দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক তিনি। অথচ, তিনি একটা সময় অধিনায়কই হতে চাননি! অথচ, দ্বিতীয় মেয়াদের অধিনায়ক তিনি হতেই চাননি। হ্যাঁ, এমনটা তিনি নিজেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের একটি দৈনিকের সাথে কথার ফাঁকে এক পর্যায়ে মাশরাফি জানান, তিনি অধিনায়ক হতে চাননি। কারণ তার মনে হত, তিনি অধিনায়ক হলেই আবার ইনজুরিতে পড়বেন। মাশরাফি বলেন, ‘একটা পর্যায়ে গিয়ে আমি ভয় পেতাম। অধিনায়কত্ব এলেই তো ইনজুরিতে পড়ে যাই! এবারও যখন প্রস্তাব এলো, খুশির চেয়ে ভয়টাই ছিল প্রথম অনুভূতি। অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব মেনে নেব কি নেব না— এ নিয়ে খুব মানসিক চাপ গেছে তখন।’ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন। রাজি হলেন মাশরাফির বাবার কথাতেই। মাশরাফি বলেন, ‘মেনে নিলাম বাবার জন্য। উনি বললেন, ‘তোমার ক্যাপ্টেন্সি করা উচিত।’ আমি বললাম, ‘অধিনায়ক হয়ে খেলতে নামলেই তো আমার ইনজুরি হয়।’ বাবা বললেন, ‘অধিনায়ক না হয়ে সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামলেও ইনজুরিতে পড়তে পার।’ বাসার সবার কথাতে ভরসা করে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব মেনে নিই।’ এক টেস্টের অধিনায়ক, এক টেস্তেই জয়। শতভাগ সফল এই অধিনায়ক ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পুরো চিন্তা ভাবনার ধরনই পাল্টে দিলেন। শুধু দলের সদস্যদের চিন্তা না, পাল্টে গেলো পুরো ক্রিকেট বিশ্বের বাংলাদেশের প্রতি চিন্তার ধারা, অথচ কিনা তিনি অধিনায়কই হতে চাননি।