ফুলে-ফেঁপে ওঠা স্মার্টফোনের বাজার ক্রমেই তার বিশালতা হারাচ্ছে। প্রায় এক যুগের টানা উত্থানের পর বিশ্বের ৪২৩ বিলিয়ন ডলারের এই প্রযুক্তি খাতের জৌলুস কমে আসছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রেতারা আর তাদের স্মার্টফোনটিকে খুব দ্রুত বদলে ফেলার বা আরো উন্নত সংস্করণ নেওয়ার প্রবণতা অনুভব করছেন না। ফলে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বা রেভিনিউ ঘরে তোলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
এ বাজারে মন্দাভাব আসার লক্ষণ কয়েক মাস ধরে তীব্রভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। বিশেষ করে সম্প্রতি অ্যাপল তাদের বছরের প্রথম প্রান্তিকের বিক্রি কমে আসার ঘোষণা দিলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। বিগত ১৩ বছরে এই প্রথম অ্যাপল আইফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারার রেকর্ড গড়েছে। প্রতিষ্ঠানের সিইও টিক কুক এ ঘোষণা দেন। পরদিন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক
অ্যানালিটিক্স জানায়, অ্যাপলের প্রথম কোয়ার্টারের আইফোন শিপমেন্ট ৩ শতাংশ পড়ে গেছে।আরেক গবেষক ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার ওয়ার্টন স্কুলের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ডেভিড সু জানান, স্মার্টফোনের বাজারের এই পতন কতটা স্থায়ী হবে তা বলা যায় না।
ক্রেতারা তাদের স্মার্টফোনের আপগ্রেড করতে উদাসীন। তা ছাড়া নতুন ক্রেতা বা নতুন সেটের ক্রেতার সংখ্যাও কমে আসছে। ঘটনা অনেক কম্পিউটারের বাজারের মতো হচ্ছে। কম্পিউটারকে তার পুরনো বাজার ফিরে পেতে স্মার্টফোনকে টেক্কা দেওয়ার জন্যে নতুন কোনো আইডিয়া বের করতে হবে।
এ ছাড়া রোবট, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদি প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ দখলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এরা মূল স্রোতে চলে আসার আগ পর্যন্ত হয়তো স্মার্টফোনের বাজার সচল থাকবে। তারপর এর অবস্থা কি হবে, তা ভাবতে গেলে নির্মাতাদের বেশ দুশ্চিন্তা ভর করবেই।