একটা সময় আর্জেন্টিনায় সম্ভাবনাময় কেউ এলেই তাঁর গায়ে ‘নতুন ম্যারাডোনার’ তকমা জুটে যেত। লিওনেল মেসি আসার পর সেই ধারাটা বন্ধই হয়ে গেছে। ম্যারাডোনা যখন নিজেই মেসিকে তাঁর উত্তরসূরির প্রশংসাপত্র দিয়েছেন, তখন তো আর কিছু বলার থাকে না। আর্জেন্টিনার কোচ থাকার সময় মেসিকে শিষ্য হিসেবেও পেয়েছেন ম্যারাডোনা। অথচ দুজনের মধ্যে নাকি ছয় বছর কোনো কথাই হয়নি! তথ্যটা দিয়েছেন মেসি নিজেই।
২০১০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ। ওই বিশ্বকাপে মেসিই ছিলেন তাঁর তুরুপের তাস। শেষ পর্যন্ত কোচ হিসেবে ম্যারাডোনা জাদু দেখাতে পারেননি, জার্মানির কাছে হেরে আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। বিশ্বকাপের পর ম্যারাডোনাও কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর পর দুজনের মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চোখাচোখি বা সামান্য সৌজন্য বিনিময় হয়েছে। কিন্তু সেভাবে কোনো কথাই হয়নি। মেসি নিজেই জানাচ্ছেন, ‘২০১০ সালের পর আমাদের এক-দুইবার ক্ষণিকের জন্য দেখা হয়েছে, কিন্তু কোনো কথা হয়নি। তাঁর জীবন নিয়ে তিনি ব্যস্ত, আমি আমার মতো আছি।’ কিন্তু তার মানে কি দুজনের সম্পর্কটা খারাপ যাচ্ছে?
মেসি সেটা মানলেন না, ‘কথা না হওয়ার ব্যাপারটা বিবেচনায় নিলেও আমাদের সম্পর্ক যথেষ্টই ভালো।’
কিন্তু কথা না হওয়ার কারণটা কী? একটা সময় দুজনের অনেক কথাই তো হয়েছে। মেসিকে নিয়ে এর পর নিজের মুগ্ধতা অনেক বারই জানিয়েছেন ম্যারাডোনা। তাহলে ছয় বছর ধরে কথা না হওয়ার কি অন্য কোনো কারণ আছে?