয়ে এলাম ২০১৮ সালের মানে আগত বছরের জন্য সেরা কিছু ফ্রি এন্টিভাইরাসের খবর! এগুলোর অধিকাংশগুলোই আপনারা ব্যবহার করে থাকেন।

ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে একটি বিষয় আপনাকে নিশ্চিত রাখতে হবে সেটি হলো যেই এন্টিভাইরাসই আপনি ব্যবহার করেন না কেন, আপনার এন্টিভাইরাসটি যেন নিয়মিত আপডেট করা হয়! কারণ প্রতিনিয়তই ভাইরাসের প্রকোপ এবং প্রকারভেদ বেড়েই চলেছে এবং সময়ের সাথে আপনার এন্টিভাইরাসটি পিছিয়ে থাকলে সেটি আর আপনার পিসির সুরক্ষায় কাজে আসবে না।

সাধারণত বাসায় পিসি ব্যবহার করে থাকলে আপনার জন্য প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু অফিসে কিংবা বেশ কটি পিসি নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিৎ।

আর আরেকটি কথা, ফ্রি এন্টিভাইরাস দিয়ে যদি কাজ চলে তাহলে কেন আপনি টাকা খরচ করে প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস কিনবেন? এটি একটি ভালো প্রশ্ন।

ফ্রি এন্টিভাইরাসগুলোর সাবক্রিপ্টশনগুলোর দিকে তাকালে এই বিষয়টি অনেকটাই আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। অধিকাংশ ফ্রি এন্টিভাইরাস সাবক্রিপ্টশন করতে গেলে দেখবেন যে এন্টিভাইরাসটি শুধুমাত্র নন কমার্শিয়াল ব্যবহারের জন্য ফ্রিতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন! কমার্শিয়াল ভাবে ব্যবহার করতে গেলে এই ফ্রি এন্টিভাইরাসটিকেই আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে!

এছাড়াও ফ্রি এন্টিভাইরাসগুলোতে সম্পূর্ণ সিকুরিটি সুইট দেওয়া থাকে না। কোনো এন্টিভাইরাসের সম্পূর্ণ ফাংশনালিটি ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্রিমিয়াম সংস্করণটি টাকা দিয়ে কিনে নিতে হবে।

যেমন ক্যাসপারেস্কি এন্টিভাইরাসের ফ্রি সংষ্করণে আপনি পাওয়ারফুল system watcher component ফিচারটি পাবেন না। এই ফিচারটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার, যেটি আপনার পিসিতে কোনো ম্যালওয়্যারের দ্বারা পরিবর্তিত যেকোনো একশনকে রিভার্ট করতে পারবে এবং ম্যালওয়্যারটিকে চিহ্নিত করে অটোম্যাটিক্যালি রিমুভ করে দিবে।

কিন্তু এখানেও একটি কথা রয়েছে। বেস্ট ফ্রি এন্টিভাইরাসের কথা যদি আমি বলি তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে এভাস্ট এন্টিভাইরাসকে সার্পোট করি। এখানে কথা হচ্ছে এভাস্ট যেহেতু ফ্রি সংস্করণেই ভালো সার্ভিস দিচ্ছে তাই আপনি যদি টাকা খরস করে পেইড এন্টিভাইরাস কিনতে চান তাহলে এভাস্ট না কিনে অন্য কোনো এন্টিভাইরাস কিনতে পারেন। যেমন ক্যাসপারেস্কির ফ্রি সংস্করণটি তেমন ভালো না কিন্তু যারা ক্যাসপারেস্কির প্রিমিয়াম সংস্করণটি ব্যবহার করেছেন তারাই জানেন ক্যাসপারেস্কির ব্যবহারের মজা!

আর সর্বশেষে যে কথাটি বলতে চাই তা হলো কোনো প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাসে যাবার আগে এর ফিচারগুলোকে ফ্রি এন্টিভাইরাসের সাথে একবার ক্রস চেক করে নিবেন। দেখা গেলো প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাসে যে এক্সট্রা সুবিধাগুলো আপনি পাবেন সেগুলো আল্টিমেটলি আপনার দরকারই হলো না! যেমন প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাসে আমি ধরে নিলাম আপনি ট্র্যাক্যার ফ্রি অনলাইন পারচেজ ফিচারটি পাবেন যেটির মাধ্যমে অনলাইনে আপনি নিরাপদ ভাবে পন্যসামগ্রী কিনতে পারবেন। দেখা গেলো আপনি অনলাইনে কখনোই কোনো কিছু কিনেন না এবং অদূর ভবিষৎতেও কেনার সম্ভাবনা নেই! তাহলে এই ফিচারটি টাকা দিয়ে কিনতে সেটা আপনার জন্য হবে অপচয় ছাড়া কিছুই না!

তো দেখে নিন ২০১৮ সালে ফ্রি এন্টিভাইরাস লিস্টে কি কি রয়েছে :

তো ফিচার এবং দামের দিকে ফ্রি এসকল বিষয় মাথায় রেখে উপরের চার্টের মতে ২০১৮ সালের জন্য সেরা ফ্রি এন্টিভাইরাস হচ্ছে এভাস্ট এন্টিভাইরাস! ওদিকে AVG এন্টিভাইরাসও কম যায় না! কিন্তু পান্ডা এন্টিভাইরাস আমাদের চার্টের একদম শেষে রয়েছে। যাই হোক এবার আজকের লিস্টের প্রথম ৩টি এন্টিভাইরাসের সংক্ষিপ্ত ভূমিকা দিয়ে আজকের টিউনটি শেষ করছি।

এভাস্ট ফ্রি এন্টিভাইরাস!

লজিক্যালি একটি ফ্রি এন্টিভাইরাসে যথাযথ ভাবেই বেসিক ফিচারগুলো দেওয়া দরকার! না হলে সেটি অকার্যকরী এন্টিভাইরাসও বলা যেতে পারে। যেটিতে এভাস্ট ফ্রি এন্টিভাইরাস সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে। এভাস্ট ফ্রি এন্টিভাইরাসে আপনি এভাস্ট কোম্পানির এন্টিভাইরাসের বেসিক সকল সিকুরিটিই পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু কোম্পানির এডভান্স বোনাস ফিচারগুলোর স্বাদ পেতে হলে এভাস্টের যেকোনো প্রিমিয়াম সংস্করণ আপনাকে কিনে নিতে হবে। তবে ফ্রি সংস্করণেরই আপনি পাচ্ছেন একটি জোস এন্টিভাইরাস ইঞ্জিন, নেটওয়ার্ক সিকুরিটি স্ক্যানার, পাসওর্য়াড ম্যানেজার, নিজস্ব সিকিউর ব্রাউজার সহ আরো অনেক কিছুই!  আর যারা AVG এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেন তাদের জন্য একটি খবর হচ্ছে গত বছর এভাস্ট কোম্পানি AVG কোম্পানিটিকে কিনে নিয়েছে। তবে এখন আপনি এই দুটো কোম্পানিকে একত্রে এন্টিভাইরাস বের করতে দেখবেন না, কারণ তাদের দুজনরই বিশ্বব্যাপী আলাদা অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন। যারা এখনো এই চমৎকার এন্টিভাইরাসটি ব্যবহার করেননি তারা এখনি এটি পরখ করতে দেখতে পারেন। এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংকে ক্লিক করে।

AVG এন্টিভাইরাস ফ্রি!

এভাস্ট এন্টিভাইরাসের জনপ্রিয়তার আগে AVG এন্টিভাইরাস ছিলো ফ্রি এন্টিভাইরাস প্রিয়দের একমাত্র প্রিয় এন্টিভাইরাস। বলা বাহুল্য যে উইন্ডোজে আপনি বিল্ট ইন ভাবে আগে থেকেই Windows Defender বা মাইক্রোসফট সিকুরিটি এসেনশিয়াল নামের একিট এন্টিভাইরাস পাবেন। কিন্তু যদি আসলেই যেটি দিয়ে ফ্রি এন্টিভাইরাসের কাজ চলতো তাহলে এইসকল থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাসগুলোতে এতগুলো ব্যবহারকারী থাকতো না।

আর ২০১৮ সালের জন্য নতুন ইন্টারফেস নিয়ে আসছে AVG এন্টিভাইরাসের ফ্রি সংস্করণটি, থাকলে ভালো মানের ম্যালওয়্যার প্রটেক্টশন, এন্টিফিশিং প্রটেক্টশনও খারাপ নয়। এছাড়াও AVG Web TuneUp plun-in ফিচারটিও মন্দ নয়, এটি বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজারে অটো ইন্সটল হয়ে বেশ কিছু দারুন সিকুরিটি বেনিফিটস আপনাকে উপহার দিতে পারবে। যারা এখনো এই এন্টিভাইরাসটি ব্যবহার করেননি তারা এখনি এটি পরখ করতে দেখতে পারেন। এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংকে ক্লিক করে।

বিটডিফেন্ডার এন্টিভাইরাস ফ্রি এডিশন!

আমাদের আজকের ফ্রি এন্টিভাইরাসের লিস্টের ৩য় স্থানে রয়েছে বিটডিফেন্ডার এন্টিভাইরাসটি! এন্টিভাইরাসটির ফ্রি সংষ্করণে আপনি সিকুরিটির প্রটেক্টশনের জন্য বেশ কটি ফিচার পাবেন তবে এর পুর্ণাঙ্গ সিকুরিটি পেতে হলে এর প্রিমিয়াম সংষ্করণটি আপনাকে কিনে নিতে হবে। কারণ এই এন্টিভাইরাসের ফ্রি এডিশনে শুরুমাত্র বছরভিক্তিক নাম পরিবর্তন ছাড়া তেমন কোনো আপডেট আসে নি। শুধুমাত্র লেটেস্ট সংস্করণে উইন্ডোজ ১০ এর সার্পোট নিয়ে এন্টিভাইরাসটি ছাড়া হয়েছে।

এন্টিভাইরাসে রয়েছে সহজে ব্যবহারযোগ্য ড্রাগ এন্ড ড্রপ স্ক্যান ফিচার যেখানে আপনি যেকোনো ফাইল টেনে এনে নিয়ে স্ক্যান করে নিতে পারবেন। তো এই এন্টিভাইরাসটি পরখ করে দেখতে চাইলে ডাউনলোড করে নিন এক্ষুনি আর ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

চেকপয়েন্ট জোন এলার্ম ফ্রি এন্টিভাইরাস!

বেশ বড়সড় নামের এন্টিভাইরাস এটি। কাজের ক্ষেত্রেরও একই রকম! রয়েছে দুটি ফায়ারওয়াল, রয়েছে ক্যাসপারেস্কি ল্যাব থেকে আগত লাইসেন্স সুরক্ষা ইত্যঅদি। আগেই বলেছি পেইড করা এন্টিভাইরাসগুলো ভালে বটে কিন্তু এটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়, ঠিক সে রকমই একটি ফ্রি এন্টিভাইরাস হলো এই চেপয়েন্ট জোনএলার্ম ফ্রি এন্টিভাইরাস।

আপনার যদি ক্যাসপারেস্কি এন্টিভাইরাসের উপর ভরসা থাকে তাহলে আপনি এই এন্টিভাইরাসকেও নিশ্চিন্তে ভরসা করতে পারেন কারণ এই এন্টিভাইরাসের কম্পোনেন্টসগুলো ক্যাসপারেস্কির থেকে লাইসেন্সডকৃত। এন্টিভাইরাসটির সেটআপ ফাইল চালু করলেই এটি ইন্টারনেটের সাহায্যে লেটেস্ট আপগ্রেডের এন্টিভাইরাসের সংষ্করণটি আপনার পিসিতে ইন্সটল করে নিবে।  যারা ইন্টারনেটে তেমন ঘাটাঘাঁটি করেন না বরং অফলাইনে বেশি কাজকর্ম সেরে থাকেন তাদের জন্য এই এন্টিভাইরাসটি দারুণ হবে! এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

ক্যাসপারেস্কি ফ্রি এন্টিভাইরাস!

ক্যাসপারেস্কি এন্টিভাইরাস সম্পর্কে নতুন করে এখানে কিছুই বলার নেই। এন্টিভাইরাসটির পেইড সংস্করণ আমি নিজে কয়েকজন বড়সড় ব্যক্তিবর্গের পিসিতে ব্যবহার করতে দেখেছি। তবে আপনারা জানেন কি ৩০ দিনের ট্রায়াল ছাড়াও ক্যাসপারেস্কির ফ্রি এন্টিভাইরাসও রয়েছে! আগে ক্যাসপারেস্কির শুধুমাত্র পেইড সংস্করণেই ভালো মানের সার্ভিস দিতো তারা কিন্তু বর্তমানে ফ্রি সংস্করণেরও বেশ ভালো বেসিক ফিচার দিয়ে রেখেছে তারা। ক্যাসপারেস্কি ফ্রি এন্টিভাইরাসে রয়েছে কোম্পানির malware fighting technology, রয়েছে minus frills এবং বিভিন্ন বোনাস ফিচার! অনান্য বেশির ভাগ ফ্রি এন্টিভাইরাসের মতোই ক্যাসপারেস্কি ফ্রি এন্টিভাইরাসটি শুধুমাত্র নন কমার্শিয়ালভাবে ফ্রিতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে। 

সোপোস হোম!

এন্টিভাইরাসের দুনিয়ায় কিছু কিছু এন্টিভাইরাস কাস্টমারদের কথা চিন্তা করে ফ্রি সংস্করণে বেশি জোড় দিয়েছে আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার কথা ভেবে প্রিমিয়াম সংষ্করণে বেশি জোড় দিয়ে আসছে। Sophos এন্টিভাইরাইস এতদিন মাকের্টের বিজনেস সাইডটিতে দেখে আসছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তারা হোম সিকুরিটি নামের একটি ফ্রি এন্টিভাইরাস বাজারে ছেড়েছে। এবং তারা শুধু বেসিক ফিচারগুলোই এতে অন্তভূর্ক্ত করেনি, আপনার এখন Fortune 500 সিকুরিটি স্যুাট এর মতো হাই লেভেল প্রটেক্টশন পাবেন একত্রে ১০টি পিসিতে। এন্টিভাইরাসটি বিভিন্ন ভাইরাস স্ক্যানিং রির্পোটে বেশ ভালোই স্কোর করেছে, এছাড়াও এন্টিভাইরাসটি এন্টিফিশিং এবং সন্দেহমূলক ইউআরএল ব্লকিংয়েও বেশ ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে। তবে এন্টিভাইরাসটির দূবর্ল দিক হলো এটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জন্যই পাওয়া যাবে এবং প্রতিবার ইউজার ইন্টারফেস চালু করার সময় UAC কনফার্মেশন আপনাকে দিতে হবে। তবে অন্য কথায় এন্টিভাইরাসটি বেশ ভালোই। Sophos এর বিজনেজ গ্রেডের প্রটেক্টশন এবার আপনি আপনার নন কর্মাশিয়াল পিসিতে ফ্রিতে এর স্বাদ নিতে পারবেন। এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

অ্যাভিরা এন্টিভাইরাস!

এন্টিভাইরাস জগতের গডফাদার বলতে পারেন এই অ্যাভিরা এন্টিভাইরাসের কোম্পানিকে। কারণ সেই ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি আমাদেরকে ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত করে আসছে। তবে কিছুদিন হলো অ্যাভিরাও অন্যদের মতো ফ্রি এন্টিভাইরাস বাজারে ছেড়েছে আর এটার প্রিমিয়াম সংষ্করণের মতোই এটাও জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। কারণ এন্টিভাইরাসটির ল্যাব স্কোর বেশ সন্তোষজনক এবং ইন্সটল করার সময় বিভিন্ন অনান্য অ্যাভিরা প্রোডাক্ট ফ্রিতে ইন্সটল করার সুযোগও রয়েছে। তবে এন্টিভাইরাসটির দুর্বল দিক হলো এটির অন-ডিমান্ড স্ক্যান এবং রিয়েল টাইম প্রটেক্টশন ফিচারটি বেশ স্লোতে কাজ করেছে আমার পিসিতে।

এন্টিভাইরাসের ফ্রি সংষ্করণে আপনি ওয়েব প্রক্টেশন, মেইল প্রক্টেশন এবং গেম মোডটি পাবেন না কারণ এই ফিচারগুলো এন্টিভাইরাসের প্রিমিয়াম সংষ্করণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এন্টিভাইরাসটি আজই ট্রাই করে দেখতে পারেন আপনি, ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

কমোন্ডো এন্টিভাইরাস ১০!

কমোন্ডো্ এন্টিভাইরাস ১০! ১০ মানে ভাববেন না যে এটি ২০১০ সালের সংস্করণ! অধিকাংশ এন্টিভাইরাস কোম্পানি বছরভেদে তাদের নাম পরিবর্তন করে থাকে। কিন্তু কমোন্ডো এন্টিভাইরাস সিম্পল নাম্বার দিয়ে আসছে তাদের এন্টিভাইরাসগুলোতে। কিন্তু এবার কমোন্ডো এন্টিভাইরাস ৮ থেকে সরাসরি কমোন্ডো এন্টিভাইরাস ১০য়ে তারা চলে এসেছে। অনেকটা মাইক্রোসফট উইন্ডোজের মতো! কমোন্ডো এন্টিভাইরাসে রয়েছে শক্তিশালি ম্যালওয়্যার ব্লকিং সিস্টেম, রয়েছে অটোমেটিক স্যান্ডবক্স ফিচার, রয়েছে Behavior-based ম্যালওয়্যার ডিটেক্টশন, রয়েছে চমৎকার ভার্চুয়াল ডেক্সটপ এবং সিকিউর ব্রাউজার সিস্টেম। তবে ফ্রি সংষ্করণে আপনি কিছু ফিচার পাবেন না যেমন ওয়েব বেইসড প্রটেক্টশন, অটো রির্পোট সেন্ড, ইমেইল প্রটেক্টশন ইত্যাদি।

এভাস্ট এন্টিভাইরাসের মতোই আপনি কমোন্ডো এন্টিভাইরাসের ফ্রি সংস্করণটি নন কমার্শিয়াল ভাবে ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন এবং বছরে ২০ মার্কিন ডলার খরচে এর প্রিমিয়াম সংষ্করণটিও পেয়ে যাবেন। প্রিমিয়াম সংষ্করণে অতিরিক্ত ফিচার হিসেবে রয়ৈছে সিস্টেম অপটিমাইজেশন, ডিভাইস এবং সফটওয়্যার সেটআপ, ট্রাবলশ্যুাটিং সহ বিভিন্ন সব প্রিমিয়াম ফিচার।

এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

পান্ডা ফ্রি এন্টিভাইরাস!

পান্ডা এন্টিভাইরাসটি বিশেষ করে ইউএসবি ড্রাইভের সিকুরিটিতে বেশ ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে অনান্য ফ্রি এন্টিভাইরাসের তুলনায়। এবং অনান্য এন্টিভাইরাসের তুলনায় এটির সাইজও অনেক কম এবং ইউজার ইন্টারফেসও বেশ আকর্ষনীয়! আগেই বলেছি পান্ডা এন্টিভাইরাসটি শুধুমাত্র যারা বেশি বেশি পিসিতে USB ড্রাইভ লেনদেন করে থাকেন তাদের জন্য বেশ উপযুক্ত। কারণ এন্টিভাইরাসটির অনান্য সকল ফিচার তেমন কার্যকরি নয়। ম্যালওয়্যার ইঞ্জিনও বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে আপগ্রেড করা হয়নি। ১০০ এর ভেতর মাত্র ৩৪ স্কোর নিয়েও পান্ডা এন্টিভাইরাসটি আমাদের আজকের লিস্টে রয়েছে শুধুমাত্র এর USB প্রক্টেশনের জন্য।

তো যারা পিসিতে অতিরিক্ত পরিমাণের পেনড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন তারা আজই এই এন্টিভাইরাসটি পরখ করে দেখতে পারেন। এন্টিভাইরাসটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

আপনার কম্পিউটার যখন অন্য রকম আচরণ করতে থাকে তখন স্বাভাবিক ভাবেই আপনি ভাববেন যে আপনার সখের পিসিটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন ভাইরাস তো অনেক রকমের আছে, যদি আপনি ভাইরাসের প্রকারভেদ জানতে পারেন তাহলে এদের থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন এবং আরো দ্রুত পিসিকে সাড়িয়ে তুলতে পারবেন।

ভাইরাস এক ধরণের প্রোগ্রাম যা অন্য কোনো প্রোগ্রামে (Executable File) ঢুকে তাকে আক্রান্ত করে এবং  এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে নিজেকে প্রসারিত করে। তবে এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য ৯৮% ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই দায়ী।

ভাইরাস পিসি প্রোগ্রাম থেকে ডাটা ফাইল এমনকি হার্ডডিক্সের বুট সেক্টরেও লুকিয়ে থাকতে সক্ষম। ভাইরাস সাধারণত হার্ডডিক্সের জায়গা দখল করে হার্ডডিক্সের জায়গা ভরে দেয়, সিপিইউ টাইমে ওলট-পালট করে, প্রাইভেট তথ্য চুরি, ডাটা করাপ্ট করা সহ পিসির পর্দায় হাস্যকর কিংবা অদ্ভুত বার্তা প্রদর্শন করতে পারে।

ভাইরাসের কারণে সিস্টেম ফেইলিয়ার, পিসি রির্সোস নষ্ট, ডাটা নষ্ট, পিসি নিয়ন্ত্রণ খরচাবলি বৃদ্ধি ইত্যাদি জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তবে সব ভাইরাসই পিসির ক্ষতি করে না এবং সব ভাইরাস নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে না।দুনিয়ার ৯৯% ভাইরাস মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে, মানে উইন্ডোজেই ভাইরাস আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি।

ভাইরাসকে দমন করতে বহু ফ্রি এবং ওপেন সোর্সের এন্টিভাইরাস যেমন তৈরি হচ্ছে তেমনি লাখ লাখ টাকার এন্টিভাইরাস কোম্পানিও তৈরি হচ্ছে। তবে দুঃখের কথা এই যে, আজ পর্যন্ত একটিও এন্টিভাইরাস তৈরি হয়নি যা আপনাকে সর্ম্পূণভাবে ভাইরাস থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে।

আজকের টিউনটি শেষ করছি কিভাবে কম্পিউটার ভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে থাকবেন তার কয়েকটি উপায় নিয়ে:

১। একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরের কোন ফ্ল্যাশ অথবা পেনড্রাইভ ব্যবহার না করা। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরের ফ্ল্যাশ অথবা পেনড্রাইভ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপডেটেড কোন এন্টিভাইরাসের স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে নেয়া। ভাইরাস পেলে তা রিমুভ, কিল, হিল বা ডিলেট করে নেয়া।

২। সিডি বা ডিভিডি ব্যবহারের পূর্বে এন্টিভাইরাসের স্ক্যানের মাধ্যামে স্ক্যানের পর তাতে ভাইরাস ধরা পড়লে ওই সিডি/ডিভিডি ব্যবহার না করা। কারণ সিডি/ডিভিডিতে ডাটা রাইট করার সময় ভাইরাস ঢুকে যায় এবং পরে ভাইরাস পাওয়া গেলেও তা মুছা অসম্ভব।

৩। আজকাল মোবাইল ফোনে মেমোরি স্টিক জাতীয় এক্সাটার্নাল মেমোরি যুক্ত করার সুবিধা থাকায় এবং গান, রিংটোন, ইমেজ বা মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টসমূহ কম্পিউটার হতে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড এবং মোবাইল ফোন হতে কম্পিউটারে আপলোড করার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সাথে মোবাইলে সংযোগ দেওয়ার সাথে সাথে সেটিকে স্ক্যান করে নেওয়া উচিত।

৪। ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ছবি পিসিতে আপলোড করার সময় ক্যামেরার মেমোরিকে স্ক্যান করিয়ে নেওয়া।

৫। ডিস্ক রাইট প্রটেক্ট না করে অন্য কোন কম্পিউটারে ব্যবহার না করা।

৬। সব সময় এন্টিভাইরাসের আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করা।

৭। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে অবশ্যই প্রতিদিন এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি আপডেড করিয়ে নেওয়া।

৮। প্রতিদিন কাজের শেষে প্রয়োজনীয় ডাটার ব্যাকআপ রাখা। ব্যাকআপ রাখার পূর্বে যে স্থানে ব্যাকআপটি নেয়া হচ্ছে সেটি ভাইরাসমুক্ত কিনা তা দেখে নেওয়া।

৯। পিসিতে কোন পেনড্রাইভ / সিডি-ডিভিডি রেখে কম্পিউটার চালু না করা।

১০। অধিকাংশ ভাইরাস সাধারণ.exe ফাইলসমুহে আক্রমণ করে বেশি। তাই.exe ফাইলসমুহ Read Only করে রাখা।

১১। মাঝে মাঝে এন্টিভাইরাস দিয়ে পুরো পিসিকে স্ক্যান করিয়ে নেওয়া।

১২। ইন্টারনেট এবং ল্যান ব্যবহারে সতর্ক হওয়া। ইন্টারনেট এবং ল্যান ব্যবহারের পূর্বে এন্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল চালু রাখা।

১৩। ভাইরাস স্ক্যানিং করে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করা।

১৪। ই-মেইল এ অপরিচিত এটাচমেন্ট ফাইল খোলার ব্যাপারে সর্তক হওয়া।

১৫। ওয়েবে ”টরেন্ট” জাতীয় সাইট হতে ফাইল নামানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এ ধরণের সাইটে নানা ধরণের ভাইরাস লুকিয়ে থাকতে পারে।

১৬। অযথা অপ্রয়োজনীয় ফ্রি সফটওয়্যার বা ডেমো সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।

১৭। কম্পিউটার র্স্টাটআপে ভাইরাস প্রতিরক্ষক গার্ড একটিভ রাখা।

১৮। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা। কারণ এজাতীয় সফটওয়্যারগুলোকে একটিভ করার জন্য এদের সাথে কী-জেন (Keygen) জাতীয় প্রোগ্রাম দিয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

১৯। সম্ভব হলে বছরে অন্তত একবার সম্পূর্ণ হার্ডডিস্কটি ফরম্যাট করে নতুন করে সব প্রোগ্রাম ইন্সটল করা।

২০। পিসিতে অতিরিক্ত গেমস ইনষ্টল না করা।

উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে ভাইরাস হতে নিজের পিসিকে অনেকটায় বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

তো এই ছিল আজকের টিউটরিয়ালের যত প্যাঁচাল! মূলত ফ্রি এন্টিভাইরাসের ১০০ পয়েন্টের মধ্যে এভাস্ট এন্টিভাইরাস প্রায় ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে AVG এন্টিভাইরাস আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই বিটডিফেন্ডার এন্টিভাইরাসটি! আপনি কোন ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকেন? সেটা অবশ্যই আমাদের সাথে  শেয়ার করুন!

26 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here