কি ছিল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির নোটবুকে?

22
631
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি! এক ধাঁধার নাম, এক রহস্যের নাম। তাকে নিয়ে নানা গবেষণা হয়, হচ্ছে। তবে সবকিছুর অর্থ এখনো জানা হয় নি তার সম্পর্কে। বিজ্ঞানীরা এই ধাঁধার কিছুটা হলেও সমাধান করতে পেরেছেন বলে দাবি জানিয়েছেন।
শত শত বছর ধরে ইতালীয় বিখ্যাত এই চিত্রকরের আঁকা ছবিগুলো এক রহস্য হয়েই ছিল। বিজ্ঞানীরা না এর মানে বের করতে পেরেছিলেন, না এর পেছনে লুকিয়ে থাকা রহস্যের অর্থ বের করতে পেরেছিলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিজ্ঞানী স্বীকার করেছেন দূর্বোধ্য হলেও ভিঞ্চির সে নোটবুক থেকে কিছু তথ্য তারা বুঝতে পেরেছেন।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’র একটি নোটবুক

কেমব্রিজের প্রকৌশলী বিভাগের একজন অধ্যাপক, ইয়ান হাচিং ভিঞ্চির এসব ধাঁধার অর্থ সম্পর্কে বলেন একটি সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেছেন,
‘এসব ছবি কিংবা স্কেচ নিতান্তই নিরর্থক কিছু নয়। ১৪৯৩ ভিঞ্চির পাওয়া নোটবুকে যেসব ছবি পাওয়া গিয়েছে, তা কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে। এসব ছবির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি ঘর্ষণের যে সূত্র রয়েছে তা আবিষ্কৃত হবার ২০০ বছর আগেই ভিঞ্চি তার ধারণা দিয়েছিলেন ঐ নোটবুকে।’

তার আঁকা চিত্রতে দেখা যায় যে, ভিঞ্চি ঘর্ষণের মৌলিক সূত্রগুলো আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি তার ছবির মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন যে দুটি বস্তু একই সমতলে অবস্থান করলে একটি অপরটির ওপর দিয়ে যদি যায়, তাহলে যে বলের সৃষ্টি হয় তার মাধ্যমে ঘর্ষণ হয়ে থাকে। যাকে ইংরেজীতে বলা হয় ফ্রিকশন। কিন্তু বর্তমান যুগে আমরা এই তত্ত্বের আবিষ্কারক হিসেবে ফরাসি বিজ্ঞানী গুইলেমো আমনটন্সের নাম জানি।

‘লাল চকে আঁকা কিছু দুর্বোধ্য ভাষার চিত্র” বলে ১৯২০ সালে বিশেষজ্ঞরা তার নোটবুকের স্কেচগুলোকে অবজ্ঞা করেছিলেন। কিন্তু হাচিংসের মতে তার এই ছবিগুলো মোটেই দুর্বোধ্য ছিল না। বরং তা এমন একটি বিজ্ঞানীর দিকে ইশারা করে যিনি সবসময় আড়ালেই, আমাদের জানা-শোনার বাইরেই থেকে গিয়েছেন তার অনুসন্ধিৎসু মন থাকা সত্ত্বেও।

সূত্রঃ স্মিথসোনিয়ান

22 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here