রুট কি? রুট করবেন নাকি করবেননা! রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা।

23
446

কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভাল আছেন।

আপনারা কেউ যদি মোবাইল রুট করতে চান অথবা চাচ্ছেন তাহলে এই টিউনটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবে রুট সম্পর্কে রুট কি? রুট করবেন নাকি করবেনা! রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে।

তাহলে শুরু করা যাক….

রুট কি

আপনি যদি কোন কোম্পানির মোবাইল ক্রয় করে থাকেন তখন কোম্পানি মোবাইল ব্যবহারে কিছু সিমাবদ্ধতা দিয়ে থাকে।আপনি মোবাইলে সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে কোন কিছূ পরিবর্র্তন করতে পারবেন না।উদাহারন সরুপ : কম্পিটার এর ক্ষেত্রে যখন আপনি এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে ব্যাবহর করেন তাহলে আপনি কম্পিউটার এর সকল সিস্টেম আপনি আপনার ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারেন কিন্ত যখন আপনি গেস্ট হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কোন ধরনের কাস্টমাইজ করতে পারবেন না। মোবাইল এর ক্ষেত্রেও একইভাবে যখন আপনি আপনার মোবাইলটি রুট করেন তাহলে আপনি আপনার মোবাইলটি এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। রুট করার মাধ্যেমে অপনি আপনার মোবাইল এর সুপার ইউজার হয়ে যান। সুপার ইউজার বলতে আপনি একটা সুপার পাওয়ার পান যার মাধ্যেমে আপনার মোবাইলকে আপনার ইচ্ছামত কনফিগার করতে পারেন। রুট করা ছাড়া এটা কোনভাবেই সম্বভ না।

রুট করার অসুবিধা

প্রথম অসুবিধাটা হল আপনি আপনার মোবাইলকে রুট করলে মোবাইল কোম্পানী আপনাকে আর ওয়ারেন্টি সার্পোট দেয়না। রুট করার সাথে সাথে আপনার ওয়ারেন্টিও শেষ। কারন কোম্পানি আপনাকে একটা লিমিটেশন এর মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করার জন্য কন্ডিশন দেয়।

দ্বিতীয় অসুবিধাটা হল রুট করার পর তাদের অফিসিয়াল আপটেডগুলো পাওয়া যায় না অথবা পেতে সমস্যা হয়।যেমন আপনি যে কোম্পানির মোবাইল ইউস করেন সে কোম্পানির অফিসিয়াল আপটেড অথবা আপগ্রেড আসল কিন্ত রুট মোবাইল এ আপনি সেই আপডেট টা করতে পারবেন না।রুট করার পর যখন আপনি মোবাইল এর আপগ্রেড অপশন এ যাবেন তখন দেখাবে যে আপনার মোবাইটি মডিফাই করা। সুতরাং এটা একটা বড় সমস্যা।

আরেকটা সমস্যা হল আপনার মোবাইল সিকিরিটি সমস্যায় পরে। মনে করেন আপনি একটা সফটওয়ারকে রুট এক্সেস করতে দিয়েছেন এতে করে ঐ এপটি আপনার মোবাইল কে মডিফাই করার ক্ষমতা রাখে। এমন হতে পারে সেই এপটি থেকে ভাইরাস আসতে পারে আবার হ্যাক ও হতে পারে। নরমলি মোবাইলগুলো অনেক সুরক্ষিত থাকে কিন্ত রুট করলে তা আর থাকে না।রুট করলে যেকোন হ্যাকার ইচ্ছা করলেই আপনার মোবাইলটা হ্যাক করতে পারে।নরামালি এটা হয়না কিন্ত হতে পারে।

আবার এমনও রুট রুট করতে গিয়ে আপনার মোবাইল বুট মেনুতে চলে যায়। বুট মেনু বলতে রুট এর মাধ্যেমে এমন হয় রুট শেষে রি-স্টার্ট হইছে তারপর শুধু যে কোম্পানির  মোবাইর সেই কোম্পানির লোগোতে এসে থেমে যা আগে আর যেতে পারে না সেই ক্ষেত্রে আপনাকে এইটা সার্ভিস সেন্টারে নিতেই হবে।

রুট করার ক্ষে্ত্রে এই সমস্যা ছাড়াও আর কিছু সমস্যা আছে যদি এই সমস্যাগুলো আপনি কনসিডার করতে পারেন তাহলে আপনি রুট করতে পারেন

এবার রুট এর অসুবিধা

রুট এর অসুবিধা

সবার প্রথমে এই যে রুট করার পর আপনি একজন সুপার ইউজার হয়ে যার। আপনি যেকোনো ধরনের মডিফিকেশন করতে পারেন।মোবাইল সব ফাইল আপনি এক্সেস করতে পারবেন। সবকিছুতে মডিফিকেশন করতে পারবেন।

রুট এর মাধ্যেমে আপনি ডিফল্ট এপসগুলো আনইনস্টল করতে পারেবেন। যেটা রুট ছাড়া সম্বভ নয়।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি এর মাধ্যেমে কাস্টম রিকোভারি দিতে পারবেন, কাস্টম রম ইউস করতে পারবেন, ফ্লাস করতে ফারবেন। এর মাধ্যেমে মনে করেন আপনার মোবাইল রুম আছে 16 জিবি কিন্তু আপনি ইউস করতে পারতেন 9 জিবি রুট এর মাধ্যেমে আপনি আপনার ইউজএবেল রম বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

এর আরেকটা সুবিধা হল মনে আপনার মোবাইল কিটক্যাট এর আপনার মোবাইলকে ললিপপ বা মারসমারলো তে আপডেট করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইল রুট করে রুম ফ্লাস করে আপনি কাস্টম রুম এর মাধ্যেমে আপনার মোবাইলকে খুব সহজেই ললিপপ বা মারসমারলেতে আপডেট করতে পারেন। এছাড়াও রুট এর মাধ্যেমে আপনার মোবাইল এর পারফোমেন্স বাড়াতে পারেন।

আর একটা মজার সুবিধা হল আপনার মোবাইল এর ষ্টার লোগো পরিবর্তন করতে পারেন।

এছাড়াও আরও অনেক ধরনের সুবিধা আছে।

23 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here