কাঁচাখাবার: হ্যাঁ অথবা না
রান্না করার ফলে সবজি এবং ফলের বেশ কিছু উপকারী উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। তাই কিছু খাবার কাঁচা খাওয়াই ভালো। তবে সব খাবার যে কাঁচা খাওয়া উপকারী তা কিন্তু নয়!
ফল, সবজি, বাদাম, শস্যজাতীয় খাবার ইত্যাদিতে অপরিশোধিত অবস্থায় পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে ডিম, অপরিশোধিত দুগ্ধজাত খাবার, কাঁচা মাছ ও মাংস ইত্যাদি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই কোন খাবার কাঁচা এবং কোনগুলো রান্না করে খাওয়া উচিত তা জানা থাকা উচিত।
কাঁচাখাবার খাওয়ার ভালো দিক
– রান্নার ফলে খাবারের অনেকটা প্রাকৃতিক এনজাইম ও পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। এসব উপাদান শরীরের গঠন, শক্তি সঞ্চার এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কাঁচা খাবারে এসব উপাদান অক্ষত অবস্থায় থাকে।
– ফুলকপি বা বাঁধাকপিজাতীয় সবজি রান্না করা হলে তা থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান ও ক্ষতিকর আরও কিছু মৌলিক উপাদান উৎপন্ন হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই সবজিগুলো কাঁচা খেলে শুধু যে এসব ঝুঁকি এড়ানো যায় তা-ই নয়, পাশাপাশি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়।
– কাঁচা খাবারে প্রচুর আঁশ পাওয়া যাবে।
– পরিশোধিত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্র্যান্স-ফ্যাট ও ট্রান্স-সুগার থাকে যা অপরিশোধিত ও কাঁচাখাবারে থাকে না।
কাঁচাখাবারের বিপক্ষে
– রান্না করার মাধ্যমে বেশ কিছু ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। কাঁচা খাবার খেলে এসব জীবাণু থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া ও পাকস্থলীতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
– গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবজির পুষ্টি উপাদান রান্নার সময় নিঃসৃত হয়ে থাকে।
– আয়ুর্বেদিক ও চায়নিজ বিশ্বাস অনুসারে রান্নার ফলে খাবারের আঁশ এবং বেশ কিছু উপাদান ভেঙে যায়। যা হজমে সুবিধা হয়। বিশেষত গ্রীষ্মের সময় খাবার হজম হতে সমস্যা হয় আর এ সময় ভালোভাবে রান্না করা খাবার খেলে তা সহজেই হজম হবে।
– কাঁচা খাবারে প্রায়ই ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের স্বল্পতা থাকে।
– কাঁচা কিছু ফল ও সবজি বেশ শক্ত হয়ে থাকে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।
আসল বিষয় হল
কাঁচা অথবা রান্না করা দু ধরনের খাবারেই সুবিধা অসুবিধা। তবে তা নির্ভর করে কোন খাবার খাওয়া হচ্ছে তার ওপর। তাই দুই রকম খাবারের সমন্বয়েই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।