সমালোচনায় গুগল সিইও সুন্দর পিচাই

25
385

গুগলের অভ্যন্তরীণ কালচার নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন গুগল এর কর্মকর্তা জেমস ড্যামোর। জেমস ড্যামোর তার লেখা নিবন্ধে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন, গুগলের কর্মী বাহিনীর ৮০ শতাংশই কেন পুরুষ।

তিনি নিজস্ব মতামত তুলে ধরে বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কালচার ও বৈচিত্র্য নীতিতে রয়েছে বিশাল পার্থক্য। বিষয়টি এ পর্যন্তই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু তার লেখা নিবন্ধ ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হলে গুগল কর্মী ও প্রযুক্তি বিশ্বে বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার তীব্রতা অনুধাবন করে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে জেমস ড্যামোরকে চাকরিচ্যূত করেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট ডেভিড ব্রুকস দাবি করেন, এ ঘটনার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত। কিন্তু গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিষয়টি আরো বিচক্ষণতার সঙ্গে সামাল দিতে পারতেন সুন্দর পিচাই। চাকরিচ্যূত করার বিষয়টিকে বাকস্বাধীনতা নীতি লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করেন ডেভিড ব্রুকস। তিনি বলেন, নিবন্ধটি ভাইরাল হওয়ার পর জেমস ড্যামোরকে যারা সমর্থন দিয়েছেন, সেই দলে যোগ দেয়া উচিত ছিল সুন্দর পিচাইয়ের। উল্টো অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যূত করে বাকস্বাধীনতার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

গত শুক্রবার প্রকাশিত এক কলামে ডেভিড ব্রুক লেখেন, জেমস ড্যামোরের ঘটনা বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন পিচাই। এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত। নিউইয়র্ক টাইমসের এ কলামিস্টের দাবি নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ ডেভিড ব্রুককে সমর্থন জানিয়েছেন আবার কেউ সুন্দর পিচাইয়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেই মন্তব্য করেছেন। সামগ্রিকভাবে জেমস ড্যামোরের পক্ষেই বেশিরভাগ সমর্থন এসেছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ‘ব্লাইন্ড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান জরিপ চালিয়েছিল। জরিপে গুগলের বেশিরভাগ কর্মীই চাকরিচ্যূত প্রকৌশলীর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here