প্রস্তুত রাখা হচ্ছে তাসকিন-সানির বিকল্প

25
261
আরাফাত সানি ধর্মশালা থেকে চেন্নাই চলে গেছেন আজ। পরশু যাবেন তাসকিন আহমেদও। চেন্নাইয়ের স্যার রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে হবে দুজনের বোলিং
অ্যাকশনের পরীক্ষা। সানির পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার কথা আজই। তাসকিনের পরীক্ষা ১৫ মার্চ সকালে।

আর সবার মতো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বিসিবিরও আশা, দুই বোলারের বোলিং অ্যাকশনই পরীক্ষায় বৈধ প্রমাণিত হবে। তবে বিসিবিকে শুধু আশা নিয়ে বসে থাকলে চলছে না। ভাবতে হচ্ছে মুদ্রার অন্য পিঠটা নিয়েও। যদি সত্যি সত্যিই সানি-তাসকিনের কারও অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে তাদের বিকল্প হবেন কে বা কারা? পরীক্ষার ফল আসার পর হাতে খুব বেশি সময় পাওয়া যাবে না বলে পরিকল্পনাটা এখনই করে রাখতে হচ্ছে বিসিবিকে।

বোর্ডের একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় আছেন অন্তত চার-পাঁচ জন ক্রিকেটার। স্পিনারদের মধ্যে

সাকলাইন সজীব আর সানজামুল ইসলামের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। সানির অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হলে এই দুই বাঁহাতি স্পিনারের কেউ উড়ে যাবেন ভারতে। তাসকিনের বিকল্প হিসেবে এক নম্বর পছন্দ মোহাম্মদ শহীদ বলে জানা গেছে। কামরুল ইসলাম (রাব্বী) এবং শফিউল ইসলামও আছেন সম্ভাব্যের তালিকায়।

প্রয়োজন পড়লে বিকল্প খেলোয়াড় পাঠাতে যেন সময় নষ্ট না হয়; সেজন্য সানজামুল, সাকলাইন, শহীদ এবং শফিউলের ভিসার প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখছে বিসিবি। তবে শফিউলের এই যাত্রায় ভারতের যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ভবিষ্যতে কেউ চোটাঘাতে পড়লে পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে বলেই তাঁর ভিসাও করিয়ে রাখছে বিসিবি। আর স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা কামরুল ইসলামের ভিসা করানোই আছে।

বিশ্বকাপের জন্য রাখা চার জনের স্ট্যান্ডবাই তালিকায় পেসার কামরুল ছাড়াও আছেন ইমরুল কায়েস, মুক্তার আলী এবং শুভাগত হোম চৌধুরী। সূত্র জানিয়েছে, এই তালিকা থেকেই বিকল্প খেলোয়াড় নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচক কমিটি বাইরের খেলোয়াড়দের মধ্য থেকেও সম্ভাব্য সেরা বিকল্প খুঁজছে। নির্দিষ্ট কারও নাম না বললেও মুঠোফোনে বলা প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের কথায়ও একই আভাস, ‘আমরা এখনো আশাবাদী সানি-তাসকিনের অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়বে না। তবে যদি প্রয়োজন হয়, বিকল্প খেলোয়াড় তো পাঠাতেই হবে। দলের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান থাকায় আমরা হয়তো বোলারই পাঠাব। সেটা স্ট্যান্ডবাই তালিকা থেকে হতে পারে, আবার বাইরে থেকেও হতে পারে।’

আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ১৫ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে সাধারণত ২৫-৩০ জনের প্রাথমিক দলও ঘোষণা হয়। ভিসা করানো হয় সবারই। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক দল দেওয়ার কোনো নিয়ম ছিল না। সব দেশই সরাসরি ঘোষণা করেছে ১৫ জনের দল, সঙ্গে চার জন স্ট্যান্ডবাই।

25 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here