জন্টি রোডস খেলা ছেড়েছেন অনেক আগে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অতি মানবীয় ফিল্ডার ক্রিকেটে ইতিহাসের ফিল্ডিং ও ক্যাচিংয়ের শেষ কথা এখনো। সেই তিনি মুগ্ধ পাকিস্তানের বিপক্ষে সৌম্য সরকারের নেওয়া অবিশ্বাস্য ক্যাচ দেখে। আসলে ওই ক্যাচটি দারুণ আলোড়ন তুলেছে বিশ্ব মিডিয়ায়। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলল বাংলাদেশ। ম্যাচটা ৫৫ রানে হারলেও সৌম্যর ক্যাচটা এখনো আলোচনায়। বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্যাচ বলা হচ্ছে এটিকে। মোহাম্মদ হাফিজ ততক্ষণে ফিফটি করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের বিপদ বাড়াচ্ছেন। এই সময়ে সৌম্য অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে হাফিজকে ৬৪ রানে ফিরিয়ে দেন। সানিকে তুলে মেরেছিলেন হাফিজ। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হওয়ার কথা।
কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে বাতাসে ভেসে বলটা ধরে ওপরে ছুড়ে দিয়ে বাইরে পড়েছিলেন সৌম্য। ভারসাম্যের জন্য তা করলেন। বল বাতাসে থাকতেই মাঠে ঢুকে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে দু হাত বাড়িয়ে ক্যাচটাকে তালুবন্দি করেছেন সৌম্য। ধারাভাষ্যকাররা অকুণ্ঠে প্রশংসা করেছেন ক্যাচটির। আর ক্যারিয়ারে বহু অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেওয়া রোডস নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ক্যাচ নিয়ে মুগ্ধতা জানিয়েছেন, “গেল রাতে মাঠে দুই দলেরই অসাধারণ কিছু দেখলাম। কিন্তু এ কি করে দেখাল (সৌম্য) সরকার।” ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং গ্রেট ব্রায়ান লারাও চমকে গেছেন। টুইটারে লিখেছেন, “হোয়াট এ ক্যাচ! সৌম্য সরকার।” ২৪২টি রিটুইট হয়েছে এই পোস্টে। ভারতের স্পিনার হরভজন সিং টুইট করেছেন, “সৌম্য সরকার কি যে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিলো।” ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান ভিডিও দিয়ে লিখেছে, “বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে সৌম্য সরকার বিস্ময়কর এক ক্যাচ নিয়েছেন।” ফক্স স্পোর্টস লিখেছে, “কুর্ণিশ গ্রহণ করো সৌম্য সরকার। দড়ির কাছে অবিশ্বাস্য কঠিন ক্যাচে শেষ হয়েছে হাফিজের ইনিংস।” বিখ্যাত ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলের টুইট, “সৌম্য সরকারের ক্যাচ নিয়ে কথা বলতে কথা হারাচ্ছি। ওটাকে ভালোভাবে বর্ণনা করার ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন!”