উত্তর কোরিয়া-আমেরিকা যুদ্ধ রূপ নেবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে?

25
422

উত্তর কোরিয়ানরা আমেরিকান কিংবা পশ্চিমাদের অপছন্দ করে। পশ্চিমাদের নিয়ে তাদের মনে ঘৃণা ব্যাপক। আর এর কারণ কোরিয়ান ওয়ারে আমেরিকার নির্বিচার বোমাবর্ষণ। কোরিয়ান ওয়ারের সময় উত্তর কোরিয়ার যত স্থাপনা ছিল বলবার মত, তার প্রায় শতভাগই মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। বায়ান্ন সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়ায় আমেরিকান বোম্বারগুলো বোমা ফেলবার মত উপযোগী টার্গেট না পেয়ে সাগরে বোম ফেলে দিয়ে আসত কিংবা রাস্তা নষ্ট করতে রাস্তার উপর অথবা রেললাইনে বোমা ফেলত। সমগ্র কোরিয়ায় যত ব্রিজ কালভার্ট ছিল, তার সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

কোরিয়ান ওয়ার শেষ হবার পর দেখা গেল সমগ্র উত্তর কোরিয়া ধ্বংসস্তুপ। মানুষের খাবার ছিলনা, কাজ ছিলনা, থাকবার জায়গা ছিল না। পিয়ংইয়ং এর ৮০ ভাগ মাটিতে মিশে গিয়েছিল। কিছু অনুচ্চ ঘরবাড়ি সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিল, তবু নানা ক্ষত সয়ে। প্রতিদিন আমেরিকা ৪০০-৮০০ টন করে বোমা ফেলে গেছে। যুদ্ধবিরতি হলে কিম ইল সুং – ১ জনগণের এই মানসিক ট্রমার ফায়দা নেন। সিস্টেমেটিক ব্রেইনওয়াশ, বিরুদ্ধবাদী নিধনের মাধ্যমে জনগণকে, এবং ধীরে ধীরে তার সন্তান ক্ষমতায় এলে তার মাধ্যমেও একই ধারা বজায় রেখে জনতাকে বোঝান যে পশ্চিমারা শয়তান, সীমান্তের বাইরে বিপদ। কি জং উন দাদা বাবাকে টেক্কা দিচ্ছেন, একই অবস্থা বজায় আছে আরও কঠোরভাবে। জন্মের পর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় ব্রেইন ওয়াশ শুরু হয়। তারা ধর্ম জানে না, কিন্তু এটাই জানে তাদের জাতির রক্ষাকর্তা কিম পরিবার। অন্ধবিশ্বাসের মত দাঁড়ায় সব কিছু। অল্প কয়জন যারা কিছু বুঝতে পারে, চিন্তা করে, তারা পালায়। অল্পই সফল হয়। বেশিরভাগই মারা যায়।

দেশের প্রায় কোন মানুষই জানে না দুনিয়ার বাকি অংশ ঠিক কেমন। দেশে সরকারি টিভি রেডিও ছাড়া কিছু চলেনা। ইন্টারনেট অল্প কয়জনই ব্যবহার করতে পারে, তাও সেন্সরড। ইন্টারনেটের বাইরের ট্রাফিক উত্তর কোরিয়ায় ঢুকতে পারেনা। জনগণ অনেকটা জোম্বির মতন। আরও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এরা না বুঝেই পিপড়ার মত মরবে। আমেরিকা আর ইউএন ফোর্সের নির্বিচার বোম্বিং ক্যাম্পেইনের ক্ষত কিম পরিবার, রাশিয়া, চায়না খুব কৌশলে সফলভাবে ব্যবহার করেছে। উত্তর কোরিয়ানরা রাশিয়া এবং চায়না ছাড়া বিশ্বের আর কাউকে বিশ্বাস করেনা। কোরিয়ান ওয়ারের পর চায়না ও রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সকল ঋণ মওকুফ করে দেয়। রাশিয়া কলকারখানার সরঞ্জাম, গাড়ি ও অন্যান্য সাহায্য পাঠায়। চায়নিজ সেনারা উত্তর কোরিয়ান অবকাঠামো পুনঃগঠনে কাজ করে দীর্ঘ সময়। যদিও এর সবই কৌশলগত স্বার্থে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে চায়নার সীমান্ত নেই। উত্তরে আমেরিকাকে প্রবেশ করতে দেয়া মানে চায়নার সীমান্তে এবং রাশিয়ার খুব কাছে আমেরিকান উপস্থিতি। চায়না, রাশিয়া কেউ সেটা মেনে নেবে না। কোরিয়ান ওয়ারে চাইনিজ ইন্টারভেনশনের প্রধান কারণও ছিল এটাই। উত্তর কোরিয়া চায়না এবং রাশিয়ার জন্য একটা বাফার জোন। কোরিয়া ধ্বংস হয়ে গেলেও চাইনিজ আর রাশিয়ানদের কোন মাথাব্যথা থাকবে না। উত্তর কোরিয়া আমেরিকার সাথে দরকষাকষি আর রাজনৈতিক খেলার একটা উপাদান মাত্র।

কোরিয়ান ওয়ারে প্রায় পঁচিশ লক্ষ মানুষ মারা যায়। আমেরিকার হিসেবেও প্রায় পঞ্চাশ হাজার আমেরিকান সেনা প্রাণ হারায় অথবা নিখোঁজ হয়। চাইনিজরা দেড়লাখ সেনা হারায়। আর দুই কোরিয়ার সেনা ও বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি ছিল সীমাহীন। অল্প জনসংখ্যার অনুপাতে মাত্রা ছিল ভয়াবহ।

উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে উত্তেজনা চলছে। বহুবছর কেবল বাগাড়ম্বর ছিল এই উত্তেজনা। তবে এবার প্রকৃতপক্ষেই সমগ্র বিশ্ব আশংকায়। উত্তর কোরিয়া সামরিক সংঘাতে হলে দ্রুতই হারবে। তবে দ্রুততার সাথে এত মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হবে যে বলবার মত না। উত্তর কোরিয়ার ২১০০০ আর্টিলারি পিস বা কামান আছে। যার দশ হাজার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের দিকে তাক করা। সিউল ওইসব কামানের রেঞ্জেই আছে যেহেতু সিউলের অবস্থান সীমান্তের বা ডিইলিটারাইজড জোন থেকে খুব কাছে। যুদ্ধ শুরু হলে কেবলমাত্র এই আর্টিলারী ফায়ারের কারণেই দক্ষিণের রাজধানী সিউলের প্রায় ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাবে। কোরিয়ান ওয়ারের সময় সিউল এক বছরের মধ্সযে চারবার দখল বেদখল হয়। প্রথমবার উত্তর কোরিয়া দখল করে নেবার সময় সিউলের জনসংখ্যা ছিল পনের লক্ষ। আমেরিকা যখন চতুর্থবার দখলে নেয়, তখন সেখানে মানুষ ছিল ২ লক্ষেরও কম। আর সিউল ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। সময় যত যাবে ততই প্রাণহানী, সম্পদহানী বাড়বে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলও উত্তরের মিসাইলের আওতার মধ্যে। ঘনবসতির শহরগুলোর জন্য মারাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে যেকোনো সংঘাত।

উত্তর কোরিয়া বনাম আমেরিকা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

আমেরিকা চাইলেও মাসখানেকের আগে উত্তর কোরিয়াকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে না। বোম্বারগুলোকে উত্তর কোরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে নিরাপদ করতে প্রথমে উত্তরের রাডার আর এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সাইটগুলোকে অকেজো করতে হবে। এসবের বেশিরভাগই আবার মোবাইল সিস্টেম, এক জায়গায় থাকে না, অথবা ফর্টিফায়েড স্থাপনায় নিরাপদে রাখা হয়। এদের একটা একটা করে ধ্বংস করতেও প্রচুর সময় দরকার। তাদের হাজার হাজার নয়, লাখখানেক এন্টি এয়ারক্রাফট আর্টিলারী আর ম্যানপ্যাড আছে। উত্তর কোরিয়ার জিডিপি চল্লিশ বিলিয়ন ডলার, ১০ বিলিয়ন যায় সামরিক খাতে। বাংলাদেশের জিডিপিও উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৮-১০ গুণ। যাইহোক, দেশের মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যাবার সময়ও উত্তর কোরিয়া অন্তত তিনমাস পূর্ণ সমরের গোলাবারুদ, তেল, খাবার মজুদ রাখে। পুরো দেশ জুড়েই রয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড শেল্টার, বাংকার, টানেল। কোরিয়ান ওয়ারের সময় থেকেই সেগুলো বানানো শুরু হয়। তাদের আরও আছে প্রায় ১৩ লাখ নিয়মিত সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সদস্য। প্রতিটি নাগরিকের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক, তাই রিজার্ভ ফোর্সও লাখ পঞ্চাশেক ধরে নেয়া যায়। তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থ্যা ধ্বংসের পর ল্যান্ড ইনভেশনের সময় এদের যাথে যুদ্ধ করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি না থাকলেও চেনা এলাকা, আনকনভেনশনাল ট্যাকটিকসের কারণে স্থল অভিযানের জন্য শত্রু সেনাদের তীব্র বাঁধার মুখেই পড়তে হবে। কারণ, এরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মনে করে যে পশ্চিমারা আবার পঞ্চাশের দশকের মত মৃত্যুই ঢেকে আনছে জাতির জন্য।

উত্তর কোরিয়া বনাম আমেরিকা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

আমেরিকা ভুল করেও প্রথম নিউক্লিয়ার স্ট্রাইকের কথা চিন্তা করবে না। তাদের যেকোনো পরিকল্পনা কনভেনশনাল ওয়ারের দিকেই সীমিত থাকবে যদিনা আক্রমণের মুখে পড়ে অথবা প্রিএম্পটি স্টাইক হিসেবে উত্তর কোরিয়া পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার করে। কেবলমাত্র তখনই আমেরিকা পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার যৌক্তিক বলতে পারবে। পারমাণবিক অস্ত্র উত্তর কোরিয়ায় ব্যবহার করা হলে এর প্রভাব পড়বে সমগ্র অঞ্চলে। উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হবে, সাথে চায়না,রাশিয়া সহ দক্ষিণ কোরিয়ায়ও এর প্রভাব হবে মারাত্মক। বিশাল অঞ্চল বসবাসের অনুপযোগী হবে। তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে ফসল হবেনা। উত্তর কোরিয়াও যদি শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে বেপরোয়া মিসাইল এবং পারমাণবিক অস্ত্রের হামলা চালায়, তবে বিশ্বই হুমকির মুখে পড়বে। বিশ্বের উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্যের তীব্র অভাব দেখা দেবে বিশ্বজুড়েই। কারণ, মিলিটারী হার্ডওয়্যারের চাহিদা মেটাতে এমনিতেই চাষাবাদ কমে যাবে, বিশেষত আমেরিকায়। আমেরিকা পৃথিবীর খাদ্য বাজারের বেশ বড় জোগানদার। আর দুই কোরিয়ায় খাদ্য উৎপাদন হতে পারে খুব সামান্যই। যুদ্ধের খরচ যোগান দিতে নানা পণ্যের চাহিদা কমবে, আমদানী কমবে। বিপদে পড়বে বাংলাদেশ সহ নানা তৃতীয়বিশ্বের দেশ। গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বসে যাবে। তেলের দাম বাড়বে, বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম বাড়বে দেখে খাদ্য আমদানী নির্ভরশীল বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর অবস্থা হবে মারাত্মক। কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যেতে পারে ফুল স্কেল ওয়ারের সরাসরি বৈশ্বিক প্রভাবে।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমেরিকার বিজয় নিশ্চিত হলেও যুদ্ধ শেষে এর প্রভাবে বিশ্ব ভুগবে দশককাল। আবার যুদ্ধ শেষ কতদিনে হবে তাও নিশ্চিত নয়। চায়না বা রাশিয়া কখনো চাইবেনা উত্তর কোরিয়ায় আমেরিকান পুতুল সরকার ক্ষমতায় আসুক বা উত্তর কোরিয়া আমেরিকান প্রভাব বলয়ে আসুক। ভিয়েতনাম বা কোরিয়ান ওয়ারের মত প্রক্সিওয়ার চলতে পারে বহুবছর যদি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নাও হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে উত্তর কোরিয়া কি সত্যিই আমেরিকাকে উস্কানী দেবে নাকি দেবে না। তারা সত্যিই গুয়ামের পাশে মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারে। আর এ মাসের মধ্যে তা করে বসলে যুদ্ধ এড়ানো কঠিনই হবে। কিম জং উনও এতই ফ্যানাটিক যে তার নিজেরও সম্ভবত মৃত্যুভয় নেই। গুয়ামের আশেপাশে মিসাইল নিক্ষেপের পর আমেরিকা সামরিক ব্যবস্থা নেবেই। আর এরপর উত্তর কোরিয়া অবশ্যই দক্ষিণে হামলা চালাবে, গুয়াম সরাসরি টার্গেট করবে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালাবে। কিম পরিবারের প্রধান অস্ত্রই হচ্ছে ভীতি জিইয়ে রাখা। তার পরিবারের ক্ষমতা, শক্তির দাপটের প্রমাণ দেয়া। মার্কিন হামলার জবাব না দিলে তা হবে কিম বংশের জন্য পতনেরই নামান্তর।

আমেরিকা এতদিন ধারণা করত উত্তর কোরিয়া মুখেই কথা বলছে তাদের মিসাইল টেকনোলজি এত উন্নত নয় যে আমেরিকার মূল ভূখন্ডে পৌঁছাবে। কিন্তু তাদের এই ধারণা ভুল ছিল তাও প্রমাণিত। মিসাইলে পারমাণবিক ওয়ারহেড সংযোজন করতে পারবে নাকি তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। তবে যে দেশ দশকের বেশি আগে আনবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে, তাদের হাতে অন্তত কিছু ওয়ারহেড আছে এটা নিশ্চিতভাবেই ধরে নেয়া যায়।

গত ৩০-৪০ বছরেও বিশ্ব এমন হুমকির মুখে পড়েনি। এমনকি ভিয়েতনাম ওয়ারের সময়েও না। তবে আশার কথা হচ্ছে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসবার পর যা বলছেন তা করছেন না অথবা করতে পারছেন না। উনি এমন কথা বলেন যার ডিপ্লোম্যাটিক পরিণতি সম্পর্কে উনি সামান্যই পরোয়া করেন আবার নিজেও জানেন না এটা উনি আদৌ করতে পারবেন কিনা। সমগ্র কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া প্রেসিডেন্টের একক সিদ্ধান্তে যুদ্ধ শুরু করাও কঠিন। এমনকিছুর আভাস পেলে রিপাবলিকান আর ডেমোক্রেটরা এক হয়ে ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখিও করতে পারে।

উত্তর কোরিয়া বনাম আমেরিকা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে, কতটা খারাপ এ মাসের মধ্যেই আরও স্পষ্ট বোঝা যাবে। তবে যুদ্ধ না হলেও বিশ্বকে উত্তর কোরিয়ার মত হুমকি নিয়েই সামনে এগুতে হবে। এর সরল কোন সমাধান নেই। রাশিয়া, চায়না নিজেদের জন্যই উত্তর কোরিয়াকে টিকিয়ে রাখবে। এত অবরোধের পরেও উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তন হবেনা। অর্থনৈতিক অবরোধ বরং উত্তর কোরিয়াকে আরও বেপরোয়া করবে। কখনো ইরান কিংবা অন্য রাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড বিক্রি করে দিলেও অবাক হবো না। অবরোধের ফলে মিলিয়ন মিলিয়ন উত্তর কোরিয়ান মারা গেলেও তা কিম পরিবারের জন্য কিছুই নয়। যারা কিম পরিবারের অনুগত তারা ভালই থাকবে। উত্তর কোরিয়ানদের তিন ধরণের ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয় পুরো পরিবারের ইতিহাস রেকর্ডে রেখে। ২০ ভাগ মানুষকে সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত ভাবা হয়, এরা গুরুত্বপূর্ণ পদ পায়, বিশেষ সুবিধা পায়। ষাট ভাগ মানুষকে নিরাপদ এবং বাকীদের সন্দেহের চোখে দেখা হয় যাদের অনেককেই ক্যাম্পে রাখা হয় ব্রেইনওয়াশের মাধ্যমে মূলধারায় নিয়ে আসতে, কত মানুষ এই প্রক্রিয়ায় মারা যায় তার হিসাব কেউ জানে না।

দেশের অভ্যন্তরে জনগণের আন্দোলনে কিম পরিবার সরে যাবে এই সম্ভাবনা প্রায় নেই। আবার, চায়নাই উত্তর কোরিয়ার রপ্তানী বানিজ্যের প্রধান অংশীদার আর সেটা অব্যাহতই থাকবে যার অর্থ উত্তর কোরিয়া টিকে থাকবে। আপাতত বিশ্বও কোনো যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া, পরিণতি সামলাবার মত অবস্থানে নেই। তাই উত্তেজনা যতই থাকুক, পূর্ণ সমর শুরু না হলেই তা বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক হবে একটা দুষ্ট রাষ্ট্রকে বুকে ধারণ করে হলেও। যুদ্ধ, সংঘাত কখনোই মানবিক সমাধান নয়। যারা মনে মনে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেখতে চান তারা জানেন না যে তাদের মতো মানসিকতার লোকেরা পৃথিবীকে কতটা পিছিয়ে দিতে পারে।

তথ্যসূত্র-

১) https://www.youtube.com/watch?v=lzMGZX9eJ1U
২) https://en.wikipedia.org/wiki/Korean_War

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here