দল নির্বাচন নিয়ে অধিনায়কদের কাছে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্ন ছুটে যায়। দলে কে এলেন, কে বাদ পড়লেন, কেনই বা বাদ পড়লেন? কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আফ্রিদিকেই উল্টো বিব্রতকর এ প্রশ্নটির উত্তর দিতে হতে পারে—‘আপনি কেন দলে?’ তাঁর পূর্বসূরি জাভেদ মিয়াঁদাদ তো রাখঢাক না করেই প্রশ্ন তুললেন, যাঁর ওপর ভরসা করা যায় না তাঁকে দলে রাখা কেন!
এশিয়া কাপে ভারতের কাছে হারকে বড় করে দেখছেন না আফ্রিদি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হারের পরও অধিনায়কের এমন নির্লিপ্ততায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন। সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। এ সমালোচকদের দলে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানের ‘আজ’ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘আপনি কীভাবে এমন একজন খেলোয়াড়কে দলে রাখেন, যার ব্যাপারে কেউ বলতে পারে না যে সে পারফর্ম করবে কি না। দলে আফ্রিদির জায়গা তো শেষ হয়ে গেছে কয়েক বছর আগেই।’
আফ্রিদিকে দলে নেওয়ায় নির্বাচকদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন বড়ে মিয়াঁ, ‘আপনি কীভাবে জয়ের আশা করেন, যখন নির্ভর করতে পারেন না এমন এক ক্রিকেটারকে বছরের পর বছর খেলিয়ে যান। যে কিনা আবার অধিনায়ক! এই নির্বাচক কমিটি আর বাজে খেলা খেলোয়াড়দের বাদ দিতে হবে।’ এ ব্যাপারে মিয়াঁদাদ সম্ভবত সাংবাদিকদেরও একটা ভূমিকা চান। তাঁর কথায় সেই ইঙ্গিত, ‘ইদানীং তো মিডিয়ার প্রভাবে খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া, বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আগাম অবসরের ঘোষণা দেওয়া আফ্রিদি নিজের সিদ্ধান্ত বদলানোর চিন্তাভাবনা করছেন। তাঁর এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান, ‘শহীদ আফ্রিদি অবসরের ঘোষণা দেবে, এই শর্তেই তাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। এখন তো তার মতি পাল্টে গেছে মনে হচ্ছে।’ তবে পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, মিয়াঁদাদের সুর অন্যদেরও মুখে ফুটলে অবসরের সিদ্ধান্ত বদলের সুযোগ পাবেন না আফ্রিদি। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।