আপনার আমার অনেকেরই কম্পিউটার আছে,বা না
থাকলেও অনেকের ইচ্ছা আছে কম্পিউটার কেনার।এখন
অনেকের মনে অনেক ধরণের প্রশ্ন থাকে যেমন,
কম্পিউটার কেনার পর কিভাবে নিরাপদ থাকা
যায়,কিভাবে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
যায়,কিভাবে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা যায়।আজকে
আমি আমার এই টিউনে নিরাপদে,দক্ষতার সাথে এবং
সহজ ঝামেলাহীন ভাবে কিভাবে কম্পিউটার ব্যবহার
করা যায় তার কিছু টিপস দিবো।আশা করি আপনাদের
কাজে লাগবে।কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত
করতে নিম্নোক্ত দশটি বিষয় মনে রাখা খুব প্রয়োজন।
সহজ ব্যাক আপ সিস্টেম চালু করা :
কম্পিউটার ব্যবহার কালে আমাদের নানা ধরণের
প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি আমরা কম্পিউটারে সংরক্ষণ
করি।এই তথ্যাবলি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোনো কারনে যদি তথ্যাবলি হারিয়ে যায় বা
ভাইরাসের জন্য বিনষ্ট হয় তবে আমাদের কিছুই করার
থাকবে না যদিনা আমাদের আগে থেকে ব্যাক আপ
থাকে।এই ব্যাক আপ অনলাইনেও করা যায় আবার
অফলাইনেও করা যায়।অনলাইনে যেমন-গুগল
ড্রাইভ,ড্রপবক্স এগুলোতে ইন্টারনেট ডেটা খরচের
বিনিময়ে তথ্যাবলি সংরক্ষণ করা যায়।এগুলো আমাদের
বিনামূল্যে স্টোরেজ সুবিধা দেয়,কিন্তু যেহেতু
আমাদের তথ্যাবলি তাদের সার্ভারে পাঠাতে হবে
অর্থাৎ আপলোড করতে হবে,তাই ডেটা খরচ লাগবে।
অফলাইনে ব্যাক আপ করতে গেলে আমাদের
কম্পিউটারের জন্য এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভ কিনতে
হবে।আজকাল প্রায় যেকোনো কম্পিউটার শো-রুমেই
এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভ পাওয়া যায়।
কাজ সহজ এবং দ্রুত করার জন্য শর্টকাট জেনে
রাখা :
কম্পিউটারে অনেক ধরণের শর্টকাট রয়েছে যেগুলোর
মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই আমাদের কাজ গুলো করতে
পারি।এই শর্টকাট গুলো প্রথম প্রথম মনে রাখতে একটু
কষ্ট হবে কিন্তু চর্চা করতে করতে এগুলো একসময় পানির
মতো লাগবে।কিছু শর্টকাট হলো-
ctrl+c=কপি।
ctrl+x=কাট।(এটা মুভের মতো কাজ করে,কোনো জিনিস
এক স্থান থেকে সরিয়ে ফেলে অন্য স্থানে নেওয়ার
প্রথম ধাপকে বোঝায়।)
ctrl+v=পেস্ট।(কপি /কাট করার পর দ্বিতীয় ধাপ হলো
পেস্ট।কাঙ্ক্ষিত স্থানে পেস্ট করতে হয়।)
ctrl+z=আনডো।(কোনো কাজ করে ফেলার পর আগের
অবস্থানে ফিরিয়ে আনাকে বোঝায়।)
ctrl+esc=স্টার্ট মেনু চালু হবে।বা উইন্ডোজ লোগো কি
চাপ দিলেই হবে।
ctrl+d=ডিলিট করে রিসাইকেল বিনে পাঠানো
ctrl+a=সমস্ত আইটেম সিলেক্ট করা(নির্দিষ্ট স্থানের)
shift+Delete=স্থায়ীভাবে ডিলিট করা,(রিসাইকেল বিনে
যাবে না)
ctrl+shift+esc=টাস্ক ম্যানেজার চালু করা(এর মাধ্যমে
আপনি চলমান কোনো অ্যাপ ক্লোজ করতে পারবেন।)
Windows logo Key+E= উইন্ডোজ ফাইল ম্যানেজার চালু
করা (মাই কম্পিউটার যাকে বলে)
এছাড়াও নানা ধরণের শর্টকাট কি আছে,তবে উপরের
গুলো কমন।এছাড়া আপনি বিভিন্ন সফটওয়ারের জন্য
বিভিন্ন ধরণের শর্ট কাট খুঁজে পাবেন সফটওয়ারের
প্রিফারেন্স বা সেটিংসে।এগুলো মনে রাখলে কাজ
করতে অনেক সুবিধা হয় এবং কাজ অনেক ফাস্ট হয়।
ভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখা :
বর্তমান যুগে ভাইরাস সম্পর্কে বেশির ভাগেরই কম
বেশি ধারণা আছে।এই গুলো কম্পিউটারের নানা
ধরণের ক্ষতি করে। এই ভাইরাস থেকে নিজেকে
নিরাপদে রাখা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ভাইরাস
কিরকম হয় বা ভাইরাসের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে
জানতে আমার পূর্বের টিউনটি দেখতে পারেন।ভাইরাস
থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমাদের ভালো মানের
এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে হবে।ফ্রি এন্টিভাইরাস
অনলাইনে অনেক পাওয়া যায়,তবে খুব কম এন্টিভাইরাসই
রিয়েল টাইম নিরাপত্তা দেয়।সেজন্য আমাদের ভালো
কম্পিউটার শো-রুম থেকে ভালো মানের এন্টিভাইরাস
কিনতে হবে।আজকাল কিন্তু এন্টিভাইরাসের নকলও
আছে আমাদের দেশে।তাই ভালো শো-রুমের কথা
বললাম।ভালো মানের এন্টিভাইরাসের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য গুলো হলো-
ক্যাস্পারেস্কি,পান্ডা,এভিরা,নরটন ইত্যাদি।এগু
লোর ১ বছর মেয়াদি এন্টিভাইরাস ১০০০ এর বেশী নিবে
না।যতই হোক নিজের কম্পিউটার বলে কথা।এগুলো না
থাকলে ভাইরাস অ্যাটাক করবে এবং কম্পিউটার
সারানোর জন্য এই দোকান থেকে ওই দোকানে
ছোটাছুটি করা লাগবে।মাঝখান থেকে বিশাল পরিমান
অর্থ খরচ হয়ে যাবে।এর চেয়ে আগে থেকে
এন্টিভাইরাস কিনে নিরাপদ থাকা ভালো নয়কি?
এন্টিভাইরাস কিনে বসে থাকলে হবে না।নিয়মিত
হালনাগাদ বা আপডেট করতে হবে।নইলে নতুন নতুন
ভাইরাসের প্যাটার্ন এন্টিভাইরাস ধরতে পারবে না।
ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য নেটওয়ার্ক সেট আপ
করা :
কম্পিউটার থাকবে আর তাতে নেট কানেকশন থাকবে
না এটা কেমন জানি অদ্ভুত শোনায় তাই না?
কম্পিউটারে নেট কানেকশন নানা ভাবে নেওয়া যায়।
যদি প্রচুর পরিমান ডাউনলোড,মুভি দেখা,গান শোনার
প্রয়োজন হয় তবে ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেওয়াই ভালো।
এজন্য নিকটস্থ ব্রডব্যান্ড প্রোভাইডারের সাথে
যোগাযোগ করতে হবে।ডেটা ও স্পিডের উপর নির্ভর
করে চার্জ হবে।ব্রডব্যান্ড ছাড়া মডেম ইউজ করতে
পারেন।সেজন্য যে অপারেটরের মডেম ইউজ করতে চান
(যেমন গ্রামীণফোন) সে অপারেটরের কাস্টোমার
কেয়ার বা যেখানে সিম/মডেম পাওয়া যায় সেখানে
যোগাযোগ করাই ভালো।বাইরে অনেক সময়
বিক্রি করা হয় তবে এখন কার দিনে ওগুলো না কেনাই
ভালো।মডেম কেনার পর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা
তাদের কাছে জিজ্ঞাস করতে পারেন অথবা আপনি
যদি সংকোচ বোধ করেন তবে নেটে এই বিষয়ে সার্চ
দিলেই বিস্তারিত পাবেন।মডেম কম্পিউটারে ইনস্টল
করা তেমন কঠিন ব্যাপার না।শুধু কিছু ড্রাইভার ইনস্টল
করা লাগবে আর কিভাবে অন করবেন তা জানা
লাগবে।আপনার যদি এই বিষয়ে কম ধারণা থাকে তবে
অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেওয়াই ভালো।
মডেম,ব্রডব্যান্ড ছাড়া আপনি ওয়াইফাই কানেকশনও
নিতে পারেন।আপনার কাছে যদি এসবের মধ্যে যদি
কোনো রাস্তাই খোলা না থাকে তবে আপনি নিজের
এন্ড্রয়েড ফোন দিয়েও কম্পিউটারে ইন্টারনেট
চালাতে পারেন। এই বিষয়ে টেকটিউনসের কিছু টিউন
দেখতে পারেন।সেজন্য বিস্তারিত আর বললাম না।
কম্পিউটার থেকে অযথা ইনস্টল করা জিনিস
অপসারণ :
আমরা যখন কম্পিউটার কিনি তখন দোকানের যিনি
অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে দেন তিনি নানা
ধরণের সফটওয়ারও ইনস্টল করে দেন।এসবের মধ্যে
যেগুলো আপনি কখনো ব্যবহার করবেন না সেগুলো
সরিয়ে ফেলাই ভালো।তা করতে হলে আপনাকে
কম্পিউটারের control pannel এ গিয়ে programs and
features এ যেতে হবে।Programs and features এই নামটি
ভিন্ন হতে পারে তবে program কথাটি থাকবে।ওখানে
গিয়ে আপনার অপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো আনইনস্টল
করে দিতে পারেন।এছাড়া কোনো সফটওয়ার দরকার
ছাড়া ইনস্টল করবেন না।ইনস্টল করার পর যদি তা আর
কোনো কাজে না লাগে তবে তা আনইনস্টল করে
দেওয়াই ভালো।তবে পরবর্তীতে যদি লাগে সেজন্য
সফটওয়ারের ভাইরাস মুক্ত মূল ফাইল টি রাখা যেতে
পারে।এটি সাধারণত কোনো আর্কাইভারের মধ্যে
(.zip/.rar), .exe আকারে বা সমস্ত দরকারি জিনিস নিয়ে
সফটওয়ারের নাম সমৃদ্ধ ফোল্ডারে থাকতে পারে।
আপনার কম্পিউটারকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রন :
এটি করার জন্য আপনাকে রিমোট অ্যাক্সেস সফটওয়ার
ইনস্টল করতে হবে।যেমন-টিমভিউয়ার।এটির মাধ্যমে
যেকোনো সময় আপনি আপনার কম্পিউটার কে আপনার
এন্ড্রয়েড দিয়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।তবে খুব
বেশি প্রয়োজন না হলে এতো ঝামেলায় যাওয়ার
প্রয়োজন নেই।
কম্পিউটারের মেইন্টেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষন :
আপনি কম্পিউটার কিনেছেন এখন যত্ন না করলে কেমন
হবে?গাছের চারা কিনলেন কিন্তু পানি দিলেন
না,তাহলে তো গাছ মরে যাবে।সেরকমই ব্যাপার।
কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ করা অপ্রয়োজনীয় কিছুর
মধ্যে পড়েনা।আপনার কম্পিউটারকে ভালো রাখত হলে
আপনাকে এটি করতে হবে। তাহলে কিভাবে করব,বা
কিই বা করব?কম্পিউটারের রক্ষনাবেক্ষন করতে হলে
আপনাকে কিছু জিনিস সম্পর্কে জানতে হবে।যেমন-
উইন্ডোজ আপডেট; আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ
৮.১ ব্যবহার করে থাকেন তবে নিয়মিত উইন্ডোজ
আপডেট রাখা ভালো।যদিও এতে প্রচুর পরিমাণে ডেটা
কাটে,তবুও এই ব্যাপারে আমি সাজেশন দিলাম,কারণ
এর মাধ্যমে আপনি নিত্যনতুন ফিচার পাবেন,বাগ বা
ত্রুটি গুলো সারানো যাবে যাতে করে আপনি
ভালোভাবে কম্পিউটার ইউজ করতে পারবেন।এরপরে
আসে টেম্পোরেরি ফাইল সরানো,রেজিস্ট্রি ক্লিন
করা ইত্যাদি।এগুলো করতে আপনি “সি-ক্লিনার” নামক
সফটওয়ার টি ইউজ করতে পারেন,এটি খুবই ফাস্ট এবং
দক্ষতার সাথে কাজ করে।এগুলো করা ছাড়াও আপনি
হার্ড ডিস্কের সুরক্ষার জন্য ডিস্ক ডিফ্রেগমেন্টেশন
করতে পারেন,এজন্
য আপনাকে মাই কম্পিউটার বা উইন্ডোজ ফাইল
ম্যানেজারে গিয়ে যে ডিস্কের ডিফ্রেগমেন্টেশন
করতে চান যে ডিস্কের প্রোপারটিজে যেতে হবে,পরে
টুলস অপশনে গেলে ডিফ্রেগমেন্টেশনের অপশন টা
পাবেন।এগুলো করলেই মোটামুটি আপনি আপনার
কম্পিউটারের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ করতে
পারবেন।
কম্পিউটারের ফাইল শেয়ারিং :
কম্পিউটারের সাথে এন্ড্রয়েডের ফাইল শেয়ারিং
এখনকার দিনের একটা ফ্যাশন।কোনো গুরুত্বপূর্ণ
তথ্যাবলি কম্পিউটারের আছে,এখন আপনি তা আপনার
মোবাইলে নিতে চাচ্ছেন;তাহলে আপনাকে কি করতে
হবে?সব থেকে সহজ পথ টা হলো ইউএসবি কেবল এর
মাধ্যমে সংযোগ দিয়ে ফাইল আদান প্রদান করা।এজন্য
বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন নেই। তারের সংযোগের
পর এন্ড্রয়েডে কিছু কনফারমেশন চাইবে,বা এরকম
জাতীয়,ওগুলো ওকে করলেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড
স্টোরেজ মাই কম্পিউটারে দেখতে পাবেন।এরপরে
খালি কাট/কপি এবং পেস্টের ব্যাপার।এছাড়া কোনো
কারণে যদি ইউএসবি কেবল না থাকে তবে একটা
জিনিস বলে রাখি, উইন্ডোজ এর জন্যও কিন্তু শেয়ারইট
আছে।তার মাধ্যমেও আপনি ফাইল আদান প্রদান করতে
পারবেন।এছাড়া কোনো অপশন না থাকলে আপনি ব্লুটুথ
ইউজ করতে পারেন যাতে স্পিড অনেক কম।এজন্য শিওর
হয়ে নিতে হবে আপনার কম্পিউটারে ব্লুটুথ আছে কিনা।
আজকাল
সব নতুন কম্পিউটারেই ব্লুটুথ থাকে।run এ গিয়ে “fsquirt”
টাইপ করলে ব্লুটুথ মেনু চালু হবে।তার আগে ব্লুটুথ চালু
করে নিতে হবে পিসি সেটিংস থেকে(উইন্ডোজ
৮.১);অন্য অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে কি করতে
হবে তার সম্পর্কে আমার ধারণা নেই,তার জন্য দুঃখিত।
তবে আপনারা ব্লুটুথ সম্পর্কে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই
বিস্তারিত পাবেন।আর একান্ত দরকার না হলে ব্লুটুথ
ইউজ না করার পরামর্শ দিচ্ছি কারণ এতে কানেকশন
এস্টাব্লিসের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয়।এছাড়া আপনি
এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য নেওয়ার
জন্য পেন ড্রাইভ তো ইউজ করতেই পারেন।
চুরি যাওয়া থেকে বাঁচানো :
কম্পিউটার যদি ল্যাপটপ হয় তবে তা চুরি যাওয়ার
সম্ভবনা তো থেকেই যায়।এন্ড্রোয়েডে যেমন গুগলের
“এন্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার”,আইফোনে “ফাইন্ড মাই
আইফোন” আছে,তেমনি উইন্ডোজের জন্যও আছে তবে
সেটা শুধু মাত্র উইন্ডোজ ১০ এ কার্যকর।১০ যাদের নেই
তারা একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ ইউজ করতে পারেন
যেটার নাম “Prey”;এটি আপনার চুরি যাওয়া ল্যাপটপ
খুঁজতে সাহায্য করবে।তবে আমার পরামর্শ হলো
কম্পিউটার যদি ল্যাপটপ হয় তবে তা নিরাপদে
রাখবেন,সবসময় ঢোকার জন্য পাসওয়ার্ড দিয়ে
রাখবেন,প্রয়োজনীয় সব তথ্যাবলি লক রাখা
ভালো;সেজন্য উইন্ডোজ এর বিট লকার সুবিধা টি
ব্যবহার করতে পারেন।তবে মনে রাখবেন,Prevention is
better than cure…প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি নিরাপদে রাখা :
কম্পিউটার যদি ট্রোজান দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি চুরি যেতে পারে। সেজন্য
নিরাপদে থাকা প্রয়োজন।ইন্টারনেট খুব একটা নিরাপদ
মাধ্যম নয়।এখানে খুব সহজেই সহজ সরল ব্যবহার কারী
(যাদের আইটি বিষয়ে বিশদ জ্ঞান নেই) আক্রান্ত হতে
পারেন।সেজন্য সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। নেট
ব্যবহারের সময় ভালো ব্রাউজার যেমন গুগল
ক্রোম,মজিলা ফায়ার ফক্স ইউজ করবেন।অযথা কোনো
লিংকে ভিজিটের দরকার নেই।কোনো ওয়েব সাইট
থেকে কিছু ডাউনলোডের প্রয়োজন পড়লে সব সময়
দেখে শুনে ক্লিক করবেন কারন বেশির ভাগ সাইটে
ডাউন লোড লিংক ব্যতীত ডাউনলোড লোগো ওয়ালা
মিথ্যা লিংক বেশী থাকে।যেগুলোতে ক্লিক করলে
আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশী। এছাড়া বিভিন্ন
জায়গায় পাসওয়ার্ড প্রবেশের ক্ষেত্রে
এন্টিভাইরাসের কি-বোর্ড ইউজ করা ভালো।কারন
ভাইরাস অনেক সময় ফিজিকাল কী-বোর্ডের লগ রেকর্ড
করতে পারে।আরেকটি ব্যাপার,আমাদের দেশে যেহেতু
ক্র্যাক সফটওয়্যার চলে তাই জেনুইন সফটওয়্যার কিনতে
হলে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড ইউজ করতে হবে এবং
আসল সফটওয়্যারের দাম শুনলে আপনি অবাক হয়ে
যাবেন,ভাববেন সামান্য একটা সফটওয়ারের এতো দাম
কেন হবে? উল্লেখ্য দোকানে যেসব অপারেটিং
সিস্টেম ইন্সটল করে দেয় সেগুলো ক্র্যাক সিডি
আকারে কিনলে ৫০ টাকা আর জেনুইন কিনলে ৮০০০+।
তো যা বলছিলাম,ক্র্যাক সফটওয়্যার ইউজ করলে সবসময়
এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নিবেন।নয়তো ভাইরাস
অ্যাটাক করতে পারে। খুব সংবেদনশীল ছবি বা ভিডিও
কম্পিউটার দিয়ে না তোলাই ভালো,কারণ আজকাল
ট্রোজান দিয়ে এসব জিনিস চুরি যাওয়া লক্ষণীয় হারে
বাড়ছে আর সব এন্টিভাইরাস সব ধরতে পারে না,তাই
এন্টিভাইরাস আছে বলেই যে পূর্ণ নিরাপত্তা
পাবেন,এটা ভাববেন না।অন্যের পেনড্রাইভ বা এরকম
কিছু ইউজ করার আগে স্ক্যান করে নিবেন। উপরিউক্ত
জিনিস গুলো করলে নিজের তথ্য গুলো মোটামুটি
নিরাপদে রাখা যায় বলে আমি মনে করি।
buy lipitor 40mg for sale lipitor 80mg usa order atorvastatin 40mg pill
order atorvastatin 20mg sale cheap atorvastatin 40mg buy lipitor 40mg pills
order cipro for sale – cheap ciprofloxacin 1000mg buy augmentin medication
buy cipro cheap – brand myambutol 1000mg amoxiclav order online
retrovir medication – purchase biaxsig online buy allopurinol generic
generic glycomet – brand glucophage 500mg lincocin 500 mg cheap
buy pill zidovudine – purchase glucophage generic purchase zyloprim for sale
clozaril where to buy – buy frumil no prescription buy famotidine 40mg sale
clozaril 50mg usa – buy accupril generic order famotidine generic
order quetiapine 100mg pills – order quetiapine 50mg online buy generic eskalith
anafranil usa – cost duloxetine doxepin for sale online
purchase quetiapine without prescription – order generic desyrel 100mg buy eskalith medication
order atarax 25mg online cheap – prozac 20mg for sale buy generic endep for sale
buy generic anafranil 25mg – remeron 15mg canada sinequan uk
hydroxyzine 10mg without prescription – generic fluoxetine order endep 25mg online cheap
buy clavulanate generic – where can i buy linezolid cipro 500mg oral
amoxil over the counter – cost trimox 500mg ciprofloxacin without prescription
purchase amoxiclav generic – cipro 500mg sale buy generic baycip for sale
amoxil price – order trimox 500mg generic ciprofloxacin online
cleocin for sale – oxytetracycline 250mg usa buy chloromycetin online
azithromycin online – tetracycline 500mg pill ciprofloxacin 500mg pill
purchase cleocin sale – buy oxytetracycline pills for sale cheap chloromycetin sale
zithromax 500mg sale – purchase flagyl for sale buy ciprofloxacin online