গেম হ্যাকিং [পর্ব-১] :: Introduction to গেম হ্যাকিং !

9
558

গেম হ্যাকিং [পর্ব-১] :: Introduction to গেম হ্যাকিং !

কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আপনাদের দেখাব কিভাবে গেম হ্যাক করতে হয়। অনেক গেম আছে অত্যন্ত কঠিন। ঐসকল গেম হ্যাক করে আপনি গেমকে সহজ করে ফেলতে পারবেন। আমার মত আনাড়ি গেমারদের জন্য গেম হ্যাকিং খুবই কার্যকরী। তবে হ্যাঁ সবসময় গেমটি সাধারণ নিয়মে খেলার চেষ্টা করে যাবেন, একান্তই না পারলে তবে হ্যাকিং করবেন। অবশ্য আমার মত (বদ?!)অভ্যাস হয়ে গেলে প্রত্যেকটা গেমই হ্যাক করতে মন চাইবে।

মহাপুরুষ-গুণীজনেরা বলে গেছেন, “সব গেমই কঠিন লাগবে, কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না। না পারলে তুমি গেম হ্যাক করবে। তোমাকে অবশ্যই ওই গেম শেষ করতে হবে। 

তো শুরু করার আগে আমি আমার গেম হ্যাকিং-এ আসার সুদীর্ঘ ইতিহাস বলছি! লুল..

আপনি কি Ridge Racer: Unbounded গেমটি খেলেছেন?? আমার কাছে গেমটি অত্যন্ত কঠিন মনে হয়েছিল।তারপরও অনেক কষ্টে প্রথম দিকের কয়েকটি রেস সফলতার সহিত শেষ করলাম। কিন্তু পরের রেসগুলো আর পেরে ওঠা সম্ভব হয়ে উঠছিলনা। কিন্তু আমার এই গেমটি শেষ করতেই হত। কেন জানেন? কারণ গেমটি শেষ করতে পারলে আমার হার্ডডিস্কের ৫০০ জিবি থেকে প্রায় ৪-৫ জিবি খালি হত, কম লাগে ??!

তো যথারীতি গুগল মামুরে প্রশ্ন করলাম, মামু তোমার কাছে কি এই গেমটির কোন চিট কোড আছে ? কিন্তু মামু সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারল না ! তবে এতেই আমার কপাল খুলে গেল।

আপনি যদি গেম খেলার সময় একজন সত্যিকারের চিটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা কতিপয় গেম ব্যতীত অন্যান্য গেমে চিটকোড থাকেনা। আমি ফলাফল স্বরূপ গেমটির ট্রেইনার পেলাম। আমি মারাত্মক ভাবে আশাহত হলাম। ভাবলাম গেমটির Walkthrough বা guide….তারপরও টেস্ট করার জন্য ট্রেইনার ডাউনলোড করলাম। সাইজ ছিল প্রায় ২-৩ MB। তারপর ট্রেইনারের ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী গেমের মধ্যে Num 1, Num 2, Num 3, Num 4 … Num 9 বাটনগুলো প্রেস করলাম। আর কি পেয়ে গেলাম Unlimited nitro,always 1st, instant brake আরো কিছু ফিচার। আমারে আর পায় কে? ১ মাসেও যে গেম শেষ হচ্ছে না, তা ১ দিনে শেষ! আর এর ফল হিসেবে বেচারা গেমের আমার পিসি থেকে আত্মহুতি! এরপর একের পর এক গেম আমার পিসি থেকে হারিয়ে যেতে লাগল। অ্যাকশন গেমের ক্ষেত্রে Unlimited life, unlimited Weapon, UFO আরো কত কি!! এরপর মনে প্রশ্ন জাগল কিভাবে তারা ট্রেইনারগুলো  তৈরি করে? এবার গুগল মামু আমাকে সত্যিকার অর্থেই সাহায্য করল, সাথে Youtube ও.. আর শুরু করলাম গেম হ্যাকিং।

তো মামুদের কাছ থেকে লভ্য শিক্ষাই আপনাদের কাছে আজ শেয়ার করব। আপনারাও তাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করতে কার্পণ্য করবেন না। আমি আপনাদের সাড়া পেলে ধারাবাহিকভাবে টিউন চালিয়ে যেতে চাই…

এবারে কাজের কথায় আসা যাক।

প্রথমে আসি গেম হ্যাকিং কি? গেম হ্যাকিং হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে গেমার/হ্যাকার  গেমের মেমোরি মোডিফাই করে গেমের আচরণ বদলে দেয়। সাধারণত, গেমের মেমরি অ্যাড্রেসে যেসব ভেলু থাকে তা পরিবর্তন করে দেয়া হয়। যেমন ধরুন একটি গেমে ammo এর পরিমাণ হচ্ছে ৩০, এখন গেমার ওই মেমরি অ্যাড্রেসটি খুঁজে বের করবে যেখানে গেমটি এই সংখ্যাটি স্টোর করে রাখে এরপর গেমার ওই সংখ্যাটিকে মনমত পরিবর্তন করে ৯৯, ৫০ ইত্যাদি দিয়ে দিতে পারবে। আবার চাইলে এটাকে স্থির রেখে দিতে পারবে যাতে করে Ammo খরচ না হয় এবং আনলিমিটেড হয়ে যায়

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, গেম হ্যাকিং তো মেমোরির সাথে সম্পৃক্ত, তাই গেম হ্যাকিং করলে আমার সাধের পিসিখানার কি কোন ক্ষতিসাধন হবে? অবশ্যই না। তবে এটাও সত্যি যে আপনার গেম অনেক সময় ক্র্যাশ করতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

এই কুকর্ম করতে প্রয়োজন হল সফটওয়্যার। সফটওয়্যার দিয়ে আমরা মেমোরি স্ক্যান এবং ডিবাগ করব। অনেকগুলো সফটওয়্যারই আছে, তবে আমার সবচেয়ে ভাল লাগে Cheat Engine। এটি সাইজে কম এবং ফ্রিওয়্যার, এটা দিয়ে কাজ করাও সহজ। বিস্তারিত এখানে

গেম হ্যাকিং এর পর .exe আউটপুট দিয়ে ট্রেইনার বানানো হয়। Trainer সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন এখানে

সবই তো হল এখন Cheat Engine কোথায়? নিচের লিঙ্ক থেকে চিট ইঞ্জিনের অফিসিয়াল লেটেস্ট ভার্সন টি ডাউনলোড করুন।

Official Site

Direct Download Link

তাছাড়া Add on গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

Add On ডাউনলোড করার পর কমপ্রেসড ফাইলটি এক্সট্র্যাক্ট করে সবগুলো ফাইল কপি করে ৬৪ বিটের ক্ষেত্রে C:\Program Files (x86)\Cheat Engine 6.4 এই ফোল্ডারে পেস্ট করুন। আর ৩২ বিটের ক্ষেত্রে C:\Program Files\Cheat Engine 6.4 এই ফোল্ডারে পেস্ট করুন। রিপ্লেস চাইলে কোন কিছু চিন্তা না করেই রিপ্লেস দিয়ে দিবেন

তো আজকের জন্য এটুকুই। আগামী পর্বে ব্যাসিক গেম হ্যাকিং দেখাব। গত বছরের নভেম্বরে শুরু করা এই টিউন আজকে শেষ করলাম

9 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here