আইয়ামে বিজের নফল রোজা
‘আইয়াম’ আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো—দিবসসমূহ, কাল, সময় ইত্যাদি। এটি বহুবচন, এর একবচন হলো ‘ইয়াওম’, অর্থ হলো দিন বা দিবস। ‘বিজ’ বা ‘বিদ’ অর্থ শ্বেতবরণ, শুভ্রবর্ণ, ঔজ্জ্বল্য, সফেদ, সাদা রং ইত্যাদি। ‘আইয়াম বেজ’ বা ‘আইয়াম বিজ’ (পরিবর্তিত উচ্চারণে আইয়ুম বেজ) অর্থ শুক্লপক্ষীয় দিবস, চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। (বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান)। আইয়ামে বিজে রোজা রাখা সুন্নত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)। হজরত কাতাদাহ (রা.) বলেন: ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি বলেন, তা এক বছরের রোজার সমতুল্য।’ (আবু দাউদ ও নাসায়ি)। রমজান মাসে যেহেতু পূর্ণ এক মাস রোজা ফরজ; তাই রমজানে আইয়ামে বিজের রোজা নেই।
এই রোজাকে সওমে আদম বা আদম (আ.)-এর রোজা বলা হয়। হজরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় আসার পর প্রথম এই তিনটি রোজা পালন করেন; যার বদৌলতে তাঁরা আগের মতো জান্নাতি রূপ–লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য ফিরে পান এবং এই দিনগুলোতে চাঁদ পূর্ণ শশীতে পরিণত হয়, রাতভর পূর্ণিমার জ্যোত্স্নালোক বিকিরণ করে বলে এই নামকরণ করা হয়েছে।
সোমবারের নফল রোজা
হজরত আয়িশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। (তিরমিজি ও নাসায়ি)। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আপনি সোমবার রোজা রাখেন কেন? তিনি বললেন, এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে; তাই এই দিন রোজা রাখি। এখনো মদিনা শরিফে ব্যাপকভাবে এই আমল প্রচলিত আছে; প্রতি সোমবার মসজিদে নববীতে ইফতারের বিশেষ আয়োজন করা হয়, যা স্থানীয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন করে থাকেন।
বৃহস্পতিবারের নফল রোজা
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়; আমি চাই রোজা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপিত হোক।’ (তিরমিজি)। মক্কা শরিফে এই আমল আজও বিদ্যমান রয়েছে। মসজিদুল হারামের দোতলায় প্রতি বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
শুক্রবারের নফল রোজা
শুক্রবারের নফল রোজা এক সপ্তাহের রোজার সমান। শবে জুমুআ বা জুমুআর রাতে নবীজি (সা.) মায়ের গর্ভে আগমন করেন বলে উল্লেখ আছে। তাই এই দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রতি চান্দ্রমাসের তিন দিনের নফল রোজা
প্রতি চান্দ্রমাসের ১০, ২০ ও ৩০ তারিখ রোজা রাখলে পূর্ণ মাসের রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে।
তাসূআর নফল রোজা
তাসূআ মানে নবম ও নবমী; এখানে তাসূআ বলতে মহররম মাসের ৯ তারিখ বোঝানো হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনে রোজা রাখতেন এবং সেদিন রোজা রাখার নির্দেশ দেন, তখন (মদিনায় হিজরতের পর) লোকজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! ইহুদি–নাসারারাও এই দিনকে সম্মান করে (রোজা রাখে)। তখন নবীজি (সা.) বললেন, আমরা আগামী বছর থেকে ৯ তারিখেও রোজা রাখব, ইনশা আল্লাহ। (মুসলিম)।
আশুরার নফল রোজা
আশুরা অর্থ দশম ও দশমী। ইসলামের ইতিহাসে আশুরা দ্বারা মহররম মাসের ১০ তারিখ বোঝানো হয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনে রোজা রাখতেন এবং সেদিন রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (বুখারি)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের রোজার পর আশুরার রোজাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। (বুখারি ও মুসলিম)। হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের আশুরার রোজা সম্পর্কে নির্দেশ দিতেন এবং উৎসাহিত করতেন। অতঃপর যখন রমজানের রোজা ফরজ হলো; তখন তিনি আমাদের (আশুরার রোজার বিষয়ে) হুকুমও দিতেন না, নিষেধও করতেন না। (মুসলিম)। মুজতাহিদ ফকিহগণের মতে, আশুরা রোজার সঙ্গে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ আরও একটি রোজা রাখা সুন্নত।
রজব মাসের নফল রোজা
হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রোজা রাখা দেখে বুঝতে পারতাম রজব মাস এসেছে। তিনি রমজানে এক মাস রোজা রাখতেন, শাবানে ২০ দিন রোজা রাখতেন; রজবে ১০ দিন রোজা রাখতেন।
শাবান মাসের নফল রোজা
হজরত আয়িশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এত বেশি নফল রোজা রাখতেন; আমরা মনে করতাম তিনি আর রোজা ছাড়বেন না। তিনি কখনো রমজান ছাড়া কোনো মাসে পূর্ণ মাস রোজা পালন করেননি এবং শাবান অপেক্ষা বেশি নফল রোজা অন্য কোনো মাসে পালন করেননি। (বুখারি)।
নিস্ফ শাবান বা মধ্য শাবানের নফল রোজা
রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস এলে বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিন (১৫ তারিখ) আসবে, তখন তোমরা রাতে ইবাদত করো এবং দিবসে রোজা রাখো। (বায়হাকি)।
শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা
হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখল এবং শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালন করল; সে যেন পুরো এক বছর রোজা পালন করল।’ (মুসলিম)। এই রোজা একাধারে বা বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা যায়।
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের নফল রোজা
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এর প্রতি দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমান এবং প্রতি রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদতের সমান।’ (তিরমিজি)। উল্লেখ্য যে জিলহজ মাসের ১ থেকে ৮ তারিখ সবাই রোজা পালন করতে পারবেন। ৯ তারিখে আরাফাতে অবস্থানকারীরা ছাড়া অন্যরা রোজা পালন করতে পারবেন। ১০ তারিখে অর্থাৎ কোরবানির ঈদের দিনে ভোর থেকে পশু জবাই করা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকলেই রোজা বলে গণ্য হবে এবং এই দিন কোরবানি করা পশুর মাংস দিয়ে প্রথম আহার করা মুস্তাহাব। এই দিন পূর্ণ দিবস রোজা রাখা বিধেয় নয়।
আরাফা দিবসের নফল রোজা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, হজের দিন; এই দিন হাজিরা মক্কা শরিফের আরাফা প্রান্তরে অবস্থান করা হজের ফরজত্রয়ের একটি; তাই এই দিনকে ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফা দিবস বলা হয়। এই দিন হাজিরা ছাড়া অন্যদের জন্য রোজা পালন করা সুন্নত। হজরত কাতাদাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফা দিবসের রোজা তার আগের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।’ (তিরমিজি)।
ইতিকাফের জন্য নফল রোজা
পূর্ণ এক দিন নফল ইতিকাফ ও মানত বা কাজা ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য নফল রোজা রাখতে হয়। এতে ইতিকাফের পাশাপাশি রোজার আলাদা ফজিলত লাভ হয়।
সওমে দাহার বা বছরব্যাপী নফল রোজা
বছরে নিষিদ্ধ পাঁচ দিন তথা রোজার ঈদের দিন, কোরবানির ঈদের দিন ও তার পরের তিন দিন এবং হাজিদের জন্য আরাফাতের দিন ছাড়া অন্য সব দিন নফল রোজা রাখা জায়েজ। সারা বছর রোজা পালন করাকে সওমে দাহার বলে।
সওমে দাউদ বা দাউদী নফল রোজা
নফল রোজা পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো উপলক্ষ না থাকলে হজরত দাউদ (আ.)-এর পদ্ধতি অনুসরণ সর্বোত্তম; অর্থাৎ এক দিন পর এক দিন রোজা রাখা। (বুখারি)।
মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী:যুগ্ম মহাসচিব: বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক: আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম।
atorvastatin pill lipitor 10mg price order atorvastatin pills
order lipitor online atorvastatin over the counter order lipitor 40mg pills
buy baycip generic – myambutol 600mg over the counter buy augmentin pill
buy generic ciprofloxacin for sale – cheap augmentin 375mg buy clavulanate for sale
metformin order online – sulfamethoxazole tablet buy lincocin generic
buy retrovir 300mg for sale – order rulide pills order allopurinol pills
buy zidovudine 300mg online – lamivudine over the counter zyloprim us
clozapine 100mg over the counter – glimepiride drug pepcid 20mg generic
order clozapine pill – buy quinapril without prescription famotidine 20mg usa
order quetiapine 50mg – buy effexor 75mg pill buy cheap eskalith
seroquel price – order zoloft 100mg online order eskalith online
buy anafranil 25mg pills – purchase imipramine online doxepin 25mg us
buy hydroxyzine 10mg pill – order hydroxyzine order amitriptyline online
oral hydroxyzine 10mg – hydroxyzine order purchase endep without prescription
augmentin 375mg usa – amoxiclav for sale buy generic cipro online
buy augmentin online – buy linezolid sale baycip oral
buy generic amoxil – buy generic duricef online purchase baycip online cheap
buy generic amoxicillin – order keflex online cheap buy cipro pills for sale
order zithromax 250mg generic – buy ofloxacin 400mg generic buy ciprofloxacin 500 mg generic
generic cleocin 150mg – suprax online order buy generic chloramphenicol for sale
buy generic cleocin 150mg – order chloromycetin without prescription chloramphenicol online buy
purchase zithromax without prescription – order ciprofloxacin pill ciplox 500mg cheap